১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্যের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ, প্রাপ্য না দেওয়ার অভিযোগে সরব সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 129

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বিধানসভায় সরব হলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের তৃতীয় দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সেচদফতর নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ছিল বিভিন্ন বিধায়কদের।

সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন সহ একাধিক প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য ৪ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। তার আরও অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃ সুলভ আচরণ করে আটকে রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। তার অভিযোগ,‘বিজেপি চায় বাংলা পচে মরুক’।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই নিয়ে পাকদহে তৃণমূলের সভা

প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় এদিন এসব বলতে গিয়েই রাজ্যের বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের ভূমিকারও করা সমালোচনা করেছেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে রাজ্যের দাবী দাওয়া নিয়ে দিল্লি দরবারে জন্য বিরোধী দলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। রাজ্যের স্বার্থে তিনি বলেছিলেন আসুন একসাথে দিল্লি যাই। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দেয়নি বিরোধীরা। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, এই পরিস্থিতিতে কেন বিরোধীরা চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে আছে? প্রশ্ন সেচমন্ত্রীর।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই প্রস্তুতি মিটিংয়ে সুন্দরবন রক্ষার বার্তা, চারাগাছ বিতরণ

এদিন বিধানসভায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও কেন্দ্রের সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, বারবার আবেদন করেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। যে কারণে নিজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্পের বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, ২ বছর ডাক্তারি করতে পারবেন না

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী পনেরশো কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা জানিয়েছেন। প্রথম বছরে এই প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই তিনি বরাদ্দ করেছেন, এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেকথাও মনে করিয়ে দেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। সরাসরি নিশানা করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। তাঁর আক্রমণ থেকে ছাড় পাননি রাজ্যের পদ্ম পার্টির বিধায়করা। বলেন, ‘আসলে বিজেপি চায় বাংলা পচে মরুক। সেই কারণেই ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে বিরোধীদের একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বাংলার প্রাপ্য নিয়ে দরবার করতে তাঁরা দিল্লিতে যাননি।’

এদিন সুন্দরবন নিয়ে রাজ্যের প্রকল্প ও কেন্দ্রীয় অনুমোদন না পেয়ে থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মানস ভূঁইয়া। তিনি বলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডেল্টা, ভয়ংকর নদী ক্ষয়ের কারণে প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য এক টাকাও দিতে হবে না কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে চেষ্টা করছে। তো এই প্রকল্পের বাস্তব রূপদানের জন্য প্রয়োজন কেন্দ্রের অনুমোদনের।

কিন্তু কেন্দ্র সেই অনুমোদন দিচ্ছে না ফলে প্রকল্প থমকে গিয়েছে। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিপন্ন সুন্দরবন। এটি রক্ষার জন্য ৪ হাজার ১০ কোটি টাকা অর্থ মূল্যের বিশ্ব ব্যাঙ্কের আপার এবং লোয়ার ডেল্টা প্রকল্পের ছাড়পত্র আটকে রেখেছে কেন্দ্র।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ, প্রাপ্য না দেওয়ার অভিযোগে সরব সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া

আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বিধানসভায় সরব হলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের তৃতীয় দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সেচদফতর নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ছিল বিভিন্ন বিধায়কদের।

সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন সহ একাধিক প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য ৪ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। তার আরও অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃ সুলভ আচরণ করে আটকে রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। তার অভিযোগ,‘বিজেপি চায় বাংলা পচে মরুক’।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই নিয়ে পাকদহে তৃণমূলের সভা

প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় এদিন এসব বলতে গিয়েই রাজ্যের বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের ভূমিকারও করা সমালোচনা করেছেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে রাজ্যের দাবী দাওয়া নিয়ে দিল্লি দরবারে জন্য বিরোধী দলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। রাজ্যের স্বার্থে তিনি বলেছিলেন আসুন একসাথে দিল্লি যাই। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দেয়নি বিরোধীরা। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, এই পরিস্থিতিতে কেন বিরোধীরা চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে আছে? প্রশ্ন সেচমন্ত্রীর।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই প্রস্তুতি মিটিংয়ে সুন্দরবন রক্ষার বার্তা, চারাগাছ বিতরণ

এদিন বিধানসভায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও কেন্দ্রের সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, বারবার আবেদন করেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। যে কারণে নিজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্পের বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, ২ বছর ডাক্তারি করতে পারবেন না

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী পনেরশো কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা জানিয়েছেন। প্রথম বছরে এই প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই তিনি বরাদ্দ করেছেন, এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেকথাও মনে করিয়ে দেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। সরাসরি নিশানা করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। তাঁর আক্রমণ থেকে ছাড় পাননি রাজ্যের পদ্ম পার্টির বিধায়করা। বলেন, ‘আসলে বিজেপি চায় বাংলা পচে মরুক। সেই কারণেই ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে বিরোধীদের একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বাংলার প্রাপ্য নিয়ে দরবার করতে তাঁরা দিল্লিতে যাননি।’

এদিন সুন্দরবন নিয়ে রাজ্যের প্রকল্প ও কেন্দ্রীয় অনুমোদন না পেয়ে থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মানস ভূঁইয়া। তিনি বলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডেল্টা, ভয়ংকর নদী ক্ষয়ের কারণে প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য এক টাকাও দিতে হবে না কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে চেষ্টা করছে। তো এই প্রকল্পের বাস্তব রূপদানের জন্য প্রয়োজন কেন্দ্রের অনুমোদনের।

কিন্তু কেন্দ্র সেই অনুমোদন দিচ্ছে না ফলে প্রকল্প থমকে গিয়েছে। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিপন্ন সুন্দরবন। এটি রক্ষার জন্য ৪ হাজার ১০ কোটি টাকা অর্থ মূল্যের বিশ্ব ব্যাঙ্কের আপার এবং লোয়ার ডেল্টা প্রকল্পের ছাড়পত্র আটকে রেখেছে কেন্দ্র।