১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুগলে মৃতদেহ সংরক্ষণের উপায় সার্চ করেছিলেন লিভ-ইন-পার্টনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মনোজ

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, শনিবার
  • / 26

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মুম্বই এর মীরা রোডে সঙ্গিনী সরস্বতী বৈদ্য-র (৩২) দেহ টুকরো করে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছিল ৫৬ বছরের মনোজ সাহানির বিরুদ্ধে।  কিন্তু জেরায় মনোজ জানিয়েছিল, ২০০৮ সাল থেকে সে এইচআইভি আক্রান্ত। সরস্বতীর সঙ্গে কোনও যৌন সম্পর্ক ছিল না তার। সরস্বতী তার মেয়ের মত। কিন্তু মনোজের ফোনের ব্রাউজিং হিস্ট্রি ঘেঁটে পুলিশ  জানিয়েছে অন্য কথা। মনোজ তার ফোনে বিভিন্ন পর্ণ সাইট সার্চ করতেন। এমনকি তার ফ্ল্যাটে একটি কাগজ উদ্ধার হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন পর্ণ সাইটের নাম লেখা ছিল। মনে করা হচ্ছে, মনোজের ভুলে যাওয়ার সমস্যার কারণেই সে লিখে রাখত। তাছাড়া ৪ জুন মনোজের ফোন থেকে মৃতদেহ সংরক্ষণের উপায় জানার চেষ্টা করা হয়েছিল।

অন্যদিকে সরস্বতীর বোন জানিয়েছে, একটি মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন সরস্বতী-মনোজ। পুলিশ মৃতার তিন বোনের ডিএনএ টেস্ট করবে বলেও জানা গেছে।

জানা গেছে, সরস্বতী তার অন্য তিন বোনের সঙ্গে প্রথমে মা-বাবার সঙ্গেই থাকতেন। এরপর তাদের বাবা-মা আলাদা থাকতে শুরু করলে, তারা মায়ের কাছে থাকতেন। পরে তাদের মায়ের মৃত্যু হলে, ৪ বোনকেই পাঠানো হয় অনাথালয়ে। এরপর ঔরঙ্গাবাদে এক দিদির কাছে কিছুদিন থাকার পর কাজের খোঁজে মুম্বই যান সরস্বতী। তার বোনের বক্তব্য, সরস্বতীকে কাজ জোগাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মনোজ। এমনকি নিজের বাড়িতে থাকার জায়গাও দেন। এরপরই তারা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্দিরে  বিয়ে করেন। কিন্তু এখন পুলিশকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করতে চাইছে মনোজ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গুগলে মৃতদেহ সংরক্ষণের উপায় সার্চ করেছিলেন লিভ-ইন-পার্টনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মনোজ

আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মুম্বই এর মীরা রোডে সঙ্গিনী সরস্বতী বৈদ্য-র (৩২) দেহ টুকরো করে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছিল ৫৬ বছরের মনোজ সাহানির বিরুদ্ধে।  কিন্তু জেরায় মনোজ জানিয়েছিল, ২০০৮ সাল থেকে সে এইচআইভি আক্রান্ত। সরস্বতীর সঙ্গে কোনও যৌন সম্পর্ক ছিল না তার। সরস্বতী তার মেয়ের মত। কিন্তু মনোজের ফোনের ব্রাউজিং হিস্ট্রি ঘেঁটে পুলিশ  জানিয়েছে অন্য কথা। মনোজ তার ফোনে বিভিন্ন পর্ণ সাইট সার্চ করতেন। এমনকি তার ফ্ল্যাটে একটি কাগজ উদ্ধার হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন পর্ণ সাইটের নাম লেখা ছিল। মনে করা হচ্ছে, মনোজের ভুলে যাওয়ার সমস্যার কারণেই সে লিখে রাখত। তাছাড়া ৪ জুন মনোজের ফোন থেকে মৃতদেহ সংরক্ষণের উপায় জানার চেষ্টা করা হয়েছিল।

অন্যদিকে সরস্বতীর বোন জানিয়েছে, একটি মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন সরস্বতী-মনোজ। পুলিশ মৃতার তিন বোনের ডিএনএ টেস্ট করবে বলেও জানা গেছে।

জানা গেছে, সরস্বতী তার অন্য তিন বোনের সঙ্গে প্রথমে মা-বাবার সঙ্গেই থাকতেন। এরপর তাদের বাবা-মা আলাদা থাকতে শুরু করলে, তারা মায়ের কাছে থাকতেন। পরে তাদের মায়ের মৃত্যু হলে, ৪ বোনকেই পাঠানো হয় অনাথালয়ে। এরপর ঔরঙ্গাবাদে এক দিদির কাছে কিছুদিন থাকার পর কাজের খোঁজে মুম্বই যান সরস্বতী। তার বোনের বক্তব্য, সরস্বতীকে কাজ জোগাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মনোজ। এমনকি নিজের বাড়িতে থাকার জায়গাও দেন। এরপরই তারা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্দিরে  বিয়ে করেন। কিন্তু এখন পুলিশকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করতে চাইছে মনোজ।