০৭ মে ২০২৫, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অজয় নদ থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার প্রতিবাদে সিউড়িতে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 13

কৌশিক সালুই, বীরভূম:- অবৈধভাবে নদীগর্ভ থেকে বালি তোলার ফলে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিকাঠামোগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে দাবি জানিয়ে বুধবার বীরভূমের সিউড়িতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে অজয় নদ তীরবর্তী এলাকাবাসীদের। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আসা যাওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

বীরভূমের অজয় নদ তীরবর্তী নানুর ব্লকের ধুপসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বানভাসি সুন্দরপুর গ্রাম সহ ১৩ টি গ্রামের মানুষজন নদীগর্ভ থেকে বালি মাফিয়াদের অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে বিপন্ন। অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে জেলা ভূমি রাজস্ব দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি অজয় নদ তীরবর্তী গ্রাম বাঁচাও কমিটির।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের ‘অবৈধ’ বসতি সম্প্রসারণে উদ্বিগ্ন ৩ দেশ  

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে নদীর যে স্বাভাবিক বাঁধ তা যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে নদী উপকূলবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হতে পারে। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ সুন্দরপুর গ্রাম। অতিবৃষ্টির ফলে নদী বাঁধ ভেঙে গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। পরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গোটা গ্রাম নতুনভাবে তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। নদীর জল স্তর নেমে যাওয়াই ওই এলাকায় পানীয় জলের স্তর চিন্তা জনক ভাবে নামতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: সিউড়ি ২ পঞ্চায়েত সমিতি ও ছটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল তৃণমূলের

নদী তীরবর্তী ওই গ্রাম গুলির কবরস্থান, ধর্মীয় এবং উপাসনা স্থল গুলিও নদীগর্ভে যেতে বসেছে। সুন্দরপুর গ্রামের মত যাতে ভবিষ্যতে আর এলাকার কোনো মানুষকে পড়তে না হয় তার জন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: সিউড়িতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই তিনটি বাড়ি, জখম ১

বিক্ষোভকারীদের আরো দাবি নদীর তীরবর্তী স্থানে বালি শেষ হয়ে যাওয়াই নৌকাতে করে মাঝ নদীতে বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। তারপরে নদী তার স্বাভাবিক চরিত্র এবং গতি পাল্টাতে শুরু করেছে। পাশাপাশি প্রশাসনের দাবি বিগত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় যে সমস্ত অবৈধ বালি মজুদ হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ বালি মজুদ চিহ্নিত করা হয়েছে।

সেগুলি মাপজোপ করে প্রয়োজনীয় রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে অজয় নদ তীরবর্তী গ্রাম বাচাও কমিটির সম্পাদক মীর মাখন আলী বলেন,” বালি মাফিয়াদের অবৈধভাবে অজয় নদী থেকে বালি উত্তোলনের ফলে তীরবর্তী গ্রামগুলির অবস্থা বিপন্ন। বিগত বছর আমরা সুন্দরপুর গ্রামের ভয়াবহ অবস্থা দেখেছি।

অবৈধভাবে যাতে বালি তোলা বন্ধ করা হয় তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি”। বীরভূম জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের অতিরিক্ত জেলা শাসক অসীম পাল বলেন,” অভিযোগগুলি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অবৈধভাবে যারা বালি মজুদ করেছিল তা নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে”।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অজয় নদ থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার প্রতিবাদে সিউড়িতে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার

কৌশিক সালুই, বীরভূম:- অবৈধভাবে নদীগর্ভ থেকে বালি তোলার ফলে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিকাঠামোগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে দাবি জানিয়ে বুধবার বীরভূমের সিউড়িতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে অজয় নদ তীরবর্তী এলাকাবাসীদের। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আসা যাওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

বীরভূমের অজয় নদ তীরবর্তী নানুর ব্লকের ধুপসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বানভাসি সুন্দরপুর গ্রাম সহ ১৩ টি গ্রামের মানুষজন নদীগর্ভ থেকে বালি মাফিয়াদের অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে বিপন্ন। অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে জেলা ভূমি রাজস্ব দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি অজয় নদ তীরবর্তী গ্রাম বাঁচাও কমিটির।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের ‘অবৈধ’ বসতি সম্প্রসারণে উদ্বিগ্ন ৩ দেশ  

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে নদীর যে স্বাভাবিক বাঁধ তা যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে নদী উপকূলবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হতে পারে। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ সুন্দরপুর গ্রাম। অতিবৃষ্টির ফলে নদী বাঁধ ভেঙে গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। পরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গোটা গ্রাম নতুনভাবে তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। নদীর জল স্তর নেমে যাওয়াই ওই এলাকায় পানীয় জলের স্তর চিন্তা জনক ভাবে নামতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: সিউড়ি ২ পঞ্চায়েত সমিতি ও ছটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল তৃণমূলের

নদী তীরবর্তী ওই গ্রাম গুলির কবরস্থান, ধর্মীয় এবং উপাসনা স্থল গুলিও নদীগর্ভে যেতে বসেছে। সুন্দরপুর গ্রামের মত যাতে ভবিষ্যতে আর এলাকার কোনো মানুষকে পড়তে না হয় তার জন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: সিউড়িতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই তিনটি বাড়ি, জখম ১

বিক্ষোভকারীদের আরো দাবি নদীর তীরবর্তী স্থানে বালি শেষ হয়ে যাওয়াই নৌকাতে করে মাঝ নদীতে বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। তারপরে নদী তার স্বাভাবিক চরিত্র এবং গতি পাল্টাতে শুরু করেছে। পাশাপাশি প্রশাসনের দাবি বিগত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় যে সমস্ত অবৈধ বালি মজুদ হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ বালি মজুদ চিহ্নিত করা হয়েছে।

সেগুলি মাপজোপ করে প্রয়োজনীয় রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে অজয় নদ তীরবর্তী গ্রাম বাচাও কমিটির সম্পাদক মীর মাখন আলী বলেন,” বালি মাফিয়াদের অবৈধভাবে অজয় নদী থেকে বালি উত্তোলনের ফলে তীরবর্তী গ্রামগুলির অবস্থা বিপন্ন। বিগত বছর আমরা সুন্দরপুর গ্রামের ভয়াবহ অবস্থা দেখেছি।

অবৈধভাবে যাতে বালি তোলা বন্ধ করা হয় তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি”। বীরভূম জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের অতিরিক্ত জেলা শাসক অসীম পাল বলেন,” অভিযোগগুলি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অবৈধভাবে যারা বালি মজুদ করেছিল তা নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে”।