রাজ্যের শিল্প উন্নয়নে অগ্রগতি, রঘুনাথপুরে ১০ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক: নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

- আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, বুধবার
- / 294
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই রাজ্যে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছিল। সেই প্রস্তাব কার্যকর করার পথে এগুলো রাজ্য সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীতে বড় শিল্প সংস্থাগুলিকে দশটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হিডকো -এর সঙ্গে পিপিপি মডেলের নিউটাউনে ২৫ একর জমিতে ইন্টারন্যাশনাল ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্টারটেইনমেন্ট কালচারাল (আইআইটিইসি )পার্ক তৈরির জন্য জমি দিল রাজ্য। এছাড়া রাজ্যের ২৩ টি জেলায় সরকারি শপিংমল তৈরির যে পরিকল্পনা নিয়েছিল রাজ্য তার মধ্যে ১১ টি জেলায় ইতিমধ্যেই শপিংমল তৈরির ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা।
বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের শিল্পন্নয়নে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির জন্য নামী শিল্প কোম্পানিকে ২৫১৫ একর প্লট বরাদ্দ। এখানে বেশিরভাগই স্টিল ইন্ডাস্ট্রি হবে। যেখানে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন|
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, ক্ষুদ্র ছোট এবং মাঝারি শিল্পে দেশের মধ্যে বাংলাই সেরা। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪৩ টি মাইক্রো এবং স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরির প্রকল্পে অনুমোদন করা হয়েছে। এগুলি জেলায় জেলায় হবে। এখানেও বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
জেলাগুলিতে রাজ্য সরকারের বিগবাজারের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী| সেই অনুযায়ী ২৩ টি জেলার মধ্যে ১১ টি জেলায় শপিং মল তৈরির জন্য জমি বরাদ্দ ইতিমধ্যেই করে দেওয়া হয়েছে। এই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুর। বাকি ১২ টি জেলার| শপিং মল তৈরির কাজ চলছে|
শুধু জেলাতেই নয় কলকাতাতেও শিল্প সমন্বয় তৈরির ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর। নিউটাউনে কনভেনশন সেন্টার এর পর এবার তৈরি হতে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড কালচারাল পার্ক।সংক্ষেপে আইটেক। যার বাংলা নাম বিশ্ব অঙ্গন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এর ডিমান্ড আমার কাছে অনেক দিন ধরেই ছিল। এক লপ্ত এ ২৫ একর জমি খুঁজে পাওয়া সহজ কাজ ছিল না। বিজিবিএস পর থেকেই জমি খুঁজছিলাম। এটা বাস্তবায়িত হলে রাজ্যের মুকুটে আরো একটি নতুন সাফল্যের শিরোপা যুক্ত হবে। হিডকোর সঙ্গে পিপিপি মডেলে এই কাজ হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে। এই বিশ্বঅঙ্গন তৈরি হলে দেশের মানচিত্রে বাংলা একটা বিশিষ্ট উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নেবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়|