সর্বদল বৈঠকের ডাক কপিল সিব্বলের, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার দাবি

- আপডেট : ১১ মে ২০২৫, রবিবার
- / 120
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শনিবার বিকালে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করে। তার তিন ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে কাশ্মীরের শ্রীনগরে গোলা-গুলি চালায়। তা প্রতিহত করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। এরপর রবিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার দাবি জানালেন রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল। তবে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে বৈঠক থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সংসদের বিশেষ অধিবেশনেরও দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন যে, মনমোহন সিং যদি আজ প্রধানমন্ত্রী হতেন তাহলে তিনি সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন এবং একটি বিশেষ অধিবেশনও ডাকতেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান তাঁর মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হয়েছে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান যে ৪৮ ঘণ্টা ধরে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইও-এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে খবর। এই বিষয়গুলি নিয়ে বিরোধী দলগুলিকে কোনও রকম তথ্য দেওয়া হয়নি বলে প্রশ্ন তুলেছেন কপিল সিব্বল।
তিনি বলেন, “আজ আমরা কোনও সমালোচনা করব না কারণ এটি সমালোচনার সময় নয়। আমরা কেবল একটি বিশেষ সংসদ অধিবেশন এবং একটি সর্বদলীয় সভা ডাকতে চাই। আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করতে চাই যে সরকার যতক্ষণ না তাদের আশ্বাস দেয় যে প্রধানমন্ত্রীও সভায় উপস্থিত থাকবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সভায় যোগ দেবেন না,”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিশ্চিত যে ডঃ মনমোহন সিং যদি আজ প্রধানমন্ত্রী হতেন, তাহলে তিনি সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন এবং একটি বিশেষ অধিবেশনও ডাকতেন।”গত কয়েকদিনে কী ঘটেছে তার বিশদ জানতে বর্ষা অধিবেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ। পহেলগাঁও হামলার পর সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যোগ না দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিতি পছন্দ করেননি বলে জানান সিব্বল। তিনি বলেন, “মোদি ভেবেছিলেন বিহার নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলিউড, কেরালাও গিয়েছিলেন। তিনি মনে করেন যে যখনই এমন ঘটনা ঘটে, মণিপুরে যাই ঘটুক না কেন সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।”
প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশংসা করেছেন। দেশের সবাই এক কণ্ঠে বলেছেন যথেষ্ট হয়েছে এবং পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া উচিত।