০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকে নতুন নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার
  • / 7

পারিজাত মোল্লা: ফের আইনী জটে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। আপাতত প্রাথমিকে নতুন শিক্ষক নিয়োগ নয়। শুক্রবার প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে। এরফলে এখন আর নিয়োগ করতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ।

 

গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ছিলেন, -‘ ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণরত চাকরিপ্রার্থীদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শামিল করতে হবে’। কারণ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, -‘ডিএলএড পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ায় তাঁরা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না’। তাঁদের কথা শোনার পরেই ডিএলএড-এর চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সামিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

 

এরপর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়,-‘ নিয়োগের দিনক্ষণ ঘোষণার দিন পর্যন্ত যাঁরা ডিএলএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবলমাত্র তাঁরাই নতুনভাবে চালু হওয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন’। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলাতেই চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রাথমিকে নতুন নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি

আদালত সুত্রে প্রকাশ, ডিএলএড ২০২০-২২ ব্যাচের প্রশিক্ষণরতদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশের একাংশ বাতিল করে দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর মামলা উঠে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী চার সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি।

 

উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরইমধ্যে ২০২০-২২ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের দাবি -‘ প্রশিক্ষণের কোর্স যে শেষ হয়নি, সেটা বোর্ডের দায়বদ্ধতা । তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান’। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, -‘২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নিতে দিতে হবে’। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০২২ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ চলতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারী করে থাকে। চার সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রাথমিকে নতুন নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি

আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার

পারিজাত মোল্লা: ফের আইনী জটে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। আপাতত প্রাথমিকে নতুন শিক্ষক নিয়োগ নয়। শুক্রবার প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে। এরফলে এখন আর নিয়োগ করতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ।

 

গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ছিলেন, -‘ ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণরত চাকরিপ্রার্থীদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শামিল করতে হবে’। কারণ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, -‘ডিএলএড পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ায় তাঁরা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না’। তাঁদের কথা শোনার পরেই ডিএলএড-এর চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সামিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

 

এরপর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়,-‘ নিয়োগের দিনক্ষণ ঘোষণার দিন পর্যন্ত যাঁরা ডিএলএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবলমাত্র তাঁরাই নতুনভাবে চালু হওয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন’। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলাতেই চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রাথমিকে নতুন নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি

আদালত সুত্রে প্রকাশ, ডিএলএড ২০২০-২২ ব্যাচের প্রশিক্ষণরতদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশের একাংশ বাতিল করে দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর মামলা উঠে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী চার সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি।

 

উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরইমধ্যে ২০২০-২২ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের দাবি -‘ প্রশিক্ষণের কোর্স যে শেষ হয়নি, সেটা বোর্ডের দায়বদ্ধতা । তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান’। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, -‘২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নিতে দিতে হবে’। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০২২ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ চলতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারী করে থাকে। চার সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।