০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের শুল্কের ঠেলায় ভারতের বস্ত্র শিল্প সঙ্কটে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 153

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক :  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্বাভাবিক শুল্ক বৃদ্ধির জেরে ভারতের বস্ত্র শিল্প মারাত্মক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। আমেরিকার যে সব ক্রেতা ভারতীয় বস্ত্র কারখানা থেকে পণ্য কিনতেন তাঁরা অর্ডার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আগে যে সব অর্ডার দেওয়া ছিল সেই অর্ডারের পণ্যও তাঁরা নেননি। গোকুলদাস এক্সপোর্ট, যারা পোশাকের রফতানিতে এক নম্বর স্থানে রয়েছে, তারা আপাতত অন্য ব্যবসায়ে মন দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: এবার ওষুধের উপর ১০০% শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের, বিপাকে ভারতীয় ওষুধ রফতানিকারকরা 

আবাসন তৈরির যন্ত্রপাতির রফতানিতে নেমে পড়েছে তারা। নতুন বাজারও খুঁজছে তারা। তারা মনে করছে, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে তার সুযোগ নিতে হবে। বস্ত্র রফতানি প্রমোশন কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং কেটি কর্প প্রাইভেট লিমিটেড এর কর্নধার প্রেমাল উদানি বললেন, বস্ত্র এবং পোশাক শিল্পের পক্ষে এ এক অস্তিত্বের সঙ্কট এসে পড়েছে। এখনই সব মিলিয়ে শুল্কহার ৪০ শতাংশ। তা ৬৫ শতাংশ হয়ে যাবে ২৭ আগস্টের পর থেকে।

আরও পড়ুন: মানুষের শান্তি কেড়ে ‘ শান্তিতে পুরস্কার ‘ পেতে চাচ্ছেন, ট্রাম্পের নোবেল আটকাতে কমিটিকে চিঠি কেরলবাসীর

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে Britain

এই সঙ্কটের সমাধান না হলে একের পর এক কাপড় মিল বন্ধ হবে। অবশ্য গোকুলদাস এক্সপোর্ট ভাবছে, বিকল্প বাজার হিসেবে আফ্রিকা হতে পারে। কারণ কেনিয়া এবং ইথিওপিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। তাই কেনিয়া এবং ইথিওপিয়া দিয়ে পোশাক বা কাপড় আমেরিকায় পাঠানো যায়। গোকুলদাস এক্সপোর্ট গত কয়েক বছর ধরেই বাড়িঘর তৈরির যন্ত্রপাতি রফতানি শুরু করেছে। কটন টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের কার্যনিবার্হী অধিকর্তা সিদ্ধার্থ রাজাগোপাল বলছেন, আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। রফতানি একেবারে তলানিতে নেমে যাবে।

 

বস্ত্র শিল্প মালিকরা সরকারের সঙ্গে কথা বলছে, কীভাবে এই সঙ্কট থেকে পরিত্রাণের পথ বের করা যায় তা দেখা হচ্ছে।ম্যানমেড ফাইবার অ্যান্ড টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের কার্যনিবার্হী অধিকর্তা এ রবিকুমার একই কথা বলছেন। আগামী ২১ দিনের মধ্যে যদি আমেরিকা শুল্কহার কিছুটা কমায় সেই আশাতেও রয়েছে অনেকে। একশ্রেণির রফতানিকারী চাইছেন, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশ হয়ে ঘুরপথে পণ্য পাঠাতে। তাতে কিছুটা সুরাহা হতে পারে। তবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্রুততার সঙ্গে সম্ভাব্য ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। আগের বরাত যদি বাতিল করে দেওয়া হয় তার ক্ষতি পুষোতে ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকেই ভারত-ব্রিটেন অবাধ বাণিজ্য চুক্তির উপর ভরসা করছেন। এখানে নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচিত হতে পারে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ট্রাম্পের শুল্কের ঠেলায় ভারতের বস্ত্র শিল্প সঙ্কটে

আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক :  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্বাভাবিক শুল্ক বৃদ্ধির জেরে ভারতের বস্ত্র শিল্প মারাত্মক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। আমেরিকার যে সব ক্রেতা ভারতীয় বস্ত্র কারখানা থেকে পণ্য কিনতেন তাঁরা অর্ডার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আগে যে সব অর্ডার দেওয়া ছিল সেই অর্ডারের পণ্যও তাঁরা নেননি। গোকুলদাস এক্সপোর্ট, যারা পোশাকের রফতানিতে এক নম্বর স্থানে রয়েছে, তারা আপাতত অন্য ব্যবসায়ে মন দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: এবার ওষুধের উপর ১০০% শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের, বিপাকে ভারতীয় ওষুধ রফতানিকারকরা 

আবাসন তৈরির যন্ত্রপাতির রফতানিতে নেমে পড়েছে তারা। নতুন বাজারও খুঁজছে তারা। তারা মনে করছে, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে তার সুযোগ নিতে হবে। বস্ত্র রফতানি প্রমোশন কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং কেটি কর্প প্রাইভেট লিমিটেড এর কর্নধার প্রেমাল উদানি বললেন, বস্ত্র এবং পোশাক শিল্পের পক্ষে এ এক অস্তিত্বের সঙ্কট এসে পড়েছে। এখনই সব মিলিয়ে শুল্কহার ৪০ শতাংশ। তা ৬৫ শতাংশ হয়ে যাবে ২৭ আগস্টের পর থেকে।

আরও পড়ুন: মানুষের শান্তি কেড়ে ‘ শান্তিতে পুরস্কার ‘ পেতে চাচ্ছেন, ট্রাম্পের নোবেল আটকাতে কমিটিকে চিঠি কেরলবাসীর

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে Britain

এই সঙ্কটের সমাধান না হলে একের পর এক কাপড় মিল বন্ধ হবে। অবশ্য গোকুলদাস এক্সপোর্ট ভাবছে, বিকল্প বাজার হিসেবে আফ্রিকা হতে পারে। কারণ কেনিয়া এবং ইথিওপিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। তাই কেনিয়া এবং ইথিওপিয়া দিয়ে পোশাক বা কাপড় আমেরিকায় পাঠানো যায়। গোকুলদাস এক্সপোর্ট গত কয়েক বছর ধরেই বাড়িঘর তৈরির যন্ত্রপাতি রফতানি শুরু করেছে। কটন টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের কার্যনিবার্হী অধিকর্তা সিদ্ধার্থ রাজাগোপাল বলছেন, আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। রফতানি একেবারে তলানিতে নেমে যাবে।

 

বস্ত্র শিল্প মালিকরা সরকারের সঙ্গে কথা বলছে, কীভাবে এই সঙ্কট থেকে পরিত্রাণের পথ বের করা যায় তা দেখা হচ্ছে।ম্যানমেড ফাইবার অ্যান্ড টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের কার্যনিবার্হী অধিকর্তা এ রবিকুমার একই কথা বলছেন। আগামী ২১ দিনের মধ্যে যদি আমেরিকা শুল্কহার কিছুটা কমায় সেই আশাতেও রয়েছে অনেকে। একশ্রেণির রফতানিকারী চাইছেন, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশ হয়ে ঘুরপথে পণ্য পাঠাতে। তাতে কিছুটা সুরাহা হতে পারে। তবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্রুততার সঙ্গে সম্ভাব্য ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। আগের বরাত যদি বাতিল করে দেওয়া হয় তার ক্ষতি পুষোতে ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকেই ভারত-ব্রিটেন অবাধ বাণিজ্য চুক্তির উপর ভরসা করছেন। এখানে নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচিত হতে পারে।