১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতা পুরসভার ছুটি বিতর্কে আধিকারিককে শোকজ

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বুধবার
  • / 21

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ কলকাতা পুরসভার ছুটি বিতর্কে এবার মুখ খুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিতই না। কমিশনারের অনুমতি কেন নেয়নি, সেটা আমি স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করতে বলেছি। এরকম কোনই ছুটি বিজ্ঞপ্তি হয় না। সরকারি ছুটি আমাদের ছুটি, সরকারি ক্যালেন্ডারে যা ছুটি, সেটাই আমাদের ছুটি। সুতরাং এখানে আলাদা করে কোনও নোটিফিকেশন বানানোর কোনও মানেই হয় না। আমি বাংলায় সব সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। সেই কারণে আমরা সব ধর্ম উৎসবেই আমরা আনন্দ করি।”

প্রসঙ্গত, ঈদে দু’দিনের ছুটি। অথচ বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল! কলকাতা পুরসভার এমন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তুমুল শোরগোল। মাঠে নেমে পড়ে বিজেপিও। প্রশ্ন তোলে, ‘আমরা কি বাংলাদেশে বাস করছি?’ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে পুরসভা। জানিয়ে দেয়, এক আধিকারিক কারও অনুমতি না নিয়ে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ওই আধিকারিককে শোকজ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটিও বাতিল করা হয়েছে। বিতর্কিত এই বিজ্ঞপ্তিটি আবার সামনে এনেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে,  ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিশ্বকর্মা পুজোর যে ছুটি ছিল, সেই ছুটিটার কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত সমস্ত স্কুলগুলিতে বাতিল করা হয়েছে। পরিবর্তে ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল, ২০২৫ ছুটি দেওয়া হয়েছে। আর ভিডিয়ো বার্তায় এই বিষয়টিকেই সামনে এনে বিজেপি নেতার আক্রমণ, “পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ তৈরি করা হচ্ছে।”

এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছুটি হবে কেন? ছুটি হবে জাতীয় অনুষ্ঠান মেনে। যদি বুঝতাম ভাষা দিবসে ছুটি দিয়েছে, কিংবা স্বাধীনতা দিবসে দু’দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে, তা না করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছুটি দেওয়া হচ্ছে।”

যদিও বিজেপি এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহার বক্তব্য, “আমরা শোকজ করেছি, তিনি এরকম একটা সার্কুলার কীভাবে বার করলেন? এটা তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত। এরকম কোথাও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ডিসিপ্লিনারি অ্য়াকশন তাঁর বিরুদ্ধে নেব। আমার বা মেয়রের কোনও অ্যাপ্রুভাল সিগনেচার কোথাও পাবেন না।”

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতা পুরসভার ছুটি বিতর্কে আধিকারিককে শোকজ

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ কলকাতা পুরসভার ছুটি বিতর্কে এবার মুখ খুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিতই না। কমিশনারের অনুমতি কেন নেয়নি, সেটা আমি স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করতে বলেছি। এরকম কোনই ছুটি বিজ্ঞপ্তি হয় না। সরকারি ছুটি আমাদের ছুটি, সরকারি ক্যালেন্ডারে যা ছুটি, সেটাই আমাদের ছুটি। সুতরাং এখানে আলাদা করে কোনও নোটিফিকেশন বানানোর কোনও মানেই হয় না। আমি বাংলায় সব সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। সেই কারণে আমরা সব ধর্ম উৎসবেই আমরা আনন্দ করি।”

প্রসঙ্গত, ঈদে দু’দিনের ছুটি। অথচ বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল! কলকাতা পুরসভার এমন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তুমুল শোরগোল। মাঠে নেমে পড়ে বিজেপিও। প্রশ্ন তোলে, ‘আমরা কি বাংলাদেশে বাস করছি?’ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে পুরসভা। জানিয়ে দেয়, এক আধিকারিক কারও অনুমতি না নিয়ে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ওই আধিকারিককে শোকজ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটিও বাতিল করা হয়েছে। বিতর্কিত এই বিজ্ঞপ্তিটি আবার সামনে এনেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে,  ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিশ্বকর্মা পুজোর যে ছুটি ছিল, সেই ছুটিটার কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত সমস্ত স্কুলগুলিতে বাতিল করা হয়েছে। পরিবর্তে ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল, ২০২৫ ছুটি দেওয়া হয়েছে। আর ভিডিয়ো বার্তায় এই বিষয়টিকেই সামনে এনে বিজেপি নেতার আক্রমণ, “পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ তৈরি করা হচ্ছে।”

এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছুটি হবে কেন? ছুটি হবে জাতীয় অনুষ্ঠান মেনে। যদি বুঝতাম ভাষা দিবসে ছুটি দিয়েছে, কিংবা স্বাধীনতা দিবসে দু’দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে, তা না করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছুটি দেওয়া হচ্ছে।”

যদিও বিজেপি এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহার বক্তব্য, “আমরা শোকজ করেছি, তিনি এরকম একটা সার্কুলার কীভাবে বার করলেন? এটা তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত। এরকম কোথাও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ডিসিপ্লিনারি অ্য়াকশন তাঁর বিরুদ্ধে নেব। আমার বা মেয়রের কোনও অ্যাপ্রুভাল সিগনেচার কোথাও পাবেন না।”