১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পালেস্টাইনের সংহতিতে ১৭ জুন জাতীয় দিবস পালনের আহ্বান বাম দলগুলির

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 78

মোকতার হোসেন মন্ডল: গাজায় চলমান ইজরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং প্যালেস্টিনির জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশে আগামী ১৭ জুনকে জাতীয় সংহতি দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানাল বামপন্থী দলগুলি। সিপিআই, সিপিআইএম, সিপিআইএমএল লিবারেশন, আরএসপি ও ফরোয়ার্ডব্লক এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছে।

বামদলগুলির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গাজায় প‍্যালেস্টিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইজরায়েলি সরকার যে জনসংহার চালাচ্ছে, আমরা তার কঠোর নিন্দা জানাই। বিগত কুড়ি মাসে ৫৫,০০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। হাসপাতালে, স্কুলে, এমনকি শরণার্থী শিবিরেও বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। গাজাবাসী আজ এক নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।”

আরও পড়ুন: চলছে বাম দলগুলির ডাকা ভারত বনধ, কড়া নিরাপত্তা হাওড়া জুড়ে

এছাড়াও ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা গাজা’ নামে মানবিক সহায়তা পরিবহনকারী আন্তর্জাতিক জাহাজে ইজরায়েলের হামলা এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবকদের আটক করার ঘটনাও তীব্রভাবে নিন্দা করেছে বামদলগুলি। ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছে, “আটক স্বেচ্ছাসেবকদের মুক্তি, গাজায় অবাধভাবে ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিতকরণ এবং অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের উচিত স্পষ্ট ও নীতিনিষ্ঠ অবস্থান গ্রহণ করা।”

বাম দলগুলির মতে, “এক সময় প্যালেস্টাইনের প্রতি ভারতের যে ঐতিহাসিক সমর্থন ছিল, বর্তমানে তা থেকে লজ্জাজনকভাবে সরে এসে ভারত সরকার ইজরায়েলি আগ্রাসনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। এটি আমাদের উপনিবেশবিরোধী ও মানবিক পররাষ্ট্রনীতির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।”

তারা জানিয়েছেন, ১৭ জুন সকাল ১১টায় দিল্লির যন্তর মন্তরে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সেইসাথে দেশজুড়ে ওইদিন পালেস্টাইনের পক্ষে এবং ইজরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বামেরা জানিয়েছে, জাতীয় সংহতি দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে,ইজরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।
সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রকাশ।

বামেদের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে দাবি জানানো যে, তারা যেন ইজরায়েলের সঙ্গে সমস্ত সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধ করে এবং প্যালেস্টাইনের প্রতি ঐতিহাসিক সমর্থনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পালেস্টাইনের সংহতিতে ১৭ জুন জাতীয় দিবস পালনের আহ্বান বাম দলগুলির

আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার

মোকতার হোসেন মন্ডল: গাজায় চলমান ইজরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং প্যালেস্টিনির জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশে আগামী ১৭ জুনকে জাতীয় সংহতি দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানাল বামপন্থী দলগুলি। সিপিআই, সিপিআইএম, সিপিআইএমএল লিবারেশন, আরএসপি ও ফরোয়ার্ডব্লক এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছে।

বামদলগুলির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গাজায় প‍্যালেস্টিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইজরায়েলি সরকার যে জনসংহার চালাচ্ছে, আমরা তার কঠোর নিন্দা জানাই। বিগত কুড়ি মাসে ৫৫,০০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। হাসপাতালে, স্কুলে, এমনকি শরণার্থী শিবিরেও বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। গাজাবাসী আজ এক নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।”

আরও পড়ুন: চলছে বাম দলগুলির ডাকা ভারত বনধ, কড়া নিরাপত্তা হাওড়া জুড়ে

এছাড়াও ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা গাজা’ নামে মানবিক সহায়তা পরিবহনকারী আন্তর্জাতিক জাহাজে ইজরায়েলের হামলা এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবকদের আটক করার ঘটনাও তীব্রভাবে নিন্দা করেছে বামদলগুলি। ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছে, “আটক স্বেচ্ছাসেবকদের মুক্তি, গাজায় অবাধভাবে ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিতকরণ এবং অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের উচিত স্পষ্ট ও নীতিনিষ্ঠ অবস্থান গ্রহণ করা।”

বাম দলগুলির মতে, “এক সময় প্যালেস্টাইনের প্রতি ভারতের যে ঐতিহাসিক সমর্থন ছিল, বর্তমানে তা থেকে লজ্জাজনকভাবে সরে এসে ভারত সরকার ইজরায়েলি আগ্রাসনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। এটি আমাদের উপনিবেশবিরোধী ও মানবিক পররাষ্ট্রনীতির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।”

তারা জানিয়েছেন, ১৭ জুন সকাল ১১টায় দিল্লির যন্তর মন্তরে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সেইসাথে দেশজুড়ে ওইদিন পালেস্টাইনের পক্ষে এবং ইজরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বামেরা জানিয়েছে, জাতীয় সংহতি দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে,ইজরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।
সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রকাশ।

বামেদের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে দাবি জানানো যে, তারা যেন ইজরায়েলের সঙ্গে সমস্ত সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধ করে এবং প্যালেস্টাইনের প্রতি ঐতিহাসিক সমর্থনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।