Sirens sounded in at least 100 areas of the occupied Palestinian territories after the missile attack on Saturday morning, causing panic in many places, including Al-Quds, Tel Aviv.
ইসরাইল কাঁপলো ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র -এ, বেজে উঠলো ১০০ সাইরেন।

- আপডেট : ৪ মে ২০২৫, রবিবার
- / 164
পুবের কলম ডেস্ক: ইসরাইলের সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দখলকৃত ফিলিস্তিনের অন্তত ১০০টি অঞ্চলে সাইরেন বাজানো হয়। আল-কুদস, তেল আবিব এবং নেগেভসহ বহু জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা দমনপীড়িত ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি সমর্থন এবং মার্কিন-সমর্থিত গণহত্যার প্রতিবাদে দখলকৃত ইয়াফা (তেল আবিব)-এর দক্ষিণে অবস্থিত একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছি।”
এই হামলাটি ‘প্যালেস্টাইন-২’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পরিচালিত হয়েছে এবং এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “এই অভিযানের সময় শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রতিহত করতে পারেনি। এটি প্রমাণ করে, দখলদার ইসরাইল ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা দুর্বল।”
ইয়াহিয়া সারি ইসলামি বিশ্বকে সতর্ক করে বলেন, “পুরো উম্মাহ যদি আজ নীরব থাকে, তাহলে এর ভয়াবহ ফল ভোগ করতে হবে। গাজায় যা ঘটছে তার ছায়া অচিরেই অন্য দেশের ওপরও পড়বে। শত্রুরা আরও আগ্রাসী হবে। আজ যদি গাজার পাশে না দাঁড়াই, তাহলে আগামীকাল বিপদ আমাদের প্রতিটি রাজধানীতে পৌঁছে যাবে।”
তিনি বলেন, “আমরা গাজার অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এই প্রতিরোধ অভিযান চালিয়ে যাব। এটা শুধু গাজার জন্য নয়, পুরো মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি প্রতিরক্ষা যুদ্ধ।”
ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করলেও ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
এই হামলা শুধু সামরিক দিক থেকে নয়, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক দিক থেকেও ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য বড় একটি বার্তা বহন করে। ইয়েমেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা চুপ করে থাকবে না এবং ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে যতদিন না পর্যন্ত গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এ হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলেও নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করতে পারে, যদি দ্রুত কূটনৈতিক সমাধান না হয়।