উমরপুর মোড় থেকে লালগোলা পর্যন্ত রাস্তাকে ৪ লেন করার দাবিতে জেলা পূর্ত দপ্তরকে চিঠি খলিলুরের
- আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 40
আবদুল ওদুদ: মুর্শিদাবাদ জেলার উমরপুর মোড় (এনএইচ-১২) থেকে জঙ্গিপুর শহর হয়ে লালগোলা ব্লক পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং নতুন নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে জেলা পিডব্লিউডি অর্থাৎ পূর্ত দপ্তরকে চিঠি দিলেন জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ খলিলুর রহমান। জেলা পূর্ত দপ্তরকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ জেলার খড়খড়ি, দাদা ঠাকুর মোড়, সাইদাপুর মোড় এবং জঙ্গিপুর শহর এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়া উমরপুর মোড় (এনএইচ-১২) থেকে লালগোলা ব্লকের সাথে সংযোগকারী রাস্তাটি প্রশস্তকরণ এবং পুনর্নির্মাণের জরুরি প্রয়োজনীয়তার প্রতি আমি আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন,এই রাস্তাটি জঙ্গিপুর মহকুমার মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে কাজ করে, জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার এবং আন্তঃব্লক যোগাযোগ সহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাগুলিতে প্রদান করে। তবে, বিদ্যমান দুই লেনের রাস্তাটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, সরু এবং যানজটে পরিণত হয়েছে, যার ফলে ঘন ঘন যানজট, দুর্ঘটনা এবং অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিত্যদিন যানবাহন বাড়ছে ফলে গাড়ি এবং মানুষের চলাচল ক্রমশঃ অসুবিধে পর্যায়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে যাতে এলাকার কাজের গতি আনতে এবং সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই রাস্তাগুলি সংস্কারের প্রয়োজন। দুই লেনের রাস্তাটি ৪ লেন করলে যেমন এলাকার উন্নয়নের গতি বাড়বে তেমনি ভাবেই সামাজিক এবং ভৌগলিক দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এই এলাকা।
জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনা করে, যানবাহনের মসৃণ ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য নতুন রাস্তা নির্মাণ, সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং আলোর সুবিধা সহ রাস্তাটিকে চার লেনের মানসম্পন্ন করার জরুরী প্রয়োজন বলে মনে করি। আর এই পরিস্থিতিতে সংস্কার করলে সার্বিকভাবে উন্নয়ন হবে এলাকার। তিনি চিঠিতে আরো উল্লেখ করেন,উমরপুর মোড় (এনএইচ-১২) থেকে লালগোলা ব্লক পর্যন্ত রাস্তাটি প্রশস্তকরণ প্রকল্প (দুই লেন থেকে চার লেন) অনুমোদন করা হোক। নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য একটি বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) প্রস্তুত এবং অনুমোদনের জন্য পূর্ত বিভাগ উদ্যোগ গ্রহণ করুক। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে প্রকল্পটি দ্রুত শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। এটি আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি করবে, যানজট কমাবে এবং মুর্শিদাবাদের জনগণ, বিশেষ করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভরশীলদের সেবা প্রদান করবে।




























