২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুমার নামাযের দিন ইব্রাহিমী মসজিদে ইসরাইলি হামলা, মুসল্লিকে মাটিতে ফেলে লাথি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৪ অগাস্ট ২০২১, শনিবার
  • / 50

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  জুমার নামাযের দিন ফিলিস্তিনে হযরত ইব্রাহিমের (আ.) স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার জুমার নামায পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের ওপর এ হামলা চালায় তারা।

আল-জাজিরার খবরে সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাযের দিন মসজিদ আক্রমণ করেই ক্ষান্ত থাকেনি ইসরাইলি বাহিনী একজন মুসল্লিকে নির্দয়ভাবে মাটিতে ফেলে ক্রমাগত লাথি মারছে দেখা গেছে। মুসলিমদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে।

গত সোমবারই ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানান, তারা মসজিদটির আঙ্গিনায় একটি রুট নির্মাণ প্রকল্প শুরু করেছে।  যা পার্কিং এলাকাটিকে মসজিদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে এবং একটি বৈদ্যুতিক লিফট স্থাপন করা হবে। এদিকে এর মধ্য দিয়ে পুরো স্থাপনাকে ইসরাইল দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করেন ফিলিস্তিনিরা। ওই মসজিদটির পরিচালক শেখ হেফজি আবু স্নেইনা বলেছেন,  মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসরাইল একটি অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। যদি তা নির্মিত হয় তাহলে এই মসজিদের ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হবে।

ইসরাইলি বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। মাঝখানে যুদ্ধ বিরতি সংঘর্য থাকলেও, ফের ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে পড়ে ফিলিস্তিন। গত বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় ইসরাইলি দখল নেওয়ার প্রতিবাদে হেব্রনের অন্য মসজিদগুলো বন্ধ রেখে সবাইকে ইব্রাহিমী মসজিদে জুমার নামায আদায়ের আহ্বান জানায়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার অসংখ্য ফিলিস্তিনি মসজিদটিতে জুমার নামায পড়তে জড়ো হয়েছিলেন। মসজিদের প্রবেশপথেই লোহার বেড়া বসিয়ে ও মুসল্লিদের লাইনে দাঁড় করিয়ে একজন একজন করে সবার পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে হানাদার বাহিনী। এর মধ্যেই হঠাৎ মুসল্লিদের ওপর আক্রমণ শুরু করে দখলদাররা।

প্রসঙ্গত, এই মসজিদটি ইহুদি এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের কাছে পরম শ্রদ্ধার ও পবিত্র স্থান। কারণ, এখানেই রয়েছে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সমাধি। ইহুদিরা এই স্থানকে ‘টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্স’, অন্যদিকে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে স্মরণ করে একে ইব্রাহিমি মসজিদ বলে থাকেন মুসলিমরা।

১৯৯৪ সালে এই মসজিদে মুসলিমরা প্রার্থনা করতে গেলে তাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি করা হয়। তাতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হন কমপক্ষে ১০০ মানুষ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জুমার নামাযের দিন ইব্রাহিমী মসজিদে ইসরাইলি হামলা, মুসল্লিকে মাটিতে ফেলে লাথি

আপডেট : ১৪ অগাস্ট ২০২১, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  জুমার নামাযের দিন ফিলিস্তিনে হযরত ইব্রাহিমের (আ.) স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার জুমার নামায পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের ওপর এ হামলা চালায় তারা।

আল-জাজিরার খবরে সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাযের দিন মসজিদ আক্রমণ করেই ক্ষান্ত থাকেনি ইসরাইলি বাহিনী একজন মুসল্লিকে নির্দয়ভাবে মাটিতে ফেলে ক্রমাগত লাথি মারছে দেখা গেছে। মুসলিমদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে।

গত সোমবারই ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানান, তারা মসজিদটির আঙ্গিনায় একটি রুট নির্মাণ প্রকল্প শুরু করেছে।  যা পার্কিং এলাকাটিকে মসজিদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে এবং একটি বৈদ্যুতিক লিফট স্থাপন করা হবে। এদিকে এর মধ্য দিয়ে পুরো স্থাপনাকে ইসরাইল দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করেন ফিলিস্তিনিরা। ওই মসজিদটির পরিচালক শেখ হেফজি আবু স্নেইনা বলেছেন,  মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসরাইল একটি অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। যদি তা নির্মিত হয় তাহলে এই মসজিদের ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হবে।

ইসরাইলি বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। মাঝখানে যুদ্ধ বিরতি সংঘর্য থাকলেও, ফের ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে পড়ে ফিলিস্তিন। গত বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় ইসরাইলি দখল নেওয়ার প্রতিবাদে হেব্রনের অন্য মসজিদগুলো বন্ধ রেখে সবাইকে ইব্রাহিমী মসজিদে জুমার নামায আদায়ের আহ্বান জানায়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার অসংখ্য ফিলিস্তিনি মসজিদটিতে জুমার নামায পড়তে জড়ো হয়েছিলেন। মসজিদের প্রবেশপথেই লোহার বেড়া বসিয়ে ও মুসল্লিদের লাইনে দাঁড় করিয়ে একজন একজন করে সবার পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে হানাদার বাহিনী। এর মধ্যেই হঠাৎ মুসল্লিদের ওপর আক্রমণ শুরু করে দখলদাররা।

প্রসঙ্গত, এই মসজিদটি ইহুদি এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের কাছে পরম শ্রদ্ধার ও পবিত্র স্থান। কারণ, এখানেই রয়েছে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সমাধি। ইহুদিরা এই স্থানকে ‘টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্স’, অন্যদিকে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে স্মরণ করে একে ইব্রাহিমি মসজিদ বলে থাকেন মুসলিমরা।

১৯৯৪ সালে এই মসজিদে মুসলিমরা প্রার্থনা করতে গেলে তাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি করা হয়। তাতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হন কমপক্ষে ১০০ মানুষ।