০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরসভায় ইডির তদন্ত রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ বিচারপতি সিনহার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 20

পারিজাত মোল্লা:  শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে  পুরসভার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, -‘এই রিপোর্টে নতুন কিছুই নেই!’  বিচারপতি  জানতে চেয়েছেন যে -‘ তদন্তের গতি এত কম কেন?’ এর আগে সিবিআইকেও এইরকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।

এদিন ইডির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিচারপতি সিনহা এজলাসে বলেন , -‘ রিপোর্ট একেবারেই সন্তোষজনক নয়! রিপোর্টে নতুন কী রয়েছে তা পরিষ্কার নয়’। যদিও ইডির আইনজীবীর যুক্তি, -‘ এই মামলায় মূল তদন্ত করছে সিবিআই। তাই ওই সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতির ওপরই তাদের পদক্ষেপ নির্ভর করছে’।

এর ফলে ইডির দাবি অনুযায়ী সমস্যা থেকে যাচ্ছে কারণ এদিন সিবিআইয়ের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। তারা আরও সময় চেয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্ট কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, আগামী ১৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ধৃত  শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর পুরসভা দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে।অভিযোগ , কলকাতা ছাড়াও একাধিক পুরসভায় মোটা অঙ্কের দুর্নীতি হয়েছে। অয়নের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিটও পায় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরেই বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এই মামলা পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এলেও আগের নির্দেশই বহাল আছে।পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দাখিল করেছে রাজ্য। জুলাই মাসে এই এসএলপি মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি-তে তথ্য লুকিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের এমন আচরণ বরদাস্ত নয় বলে চলতি সপ্তাহে  মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এক বিচারপতি। রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এ নিয়ে রাজ্য আগে লিখিতভাবে আবেদন করে ডিভিশন বেঞ্চে জানাক সুপ্রিম কোর্টের এসএলপি নিয়ে তারা কী করতে চায়?  তারপরেই হবে শুনানি।

আগামী সোমবার দুপুর দুটোয় ফের শুনানি হবে ডিভিশন বেঞ্চে ।শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত কি একই সঙ্গে হওয়া উচিত নয়? চলতি সপ্তাহে  শুনানি চলাকালীন এই প্রশ্ন তোলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।উল্লেখ্য,  গত বুধবারই পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআইয়ের একাধিক দল। এমনকি, সল্টলেকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে  অফিস বিল্ডিংয়েও যান তদন্তকারীরা। সেই বিল্ডিংয়ের ৫ তলায় দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালান তাঁরা।


                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুরসভায় ইডির তদন্ত রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ বিচারপতি সিনহার

আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পারিজাত মোল্লা:  শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে  পুরসভার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, -‘এই রিপোর্টে নতুন কিছুই নেই!’  বিচারপতি  জানতে চেয়েছেন যে -‘ তদন্তের গতি এত কম কেন?’ এর আগে সিবিআইকেও এইরকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।

এদিন ইডির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিচারপতি সিনহা এজলাসে বলেন , -‘ রিপোর্ট একেবারেই সন্তোষজনক নয়! রিপোর্টে নতুন কী রয়েছে তা পরিষ্কার নয়’। যদিও ইডির আইনজীবীর যুক্তি, -‘ এই মামলায় মূল তদন্ত করছে সিবিআই। তাই ওই সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতির ওপরই তাদের পদক্ষেপ নির্ভর করছে’।

এর ফলে ইডির দাবি অনুযায়ী সমস্যা থেকে যাচ্ছে কারণ এদিন সিবিআইয়ের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। তারা আরও সময় চেয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্ট কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, আগামী ১৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ধৃত  শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর পুরসভা দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে।অভিযোগ , কলকাতা ছাড়াও একাধিক পুরসভায় মোটা অঙ্কের দুর্নীতি হয়েছে। অয়নের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিটও পায় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরেই বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এই মামলা পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এলেও আগের নির্দেশই বহাল আছে।পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দাখিল করেছে রাজ্য। জুলাই মাসে এই এসএলপি মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি-তে তথ্য লুকিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের এমন আচরণ বরদাস্ত নয় বলে চলতি সপ্তাহে  মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এক বিচারপতি। রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এ নিয়ে রাজ্য আগে লিখিতভাবে আবেদন করে ডিভিশন বেঞ্চে জানাক সুপ্রিম কোর্টের এসএলপি নিয়ে তারা কী করতে চায়?  তারপরেই হবে শুনানি।

আগামী সোমবার দুপুর দুটোয় ফের শুনানি হবে ডিভিশন বেঞ্চে ।শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত কি একই সঙ্গে হওয়া উচিত নয়? চলতি সপ্তাহে  শুনানি চলাকালীন এই প্রশ্ন তোলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।উল্লেখ্য,  গত বুধবারই পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআইয়ের একাধিক দল। এমনকি, সল্টলেকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে  অফিস বিল্ডিংয়েও যান তদন্তকারীরা। সেই বিল্ডিংয়ের ৫ তলায় দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালান তাঁরা।