১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের মিত্ররা ‘আমেরিকান ঘাঁটিগুলোতে আগুন জ্বালাতে পারে’: তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের হুঁশিয়ারি

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, শনিবার
  • / 104

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোহরেহ খারাজমি সতর্ক করেছেন, ইরান ও তার মিত্ররা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলোর ওপর ভয়াবহ হামলা চালাতে সক্ষম। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানেন, ইরানের কাছে বিভিন্ন পাল্লার হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। আমাদের আঞ্চলিক মিত্ররা চাইলে ‘আমেরিকান ঘাঁটিগুলোর ওপর আগুন নেমে আসতে পারে’।”

খারাজমি বলেন, “ট্রাম্প নিজেও দোটানায় আছেন। তিনি বারবার অবস্থান বদলাচ্ছেন এবং সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে দ্বিধা করছেন।”

তিনি আরও বলেন, “এখনো যুক্তরাষ্ট্রের আটজনের মধ্যে আটজনই কূটনৈতিক সমাধানের কথা ভাবছেন এবং প্রত্যক্ষ যুদ্ধে জড়ানোকে সমর্থন করছেন না।”

অধ্যাপক খারাজমি আশা প্রকাশ করেন, “যদি পশ্চিমা বিশ্ব, চীন, রাশিয়া এবং আরব রাষ্ট্রগুলো—সবাই আরও দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক ভূমিকা নেয়, তাহলে এখনো কূটনৈতিকভাবে সমাধান বের করা সম্ভব।”

বিশ্লেষকদের মতে, খারাজমির এই মন্তব্য ইঙ্গিত করছে যে মধ্যপ্রাচ্যে যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে, এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর ভূমিকা এখন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘোরানোর পথে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরানের মিত্ররা ‘আমেরিকান ঘাঁটিগুলোতে আগুন জ্বালাতে পারে’: তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের হুঁশিয়ারি

আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোহরেহ খারাজমি সতর্ক করেছেন, ইরান ও তার মিত্ররা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলোর ওপর ভয়াবহ হামলা চালাতে সক্ষম। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানেন, ইরানের কাছে বিভিন্ন পাল্লার হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। আমাদের আঞ্চলিক মিত্ররা চাইলে ‘আমেরিকান ঘাঁটিগুলোর ওপর আগুন নেমে আসতে পারে’।”

খারাজমি বলেন, “ট্রাম্প নিজেও দোটানায় আছেন। তিনি বারবার অবস্থান বদলাচ্ছেন এবং সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে দ্বিধা করছেন।”

তিনি আরও বলেন, “এখনো যুক্তরাষ্ট্রের আটজনের মধ্যে আটজনই কূটনৈতিক সমাধানের কথা ভাবছেন এবং প্রত্যক্ষ যুদ্ধে জড়ানোকে সমর্থন করছেন না।”

অধ্যাপক খারাজমি আশা প্রকাশ করেন, “যদি পশ্চিমা বিশ্ব, চীন, রাশিয়া এবং আরব রাষ্ট্রগুলো—সবাই আরও দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক ভূমিকা নেয়, তাহলে এখনো কূটনৈতিকভাবে সমাধান বের করা সম্ভব।”

বিশ্লেষকদের মতে, খারাজমির এই মন্তব্য ইঙ্গিত করছে যে মধ্যপ্রাচ্যে যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে, এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর ভূমিকা এখন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘোরানোর পথে।