০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রয়াত কুলতলির ৯ বারের বিধায়ক এস ইউ সি আই দলের  প্রবোধ পুরকাইত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 210

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর: প্রয়াত হলেন কুলতলি বিধানসভার ৯ বারের বিধায়ক প্রবোধ পুরকাইত। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জয়নগরের দক্ষিণাঞ্চল স্বাস্থ্য সদনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। ১৯৩৮ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর কুলতলির চুপড়িঝাড়ার ঝুপখালিতে তাঁর জন্ম। গত শতাব্দীর ৬০’র দশকে কৃষক আন্দোলন, বেনাম জমি উদ্ধার আন্দোলনে যুক্ত হয়ে মার্ক্সবাদী চিন্তানায়ক শিবদাস ঘোষের চিন্তার সংস্পর্শে আসেন। হাইস্কুলের শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি এসইউসিআই (সি) দলে যুক্ত হন এবং ১৯৬৭ সালে কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে হাজার হাজার বিঘা বেনাম জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিলি করা হয়। বিধায়ক থাকা অবস্থায় তৎকালীন সিপিআইএম পরিচালিত রাজ্য সরকার যখন সুন্দরবনে পরিবেশ বিনষ্টকারী বহুজাতিক সংস্থার ইকো ট্যুরিজম চালু করার চেষ্টা করে তখন তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলে তা প্রতিহত করেন। সুন্দরবনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধেও তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন।২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি টানা ৯ বারের বিধায়ক ছিলেন কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্রের।বিধায়ক থাকাকালীন ২০০৫ সালে বাম সরকারের হাতে গ্রেফতার ও হয়েছিল।পরে তৃনমূল কংগ্রেসের সরকারের ক্ষনতায় আসার কয়েক বছর পর জেল থেকে মুক্তি পান।জেলের ভেতর একবার হৃদরোগ আক্রান্ত হয়েছিলেন।জেল থেকে মুক্তি পেয়েও বসে না থেকে দলের কৃষক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।এমনকি মৃত্যুর দু সপ্তাহ আগে জয়নগর শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে দলের সর্ব ভারতীয় কৃষক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানে সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনলেন মহকুমাশাসক ও বিধায়ক

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রয়াত কুলতলির ৯ বারের বিধায়ক এস ইউ সি আই দলের  প্রবোধ পুরকাইত

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর: প্রয়াত হলেন কুলতলি বিধানসভার ৯ বারের বিধায়ক প্রবোধ পুরকাইত। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জয়নগরের দক্ষিণাঞ্চল স্বাস্থ্য সদনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। ১৯৩৮ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর কুলতলির চুপড়িঝাড়ার ঝুপখালিতে তাঁর জন্ম। গত শতাব্দীর ৬০’র দশকে কৃষক আন্দোলন, বেনাম জমি উদ্ধার আন্দোলনে যুক্ত হয়ে মার্ক্সবাদী চিন্তানায়ক শিবদাস ঘোষের চিন্তার সংস্পর্শে আসেন। হাইস্কুলের শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি এসইউসিআই (সি) দলে যুক্ত হন এবং ১৯৬৭ সালে কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে হাজার হাজার বিঘা বেনাম জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিলি করা হয়। বিধায়ক থাকা অবস্থায় তৎকালীন সিপিআইএম পরিচালিত রাজ্য সরকার যখন সুন্দরবনে পরিবেশ বিনষ্টকারী বহুজাতিক সংস্থার ইকো ট্যুরিজম চালু করার চেষ্টা করে তখন তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলে তা প্রতিহত করেন। সুন্দরবনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধেও তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন।২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি টানা ৯ বারের বিধায়ক ছিলেন কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্রের।বিধায়ক থাকাকালীন ২০০৫ সালে বাম সরকারের হাতে গ্রেফতার ও হয়েছিল।পরে তৃনমূল কংগ্রেসের সরকারের ক্ষনতায় আসার কয়েক বছর পর জেল থেকে মুক্তি পান।জেলের ভেতর একবার হৃদরোগ আক্রান্ত হয়েছিলেন।জেল থেকে মুক্তি পেয়েও বসে না থেকে দলের কৃষক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।এমনকি মৃত্যুর দু সপ্তাহ আগে জয়নগর শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে দলের সর্ব ভারতীয় কৃষক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানে সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনলেন মহকুমাশাসক ও বিধায়ক