১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার, ৯ টন সামুদ্রিক মাছ-সহ ট্রলার আটক

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার
  • / 104

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক, পাথরপ্রতিমা: নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অভিযোগে প্রায় ৯ টন সামুদ্রিক মাছ-সহ একটি ট্রলার আটক করল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। রবিবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় উপকূলবর্তী এলাকায়। আটক ট্রলারটি পুলিশ-প্রশাসনের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার মাছের প্রজননের স্বার্থে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সময় মাছেদের ডিম পাড়ার ও সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু মৎস্যজীবী ও মাছ ব্যবসায়ী গোপনে মাছ ধরায় লিপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

রবিবার সকালে উপকূলে নজরদারির সময় একদল মৎস্যজীবী সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রলার আটক করেন, যার মধ্যে ছিল প্রায় ৯ টন সামুদ্রিক মাছ। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের সঙ্গে তর্কাতর্কির পর খবর যায় পাথরপ্রতিমা থানায়। পুলিশ এসে ট্রলার এবং মাছ-সহ অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, সরকার যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তখন তা মানা সকলের কর্তব্য, কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফার লোভে এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করছেন।

মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্য বিজন মাইনি বলেন, ‘প্রতি বছরই কয়েকটি ট্রলার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরছে। প্রশাসনকে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাথরপ্রতিমার স্থানীয় এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘‘সরকার যখন মাছেদের বংশবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তখন এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ রুখে দেওয়াই আমাদের কর্তব্য। আমরা সেটাই করেছি। এখন দেখার যে এই বিষয়ে প্রশাসন কতটা কঠোর ব্যবস্থা নেয়।’’ উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন এই দু’মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার, ৯ টন সামুদ্রিক মাছ-সহ ট্রলার আটক

আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক, পাথরপ্রতিমা: নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অভিযোগে প্রায় ৯ টন সামুদ্রিক মাছ-সহ একটি ট্রলার আটক করল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। রবিবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় উপকূলবর্তী এলাকায়। আটক ট্রলারটি পুলিশ-প্রশাসনের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার মাছের প্রজননের স্বার্থে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সময় মাছেদের ডিম পাড়ার ও সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু মৎস্যজীবী ও মাছ ব্যবসায়ী গোপনে মাছ ধরায় লিপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

রবিবার সকালে উপকূলে নজরদারির সময় একদল মৎস্যজীবী সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রলার আটক করেন, যার মধ্যে ছিল প্রায় ৯ টন সামুদ্রিক মাছ। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের সঙ্গে তর্কাতর্কির পর খবর যায় পাথরপ্রতিমা থানায়। পুলিশ এসে ট্রলার এবং মাছ-সহ অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, সরকার যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তখন তা মানা সকলের কর্তব্য, কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফার লোভে এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করছেন।

মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্য বিজন মাইনি বলেন, ‘প্রতি বছরই কয়েকটি ট্রলার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরছে। প্রশাসনকে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাথরপ্রতিমার স্থানীয় এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘‘সরকার যখন মাছেদের বংশবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তখন এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ রুখে দেওয়াই আমাদের কর্তব্য। আমরা সেটাই করেছি। এখন দেখার যে এই বিষয়ে প্রশাসন কতটা কঠোর ব্যবস্থা নেয়।’’ উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন এই দু’মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে।