০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে পর্ষদের হলফনামা চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 46

পারিজাত মোল্লা:  মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আপটিটিউড টেস্ট নিয়ে পর্ষদের হলফনামা তলব করা হয়েছে, তাও সাতদিনের মধ্যে।  প্রাথমিকের নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না?   তা সাতদিনের মধ্যে জানতে চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে নির্দেশ জারি হল এদিন । প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হলফনামা দিয়ে সাতদিনের মধ্যে ২০১৬ সালের প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না,   তা জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

এমনকি চলতি বছর নিয়োগে ওই টেস্ট নেওয়া হচ্ছে কি না?  তাও আগামী ২৪  জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। এদিন এই বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ জন মামলকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তাঁদের বক্তব্য শুনে আদালত নিশ্চিত অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়েই নিয়োগ হয়েছে। অথচ পাঁচ নম্বর ওই টেস্টের জন্য বরাদ্দ করা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট না হওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে মামলা করেন প্রিয়াঙ্কা নস্কর-সহ একাধিক প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী।  ৭ জন মামলাকারীকে কাঠগড়ায় তুলে ইন্ডিয়ান অ্যাডিড্যান্স অ্যাক্টের ১৬৫  ধারা অনুযায়ী  বিচারপতি অভিজিৎ  গঙ্গোপাধ্যায় এদিন তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

মোট ১৩৯ জন মামলাকারীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এদিন। এরপর নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী ২৪ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানাবে ওই টেস্ট হয়েছিল কি না?

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

প্রসঙ্গত,  প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের অংশ হিসাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। এর জন্য আলাদা নম্বর রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এটি করা বাধ্যতামূলক। মূলত চক-পেনসিল,  ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। তবে অভিযোগ,  এই অংশটিকে বাদ দিয়েই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।

আগামী ২৪ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে পর্ষদের হলফনামা চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পারিজাত মোল্লা:  মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আপটিটিউড টেস্ট নিয়ে পর্ষদের হলফনামা তলব করা হয়েছে, তাও সাতদিনের মধ্যে।  প্রাথমিকের নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না?   তা সাতদিনের মধ্যে জানতে চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে নির্দেশ জারি হল এদিন । প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হলফনামা দিয়ে সাতদিনের মধ্যে ২০১৬ সালের প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না,   তা জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

এমনকি চলতি বছর নিয়োগে ওই টেস্ট নেওয়া হচ্ছে কি না?  তাও আগামী ২৪  জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। এদিন এই বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ জন মামলকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তাঁদের বক্তব্য শুনে আদালত নিশ্চিত অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়েই নিয়োগ হয়েছে। অথচ পাঁচ নম্বর ওই টেস্টের জন্য বরাদ্দ করা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট না হওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে মামলা করেন প্রিয়াঙ্কা নস্কর-সহ একাধিক প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী।  ৭ জন মামলাকারীকে কাঠগড়ায় তুলে ইন্ডিয়ান অ্যাডিড্যান্স অ্যাক্টের ১৬৫  ধারা অনুযায়ী  বিচারপতি অভিজিৎ  গঙ্গোপাধ্যায় এদিন তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

মোট ১৩৯ জন মামলাকারীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এদিন। এরপর নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী ২৪ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানাবে ওই টেস্ট হয়েছিল কি না?

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

প্রসঙ্গত,  প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের অংশ হিসাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। এর জন্য আলাদা নম্বর রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এটি করা বাধ্যতামূলক। মূলত চক-পেনসিল,  ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। তবে অভিযোগ,  এই অংশটিকে বাদ দিয়েই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।

আগামী ২৪ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।