২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেট্রলপাম্পের কর্মীকে চাপা দিয়ে খুন, ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 69

শফিকুল ইসলাম, নদিয়া: নদিয়ার শান্তিপুরের ঘটনা। পেট্রোল পাম্পের এক কর্মীকে খুনের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তকারী রায় আদালতের। তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে রানাঘাট আদালত। শান্তিপুরের কন্দখোলায় পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে টাকা না দিয়ে পালানোর সময় পেট্রোল পাম্পের এক কর্মীকে পিষে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল রানাঘাট আদালত।  সূত্রের খবর, গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগরগামী একটি মাছ বোঝাই পিকআপ গাড়ি শান্তিপুর থানার কন্দখোলা পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে ঢোকে।

অভিযোগ, তেল ভরার পর টাকা না দিয়েই পালানোর চেষ্টা করলে ওই গাড়িকে বাধা দেয় পাম্পের কর্মী বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগ, পাম্পের ওই কর্মী গাড়িটি আটকাতে গেলে তাকে কার্যত চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় ওই গাড়ি। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ঘটনার ৩ দিনের মধ্যেই ঘাতক গাড়ি ও গাড়ি চালক-সহ ৪ জনকে হাসনাবাদ থানার বসিরহাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে একজন ছিল নাবালক। আর সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার ৩ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আর শুক্রবার দোষী ৩ জনকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন রানাঘাট ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্ত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১০৩ এ, ৩০৯, ৩১১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে খুন, প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক মামলা।

আরও পড়ুন: শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  

এ বিষয়ে সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মূলত এরা এতটাই নির্দয় ছিল, সামান্য কিছু টাকার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেই পেট্রোল পাম্পের ওই কর্মীকে গাড়িতে পিষে চলে যায়। তাই মহামান্য আদালতের কাছে প্রার্থনা ছিল, ওরা বেরিয়ে এলে সমাজ মাধ্যমে ভুল বার্তা যাবে। সেই কারণেই মহামান্য আদালত এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে।’ অন্যদিকে, এ বিষয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল অভিযুক্তদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। আমাদের পুলিশ টিম খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আদালতকে ধন্যবাদ জানাই এই রায়দানের জন্য।’ রায় বেরনোর পর মৃত বিশ্বজিৎ দাসের বাবা দুলাল দাস বলেন, ‘আমার ছেলেকে ওরা যেভাবে নৃসংশভাবে খুন করেছে, আমরা আদালতের এই রায়দানে খুশি।’

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পেট্রলপাম্পের কর্মীকে চাপা দিয়ে খুন, ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ

আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

শফিকুল ইসলাম, নদিয়া: নদিয়ার শান্তিপুরের ঘটনা। পেট্রোল পাম্পের এক কর্মীকে খুনের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তকারী রায় আদালতের। তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে রানাঘাট আদালত। শান্তিপুরের কন্দখোলায় পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে টাকা না দিয়ে পালানোর সময় পেট্রোল পাম্পের এক কর্মীকে পিষে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল রানাঘাট আদালত।  সূত্রের খবর, গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগরগামী একটি মাছ বোঝাই পিকআপ গাড়ি শান্তিপুর থানার কন্দখোলা পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে ঢোকে।

অভিযোগ, তেল ভরার পর টাকা না দিয়েই পালানোর চেষ্টা করলে ওই গাড়িকে বাধা দেয় পাম্পের কর্মী বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগ, পাম্পের ওই কর্মী গাড়িটি আটকাতে গেলে তাকে কার্যত চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় ওই গাড়ি। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ঘটনার ৩ দিনের মধ্যেই ঘাতক গাড়ি ও গাড়ি চালক-সহ ৪ জনকে হাসনাবাদ থানার বসিরহাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে একজন ছিল নাবালক। আর সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার ৩ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আর শুক্রবার দোষী ৩ জনকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন রানাঘাট ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্ত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১০৩ এ, ৩০৯, ৩১১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে খুন, প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক মামলা।

আরও পড়ুন: শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  

এ বিষয়ে সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মূলত এরা এতটাই নির্দয় ছিল, সামান্য কিছু টাকার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেই পেট্রোল পাম্পের ওই কর্মীকে গাড়িতে পিষে চলে যায়। তাই মহামান্য আদালতের কাছে প্রার্থনা ছিল, ওরা বেরিয়ে এলে সমাজ মাধ্যমে ভুল বার্তা যাবে। সেই কারণেই মহামান্য আদালত এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে।’ অন্যদিকে, এ বিষয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল অভিযুক্তদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। আমাদের পুলিশ টিম খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আদালতকে ধন্যবাদ জানাই এই রায়দানের জন্য।’ রায় বেরনোর পর মৃত বিশ্বজিৎ দাসের বাবা দুলাল দাস বলেন, ‘আমার ছেলেকে ওরা যেভাবে নৃসংশভাবে খুন করেছে, আমরা আদালতের এই রায়দানে খুশি।’