০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপাতত জেলেই থাকবে কাপ্পান, ইডির বকেয়া মামলায় চলছে তদন্ত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 197

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আপাতত জেলেই থাকতে হবে কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে। সোমবার লখনউয়ের আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও এই মুহূর্তে জেলের বাইরে বেরতে পারবেন না কাপ্পান।

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ED অফিসে হাজিরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী

সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, অন্য একটি মামলায় ইতিমধ্যেই কাপ্পানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই জন্যই আপাতত কাপ্পানকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন না সেখানকার আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: betting app case: অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে ইডির তলব

 

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের কারামন্ত্রীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ ইডির

উল্লেখ্য, কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে শুক্রবার জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী কাপ্পানকে এখন ছ’সপ্তাহ দিল্লিতে কাটাতে হবে তাকে। প্রতি সোমবার হাজিরা দিতে হবে স্থানীয় থানায়। তারপর তিনি কেরল যেতে পারবেন। সে’খানেও তাকে প্রতি সোমবার স্থানীয় থানায় হাজিরা দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন কাপ্পানকে জামিন দিতে গিয়ে বলেছে, কাপ্পান মানি লন্ডারিং মামলায় আদালতে জামিনের আবেদন করতে পারেন।

 

প্রসঙ্গত, ২ বছর আগে হাথরাসকাণ্ডের খবর করতে যাওয়ার সময় কাপ্পানকে গ্রেফতার করে যোগী সরকারের পুলিশ। তাঁর সঙ্গে জঙ্গি যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ সরকারের। কাপ্পানের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ সরকার ইউএপিএ আইনে মামলা করেছিল। কাপ্পানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে একটি মামলা করেছে ইডিও। ২০২০ সালে গ্রেফতার হওয়ার পরে টানা দু’ ই বছর লখনউ জেলে বন্দি ছিলেন কাপ্পান। সেই সময়ে হাথরসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাথরসের দিকে রওনা দিয়েছিলেন সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানও। প্রাথমিক পর্যায়ে এলাকায় অশান্তি তৈরির অভিযোগে কাপ্পানকে আটক করা হয়। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবরের পর থেকে কাপ্পানের ঠাঁই হয়েছিল লখনউ জেল।

যদিও সুপ্রিম কোর্টের পর সোমবারই লখনউ আদালতে ফের জামিন পান কাপ্পান। তা সত্ত্বেও এখনই কারামুক্তি ঘটছে না কেরলের এই সাংবাদিকের।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আপাতত জেলেই থাকবে কাপ্পান, ইডির বকেয়া মামলায় চলছে তদন্ত

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আপাতত জেলেই থাকতে হবে কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে। সোমবার লখনউয়ের আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও এই মুহূর্তে জেলের বাইরে বেরতে পারবেন না কাপ্পান।

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ED অফিসে হাজিরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী

সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, অন্য একটি মামলায় ইতিমধ্যেই কাপ্পানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই জন্যই আপাতত কাপ্পানকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন না সেখানকার আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: betting app case: অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে ইডির তলব

 

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের কারামন্ত্রীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ ইডির

উল্লেখ্য, কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে শুক্রবার জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী কাপ্পানকে এখন ছ’সপ্তাহ দিল্লিতে কাটাতে হবে তাকে। প্রতি সোমবার হাজিরা দিতে হবে স্থানীয় থানায়। তারপর তিনি কেরল যেতে পারবেন। সে’খানেও তাকে প্রতি সোমবার স্থানীয় থানায় হাজিরা দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন কাপ্পানকে জামিন দিতে গিয়ে বলেছে, কাপ্পান মানি লন্ডারিং মামলায় আদালতে জামিনের আবেদন করতে পারেন।

 

প্রসঙ্গত, ২ বছর আগে হাথরাসকাণ্ডের খবর করতে যাওয়ার সময় কাপ্পানকে গ্রেফতার করে যোগী সরকারের পুলিশ। তাঁর সঙ্গে জঙ্গি যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ সরকারের। কাপ্পানের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ সরকার ইউএপিএ আইনে মামলা করেছিল। কাপ্পানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে একটি মামলা করেছে ইডিও। ২০২০ সালে গ্রেফতার হওয়ার পরে টানা দু’ ই বছর লখনউ জেলে বন্দি ছিলেন কাপ্পান। সেই সময়ে হাথরসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাথরসের দিকে রওনা দিয়েছিলেন সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানও। প্রাথমিক পর্যায়ে এলাকায় অশান্তি তৈরির অভিযোগে কাপ্পানকে আটক করা হয়। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবরের পর থেকে কাপ্পানের ঠাঁই হয়েছিল লখনউ জেল।

যদিও সুপ্রিম কোর্টের পর সোমবারই লখনউ আদালতে ফের জামিন পান কাপ্পান। তা সত্ত্বেও এখনই কারামুক্তি ঘটছে না কেরলের এই সাংবাদিকের।