০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্নাটকে ক্রমেই বাড়ছে নাবালিকা প্রসূতি, রিপোর্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার
  • / 117

 হাইলাইটস:

৩ বছরে ৩৩, ৬২১  নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা

আরও পড়ুন: কর্ণাটকে সেনার পোশাকে দুঃসাহসী ডাকাতি, ৫৮ কেজি সোনা লুট

                                   ২০২৪ সালে শুধু ব্যাঙ্গালুরুতে মোট প্রসূতির সংখ্যা ছিল ৪, ৩২৪

আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসার পর কড়া পুলিশ, মেরুকরণের তাশ বিজেপির

 

আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ রুখতে আইনের ভাবনা সিদ্দারামাইয়ার

ব্যাঙ্গালুরু, ৩১ জানুয়ারি: বাল্য-বিবাহ রোধে লাগাতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে  সরকার। তবুও পুলিশ প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিবছরই বিয়ে হচ্ছে হাজার হাজার নাবালিকার। বছর ঘোরার আগে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ছে তারা। তবে শুধু বৈবাহিক কারণ বশত না আরও নানাকারণে অপরিপক্ক বয়সেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছে অবিবাহিত পড়ুয়ারাও।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের  গর্ভধারণের ঘটনার নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কর্নাটক। বিগত ৩ বছরে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে প্রায় ৩৪ হাজার নাবালিকা প্রসূতির ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০২৪ সালে শুধু ব্যাঙ্গালুরুতে মোট প্রসূতির সংখ্যা ছিল ৪, ৩২৪। অন্যান্য জেলাগুলির মধ্যে বিজয়নগর (২,৪৬৮)বাল্লারি (২২৮৩), বেলাগাভি (২২২৪), এবং মাইসুরু (১৯৩০) ছিল। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর জানিয়েছে, শুধু  কর্নাটকে ২০২১-২২ সালে ১১, ৭৯২ নাবালিকা প্রসূতির কেস রিপোর্ট করা হয়েছে অন্যদিকে  ২০২২-২৩ সালে ১৩, ১৯৮ এবং  ২০২৩-২৪ সালে ৮ হাজার ৬৩১ কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে ২৪ নাবালিকা প্রসূতির সংখ্যা অনেকটা কমেছে। যা কিছুটা স্বস্তির বলে জানিয়েছে রাজ্য-কেন্দ্র সরকার। তবে ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের গর্ভবতী হওয়াটা স্বভাবতই বেশ  উদ্বেগের  বিষয় বলেও জানিয়েছে তারা।

 

এই প্রক্ষিতে কর্নাটক স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস এর চেয়ারম্যান নাগান্না গৌড়া জানান, নাবালিকা প্রসূতির বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যার মধ্য অন্যতম হল মোবাইল আসক্তি। কমবয়সি ছেলেমেয়েদের হাতে সহজেই চলে আসছে স্মার্টফোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সক্রিয়তা বাড়ছে। তারপরে পরিচয়, প্রেম এবং পালিয়ে গিয়ে বিয়ে বা বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে প্রতারিত হতে হচ্ছে। আরও কারণ হিসেবে উঠে আসছে বাড়িতে বাবা-মা না থাকাও। নজরদারির অভাবে অনেক মেয়েই ভুল পদক্ষেপ করে ফেলে। প্রতারণার ফাঁদে পা দেয়। এই জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়ের পক্ষ থেকে নানা ধরণের সচেতনমূলক ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে।

 

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কর্নাটকে ক্রমেই বাড়ছে নাবালিকা প্রসূতি, রিপোর্ট

আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার

 হাইলাইটস:

৩ বছরে ৩৩, ৬২১  নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা

আরও পড়ুন: কর্ণাটকে সেনার পোশাকে দুঃসাহসী ডাকাতি, ৫৮ কেজি সোনা লুট

                                   ২০২৪ সালে শুধু ব্যাঙ্গালুরুতে মোট প্রসূতির সংখ্যা ছিল ৪, ৩২৪

আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসার পর কড়া পুলিশ, মেরুকরণের তাশ বিজেপির

 

আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ রুখতে আইনের ভাবনা সিদ্দারামাইয়ার

ব্যাঙ্গালুরু, ৩১ জানুয়ারি: বাল্য-বিবাহ রোধে লাগাতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে  সরকার। তবুও পুলিশ প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিবছরই বিয়ে হচ্ছে হাজার হাজার নাবালিকার। বছর ঘোরার আগে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ছে তারা। তবে শুধু বৈবাহিক কারণ বশত না আরও নানাকারণে অপরিপক্ক বয়সেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছে অবিবাহিত পড়ুয়ারাও।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের  গর্ভধারণের ঘটনার নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কর্নাটক। বিগত ৩ বছরে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে প্রায় ৩৪ হাজার নাবালিকা প্রসূতির ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০২৪ সালে শুধু ব্যাঙ্গালুরুতে মোট প্রসূতির সংখ্যা ছিল ৪, ৩২৪। অন্যান্য জেলাগুলির মধ্যে বিজয়নগর (২,৪৬৮)বাল্লারি (২২৮৩), বেলাগাভি (২২২৪), এবং মাইসুরু (১৯৩০) ছিল। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর জানিয়েছে, শুধু  কর্নাটকে ২০২১-২২ সালে ১১, ৭৯২ নাবালিকা প্রসূতির কেস রিপোর্ট করা হয়েছে অন্যদিকে  ২০২২-২৩ সালে ১৩, ১৯৮ এবং  ২০২৩-২৪ সালে ৮ হাজার ৬৩১ কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে ২৪ নাবালিকা প্রসূতির সংখ্যা অনেকটা কমেছে। যা কিছুটা স্বস্তির বলে জানিয়েছে রাজ্য-কেন্দ্র সরকার। তবে ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের গর্ভবতী হওয়াটা স্বভাবতই বেশ  উদ্বেগের  বিষয় বলেও জানিয়েছে তারা।

 

এই প্রক্ষিতে কর্নাটক স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস এর চেয়ারম্যান নাগান্না গৌড়া জানান, নাবালিকা প্রসূতির বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যার মধ্য অন্যতম হল মোবাইল আসক্তি। কমবয়সি ছেলেমেয়েদের হাতে সহজেই চলে আসছে স্মার্টফোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সক্রিয়তা বাড়ছে। তারপরে পরিচয়, প্রেম এবং পালিয়ে গিয়ে বিয়ে বা বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে প্রতারিত হতে হচ্ছে। আরও কারণ হিসেবে উঠে আসছে বাড়িতে বাবা-মা না থাকাও। নজরদারির অভাবে অনেক মেয়েই ভুল পদক্ষেপ করে ফেলে। প্রতারণার ফাঁদে পা দেয়। এই জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়ের পক্ষ থেকে নানা ধরণের সচেতনমূলক ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে।