০৫ মে ২০২৫, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাহবুবুলকে টানা পুলিশি জেরা, জোরদার করা হচ্ছে আইনের ফাঁস

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১ মার্চ ২০২৫, শনিবার
  • / 18

গুয়াহাটি: ইউএসটিএম অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মেঘালয়ের আচার্য তথা স্বত্বাধিকারী মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে আইনের ফাঁস ক্রমশ শক্ত হচ্ছে। শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, হককে অনেক দিন জেলে থাকতে হবে। তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন মাহবুবুল হকের কী হবে? আনমনা হয়ে হিমন্ত তাচ্ছিল্যের সুরে পালটা প্রশ্ন করেন, কে তিনি? এক সাংবাদিক বলেন, ওই যে ইউএসটিএম-এর মালিক। এবার হিমন্তের ছোট্ট জবাব, ‘ও আচ্ছা। তাকে তো বহুদিন জেলে থাকতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে একটা বিষয় জলের মতো পরিষ্কার, হকের গলায় আইনের ফাঁক শক্ত করা হবে। এই আবহে তাঁর গ্রেফতারিতে অসন্তুষ্ট মহল থেকে বলা হচ্ছে, হকের বিরুদ্ধে তদন্তে সিবিআই, ইডি নেমে পড়তে পারে। এমন জল্পনা উঠলেও অসম পুলিশ কিন্তু মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে তদন্তের রাশকে আরও জোরদার করেছে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার তাকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই হককে নিয়ে গুয়াহাটির উদ্দেশে রওনা হয় করিমগঞ্জ থানার পুলিশ। শুক্রবার গুয়াহাটি পৌঁছে তাঁকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় দিসপুর থানায়। সেখানে পুলিশের অপরাধ শাখার ডিসিপি ইস্ট মৃদুল ডেকা, ডিসিপি দেবজিৎ নাথ-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা মাহবুবুলকে জেরার টেবিলে বসিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ম্যারাথন জেরা শেষে তাঁকে নিয়ে দেবজিৎ নাথের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘোড়ামারায় হকের বাড়ি ‘জ্ঞান কুটির’-এ তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালান। জানা গিয়েছে, ইউএসটিএম এবং ইআরডি ফাউন্ডেশনেও তল্লাশি চলবে। ওইদিনও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মাহবুবুল হক কিছুই বলতে চাননি। দিসপুর থানার বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘যা বলার পরে বলবো। ধন্যবাদ।’
এ দিকে মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে শুক্রবার শুনানি হয় গৌহাটি হাইকোর্টে। ১১ নম্বর কোর্টের বিচারপতি পার্থিব জ্যোতি শইকিয়ার বেঞ্চে শুনানি হয় হকের জামিন আবেদনের শুনানি হলেও রায় দেননি বিচারপতি। আগামী সোমবার এই আবেদনের নিষ্পত্তি হতে পারে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাহবুবুলকে টানা পুলিশি জেরা, জোরদার করা হচ্ছে আইনের ফাঁস

আপডেট : ১ মার্চ ২০২৫, শনিবার

গুয়াহাটি: ইউএসটিএম অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মেঘালয়ের আচার্য তথা স্বত্বাধিকারী মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে আইনের ফাঁস ক্রমশ শক্ত হচ্ছে। শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, হককে অনেক দিন জেলে থাকতে হবে। তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন মাহবুবুল হকের কী হবে? আনমনা হয়ে হিমন্ত তাচ্ছিল্যের সুরে পালটা প্রশ্ন করেন, কে তিনি? এক সাংবাদিক বলেন, ওই যে ইউএসটিএম-এর মালিক। এবার হিমন্তের ছোট্ট জবাব, ‘ও আচ্ছা। তাকে তো বহুদিন জেলে থাকতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে একটা বিষয় জলের মতো পরিষ্কার, হকের গলায় আইনের ফাঁক শক্ত করা হবে। এই আবহে তাঁর গ্রেফতারিতে অসন্তুষ্ট মহল থেকে বলা হচ্ছে, হকের বিরুদ্ধে তদন্তে সিবিআই, ইডি নেমে পড়তে পারে। এমন জল্পনা উঠলেও অসম পুলিশ কিন্তু মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে তদন্তের রাশকে আরও জোরদার করেছে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার তাকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই হককে নিয়ে গুয়াহাটির উদ্দেশে রওনা হয় করিমগঞ্জ থানার পুলিশ। শুক্রবার গুয়াহাটি পৌঁছে তাঁকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় দিসপুর থানায়। সেখানে পুলিশের অপরাধ শাখার ডিসিপি ইস্ট মৃদুল ডেকা, ডিসিপি দেবজিৎ নাথ-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা মাহবুবুলকে জেরার টেবিলে বসিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ম্যারাথন জেরা শেষে তাঁকে নিয়ে দেবজিৎ নাথের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘোড়ামারায় হকের বাড়ি ‘জ্ঞান কুটির’-এ তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালান। জানা গিয়েছে, ইউএসটিএম এবং ইআরডি ফাউন্ডেশনেও তল্লাশি চলবে। ওইদিনও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মাহবুবুল হক কিছুই বলতে চাননি। দিসপুর থানার বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘যা বলার পরে বলবো। ধন্যবাদ।’
এ দিকে মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে শুক্রবার শুনানি হয় গৌহাটি হাইকোর্টে। ১১ নম্বর কোর্টের বিচারপতি পার্থিব জ্যোতি শইকিয়ার বেঞ্চে শুনানি হয় হকের জামিন আবেদনের শুনানি হলেও রায় দেননি বিচারপতি। আগামী সোমবার এই আবেদনের নিষ্পত্তি হতে পারে।