হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা ব্রাত্যর
জয়েন্টের ফল প্রকাশ স্থগিত

- আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
- / 21
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফলে স্থগিতাদেশ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শুক্রবারই শীর্ষ আদালতে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, দুই-একদিনের মধ্যেই পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। উল্লেখ্য, রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হয়েছিল গত ২৭ এপ্রিল। তার পর তিন মাস কেটে গেলেও সেই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ ঝুলে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট ওবিসি তালিকা সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল তারপর রাজ্য সরকার জানাল, তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘হাইকোর্ট এমন রায় দেবে, তা ভাবিনি। আজই সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে হাইকোর্ট অন্য রকম কিছু বিবেচনা করতে পারে, তা আমাদের ধারণার মধ্যে ছিল না’।
৭ আগস্ট রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল ঘোষণা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওবিসি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফের সেই ফলপ্রকাশ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের মামলায় নতুন ওবিসি তালিকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত বলেছে, নতুন ওবিসি তালিকা মেনে মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে না। তালিকা প্রকাশ করলে তা করতে হবে পুরনো বিধি মেনেই।
বিচারপতির মন্তব্য, ‘আপাতত নতুন ওবিসি তালিকা মেনে ১০টি পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে না। মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হলে ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্রকে মান্যতা দিয়ে প্রকাশ করতে হবে। ফলে বৃহস্পতিবার রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড আয়োজিত মেডিক্যালের এলাইড সায়েন্সের প্রবেশিকার ফলপ্রকাশও আপাতত জটিলতার মধ্যে পড়ে গিয়েছে। যার জেরে অনিশ্চয়তার মুখে রাজ্যের প্রায় তিন লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ।
গত বছর এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ২০১০ সালের পর যত ওবিসি শংসাপত্র জারি হয়েছে, তা বাতিল করা হবে। যেহেতু ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্রগুলি বৈধ, তাই জয়েন্ট এন্টান্স বোর্ডের মামলায় এর আগে বিচারপতি চন্দ জানিয়েছিলেন, ২০১০ সালের আগের ওবিসি তালিকা মেনেই ফলপ্রকাশ করা যাবে। এর মাঝে গত ২৮ জুলাই ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের উপর অন্তরবর্তী স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।