৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মার্শাল ল চলছে, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ হচ্ছে’: রাহুল গান্ধি

নয়াদিল্লি: সংসদ চত্বরের বাইরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দল।সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা বর্ষা অধিবেশন বন্ধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল বের করেন। সাংসদরা ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড ধারণ করে কৃষি আইন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।প্লাকার্ডে “গণতন্ত্রের হত্যা” কথাটি লেখা ছিল। রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে নামে বিরোধীরা। শিব সেনা, আম আদমি পার্টি থেকে ডিএমকে সহ সব বিরোধী দল। এদিন এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। রাহুল গান্ধি এ দিন বলেন, ‘সংসদের ভিতরে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না তাই বাইরে এসে কথা বলছি। এতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। রাহুল গান্ধি উল্লেখ করেন গতকাল প্রথমবার রাজ্যসভায় সাংসদদের হেনস্থা হতে হয়েছে। রাহুল গান্ধির দাবি চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষদের উচিত সংসদ সঠিকভাবে চালানো। তাঁরা কেন তাঁদের কাজ করতে পারছেন না?তিনি বলেন, “পেগেসাস ইস্য়ুতে সংসদে কোনও আলোচনা হয়নি। কৃষি আইন নিয়ে সরকার আলোচনা করছে না। সংসদেই গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সংসদে মার্শাল ল চলছে। রাজ্যসভায় মার্শাল নামিয়ে আইন পাশ করানো হচ্ছে।” শিব সেনা অভিযোগ করে, “আমরা বারবার পেগাসাস নিয়ে আলোচনা চেয়েছি। মার্শাল নামিয়ে রাজ্যসভায় বিল পাস করেছে সরকার। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক।”
গত কয়েকদিনে রাহুল গান্ধিকে বারবার সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। সংসদ চলাকালীন বিরোধীদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন রাহুল।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আসলে সংসদ চালাতেই চায় না সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী সংসদে থাকেন না। এটা কি গণতন্ত্র! এবার বাদল অধিবেশনে ওবিসি বিল পাস হয়েছে। সংসদে আসেননি নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। বিতর্ক ছাড়াই পাস করানো হচ্ছে বিল।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

পাঁচ জেলায় সবচেয়ে বেশি নাম বাদ, তামিলনাড়ুতে ১২.৪৩ লক্ষ ভোটারকে শুনানির নোটিস কমিশনের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘মার্শাল ল চলছে, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ হচ্ছে’: রাহুল গান্ধি

আপডেট : ১৩ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার

নয়াদিল্লি: সংসদ চত্বরের বাইরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দল।সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা বর্ষা অধিবেশন বন্ধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল বের করেন। সাংসদরা ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড ধারণ করে কৃষি আইন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।প্লাকার্ডে “গণতন্ত্রের হত্যা” কথাটি লেখা ছিল। রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে নামে বিরোধীরা। শিব সেনা, আম আদমি পার্টি থেকে ডিএমকে সহ সব বিরোধী দল। এদিন এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। রাহুল গান্ধি এ দিন বলেন, ‘সংসদের ভিতরে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না তাই বাইরে এসে কথা বলছি। এতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। রাহুল গান্ধি উল্লেখ করেন গতকাল প্রথমবার রাজ্যসভায় সাংসদদের হেনস্থা হতে হয়েছে। রাহুল গান্ধির দাবি চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষদের উচিত সংসদ সঠিকভাবে চালানো। তাঁরা কেন তাঁদের কাজ করতে পারছেন না?তিনি বলেন, “পেগেসাস ইস্য়ুতে সংসদে কোনও আলোচনা হয়নি। কৃষি আইন নিয়ে সরকার আলোচনা করছে না। সংসদেই গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সংসদে মার্শাল ল চলছে। রাজ্যসভায় মার্শাল নামিয়ে আইন পাশ করানো হচ্ছে।” শিব সেনা অভিযোগ করে, “আমরা বারবার পেগাসাস নিয়ে আলোচনা চেয়েছি। মার্শাল নামিয়ে রাজ্যসভায় বিল পাস করেছে সরকার। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক।”
গত কয়েকদিনে রাহুল গান্ধিকে বারবার সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। সংসদ চলাকালীন বিরোধীদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন রাহুল।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আসলে সংসদ চালাতেই চায় না সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী সংসদে থাকেন না। এটা কি গণতন্ত্র! এবার বাদল অধিবেশনে ওবিসি বিল পাস হয়েছে। সংসদে আসেননি নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। বিতর্ক ছাড়াই পাস করানো হচ্ছে বিল।