১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বহুমূল্য কাতারি জেট ‘উপহার’ গ্রহণ ট্রাম্পের, সবচেয়ে বড় ঘুষ দাবি বিরোধীদের

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 143

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কাতার থেকে একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান গ্রহণ করেছে। আগামী দিনে এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানিয়েছেন, ‘সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ কাতার থেকে বোয়িং ৭৪৭ গ্রহণ করেছেন। এখন এই বিমানে প্রেসিডেন্টের যাতায়াত ও নির্বাহী কার্যসম্পাদনের উপযোগী নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ হবে।’

আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেসে জারি কারফিউ, বিক্ষোভ থামাতে গণগ্রেফতার

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমেরিকার রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি তো বটেই, এমনকি রিপাবলিকানদের একাংশও প্রশ্ন তুলছেন, বিদেশি রাষ্ট্রের কাছ থেকে উপহার হিসেবে প্রেসিডেন্সিয়াল এয়ারক্রাফট গ্রহণ কতটা নৈতিক বা আইনি? ট্রাম্প দাবি করেছেন, এটি কাতারের দেওয়া ‘সম্পূর্ণ বিনামূল্যের উপহার’। অথচ সিএনএনের তদন্ত বলছে, প্রথমে ট্রাম্প প্রশাসনই কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এমন একটি বিমানের সম্ভাবনার খোঁজে। বোয়িং কর্তৃপক্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের এমন গ্রাহক দেশের তালিকা দিয়েছিল, যেখান থেকে দ্রুত বিমানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, সেই তালিকায় কাতার ছিল।

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্বে বিপাকে নাসা!

ট্রাম্প প্রশাসন নতুন  ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এর বিকল্প খুঁজতে মরিয়া ছিল, কারণ পুরনো বিমানটি আর উপযোগী নয়। বোয়িং নতুন উড়োজাহাজ দিতে অন্তত দু’বছর সময় চেয়েছিল, তাই তাড়াহুড়োয় বিকল্প খুঁজছিল হোয়াইট হাউজ। যদিও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, কাতারি বোয়িং ৭৪৭-এ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও আধুনিকীকরণের কাজ করতে গেলে প্রচুর সময় ও অর্থ লাগবে। এমনকি সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ কাঠামো খুলে নতুন করে তৈরি করতে হতে পারে। এতে মূল উড়োজাহাজের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ হতে পারে।

আরও পড়ুন: শুল্কনীতি অবৈধ, মার্কিন আদালতে ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প

এই বিমান প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে এক উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকে এনবিসির এক সাংবাদিক প্রশ্ন তুললে রীতিমতো ক্ষেপে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আপনার এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া উচিত আপনি একজন ভয়ঙ্কর সাংবাদিক। আপনার যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা নেই এই কাজের জন্য। এনবিসির মতো নেটওয়ার্ক কীভাবে চলে, তা নিয়েই তদন্ত হওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনার কাতারি জেট নিয়ে প্রশ্নের কোনও মানে হয় না। কাতার শুধু একটা বিমান দিচ্ছে না, তারা ৫.১ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগও করছে। এটা খুবই ইতিবাচক।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বহুমূল্য কাতারি জেট ‘উপহার’ গ্রহণ ট্রাম্পের, সবচেয়ে বড় ঘুষ দাবি বিরোধীদের

আপডেট : ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কাতার থেকে একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান গ্রহণ করেছে। আগামী দিনে এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানিয়েছেন, ‘সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ কাতার থেকে বোয়িং ৭৪৭ গ্রহণ করেছেন। এখন এই বিমানে প্রেসিডেন্টের যাতায়াত ও নির্বাহী কার্যসম্পাদনের উপযোগী নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ হবে।’

আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেসে জারি কারফিউ, বিক্ষোভ থামাতে গণগ্রেফতার

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমেরিকার রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি তো বটেই, এমনকি রিপাবলিকানদের একাংশও প্রশ্ন তুলছেন, বিদেশি রাষ্ট্রের কাছ থেকে উপহার হিসেবে প্রেসিডেন্সিয়াল এয়ারক্রাফট গ্রহণ কতটা নৈতিক বা আইনি? ট্রাম্প দাবি করেছেন, এটি কাতারের দেওয়া ‘সম্পূর্ণ বিনামূল্যের উপহার’। অথচ সিএনএনের তদন্ত বলছে, প্রথমে ট্রাম্প প্রশাসনই কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এমন একটি বিমানের সম্ভাবনার খোঁজে। বোয়িং কর্তৃপক্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের এমন গ্রাহক দেশের তালিকা দিয়েছিল, যেখান থেকে দ্রুত বিমানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, সেই তালিকায় কাতার ছিল।

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্বে বিপাকে নাসা!

ট্রাম্প প্রশাসন নতুন  ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এর বিকল্প খুঁজতে মরিয়া ছিল, কারণ পুরনো বিমানটি আর উপযোগী নয়। বোয়িং নতুন উড়োজাহাজ দিতে অন্তত দু’বছর সময় চেয়েছিল, তাই তাড়াহুড়োয় বিকল্প খুঁজছিল হোয়াইট হাউজ। যদিও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, কাতারি বোয়িং ৭৪৭-এ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও আধুনিকীকরণের কাজ করতে গেলে প্রচুর সময় ও অর্থ লাগবে। এমনকি সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ কাঠামো খুলে নতুন করে তৈরি করতে হতে পারে। এতে মূল উড়োজাহাজের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ হতে পারে।

আরও পড়ুন: শুল্কনীতি অবৈধ, মার্কিন আদালতে ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প

এই বিমান প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে এক উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকে এনবিসির এক সাংবাদিক প্রশ্ন তুললে রীতিমতো ক্ষেপে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আপনার এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া উচিত আপনি একজন ভয়ঙ্কর সাংবাদিক। আপনার যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা নেই এই কাজের জন্য। এনবিসির মতো নেটওয়ার্ক কীভাবে চলে, তা নিয়েই তদন্ত হওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনার কাতারি জেট নিয়ে প্রশ্নের কোনও মানে হয় না। কাতার শুধু একটা বিমান দিচ্ছে না, তারা ৫.১ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগও করছে। এটা খুবই ইতিবাচক।’