৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমিশনের পরোক্ষ সাহায্যেই কি যোগীর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা!আরটিআই করে তৃণমূলের সাকেত গোখলের এমনটাই  দাবি

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সাম্প্রতিক উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে যোগী আদিত্যনাথ যে শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রেখেছেন তাই নয়, ১৯৮৫ সালের পর যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় ফিরে আসা প্রথম মুখ্যমন্ত্রীও  বটে। কিন্তু এই হেন গৌরবময় জয়তেও যেন কাঁটা  বিঁধে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। নির্বাচন কমিশনের সাহায্য না পেলে না কি এই যাত্রায় দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরা হতনা যোগী আদিত্যনাথের এমনটাই অভিযোগ।

আরও পড়ুন: Ghazwa-e-Hind: ‘গজওয়া-এ-হিন্দ’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর হুঁশিয়ারি

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র, সাকেত গোখলে শুক্রবার কমিশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি আরটিআইয়ের উত্তর ট্যুইট করেছেন এবং  লিখেছেন, “কীভাবে নির্বাচন কমিশন ইউপি নির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করেছিল”। সাকেত গোখেলের এই অভিযোগের মূল ভিত্তি হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দুটি সাক্ষাৎকার। ৯ ফ্রেবুয়ারি এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি যে দুটি একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থায় সম্প্রচারিত হয়।  উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন যেহেতু ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এবং৭  মার্চ পর্যন্ত চলেছিল। সেসময় কি ভাবে এই শীর্ষ দুই নেতার সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হয় এবং তা কেন  আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের আওতায় পড়বে না তাই আরটিআই করে জানতে চান সাকেত।  তথ্য জানার অধিকার আইনে করা সাকেতের  জিজ্ঞাসার উত্তরে কমিশন সুস্পষ্ট জানায় না এই সাক্ষাৎকারের জন্য কোন অনুমতি ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া হয়নি। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র বলছেন “ আমি ১৫ মার্চ আরটিআই করেছিলাম, আমাকে উত্তর দেওয়া হল ২৪ জুন’’ । এত দেরীর কারন কি? সাকেত বলছেন যাতে বিষয়টিকে আরও ভালো করে ধামাচাপা দেওয়া যায়।  মোদি এবং যোগী আদিত্যনাথের সাক্ষাৎকারগুলি ভোটের প্রথম দিনে সম্প্রচার করা হয়েছিল। স্পষ্টতই, বিজেপির ভোটারদের প্রভাবিত করাই ছিল এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের উদ্দেশ্য। বলছেন সাকেত।  ২০১৭  সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ৩১২ টি আসন পেয়েছিল। ২০২২ সালে বিজেপির আসন সংখ্যা ২৫৫ -এ নেমে এসেছে। অর্থাৎ বিজেপি ৫৭ টি আসন কম পায় ২০১৭ এর তুলনায়। সাকেত গোখেল দাবি করছেন এইভাবে যদি ভোটারদের প্রভাবিত করতে কমিশন সাহায্য না করত, তাহলে হয়ত পাশার দান উলটেও যেতে পারত।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে সরব বিরোধীরা

আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্থানগুলির ৫০০ মিটার পর্যন্ত মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ
সর্বধিক পাঠিত

মানুষকে বড্ড হয়রান হতে হচ্ছে, অশুভ শক্তির বিনাশ হোক: এসআইআর নিয়ে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কমিশনের পরোক্ষ সাহায্যেই কি যোগীর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা!আরটিআই করে তৃণমূলের সাকেত গোখলের এমনটাই  দাবি

আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সাম্প্রতিক উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে যোগী আদিত্যনাথ যে শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রেখেছেন তাই নয়, ১৯৮৫ সালের পর যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় ফিরে আসা প্রথম মুখ্যমন্ত্রীও  বটে। কিন্তু এই হেন গৌরবময় জয়তেও যেন কাঁটা  বিঁধে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। নির্বাচন কমিশনের সাহায্য না পেলে না কি এই যাত্রায় দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরা হতনা যোগী আদিত্যনাথের এমনটাই অভিযোগ।

আরও পড়ুন: Ghazwa-e-Hind: ‘গজওয়া-এ-হিন্দ’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর হুঁশিয়ারি

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র, সাকেত গোখলে শুক্রবার কমিশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি আরটিআইয়ের উত্তর ট্যুইট করেছেন এবং  লিখেছেন, “কীভাবে নির্বাচন কমিশন ইউপি নির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করেছিল”। সাকেত গোখেলের এই অভিযোগের মূল ভিত্তি হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দুটি সাক্ষাৎকার। ৯ ফ্রেবুয়ারি এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি যে দুটি একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থায় সম্প্রচারিত হয়।  উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন যেহেতু ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এবং৭  মার্চ পর্যন্ত চলেছিল। সেসময় কি ভাবে এই শীর্ষ দুই নেতার সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হয় এবং তা কেন  আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের আওতায় পড়বে না তাই আরটিআই করে জানতে চান সাকেত।  তথ্য জানার অধিকার আইনে করা সাকেতের  জিজ্ঞাসার উত্তরে কমিশন সুস্পষ্ট জানায় না এই সাক্ষাৎকারের জন্য কোন অনুমতি ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া হয়নি। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র বলছেন “ আমি ১৫ মার্চ আরটিআই করেছিলাম, আমাকে উত্তর দেওয়া হল ২৪ জুন’’ । এত দেরীর কারন কি? সাকেত বলছেন যাতে বিষয়টিকে আরও ভালো করে ধামাচাপা দেওয়া যায়।  মোদি এবং যোগী আদিত্যনাথের সাক্ষাৎকারগুলি ভোটের প্রথম দিনে সম্প্রচার করা হয়েছিল। স্পষ্টতই, বিজেপির ভোটারদের প্রভাবিত করাই ছিল এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের উদ্দেশ্য। বলছেন সাকেত।  ২০১৭  সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ৩১২ টি আসন পেয়েছিল। ২০২২ সালে বিজেপির আসন সংখ্যা ২৫৫ -এ নেমে এসেছে। অর্থাৎ বিজেপি ৫৭ টি আসন কম পায় ২০১৭ এর তুলনায়। সাকেত গোখেল দাবি করছেন এইভাবে যদি ভোটারদের প্রভাবিত করতে কমিশন সাহায্য না করত, তাহলে হয়ত পাশার দান উলটেও যেতে পারত।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে সরব বিরোধীরা

আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্থানগুলির ৫০০ মিটার পর্যন্ত মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ