পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিরীহ কাশ্মীরি ছাত্রদের সর্বপরি মুসলিমদের টার্গেট করা শুরু করে ধর্মান্ধ হিন্দুত্ববাদীরা। মুসলিমদের উপর হামলা, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ভাষণ বাড়তে শুরু করে।

যদিও মুসলিম সংগঠনগুলি প্রথম থেকেই বলে আসছে, তারা এই হামলাকে ধিক্কার জানায়। জঙ্গিদের কোনও ধর্ম হয় না। ইসলামে হিংসার কোনও জায়গা নেই। শুধু তাই নয়, মুসলিমদের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে রাস্তায় নেমে এই হামলার নিন্দা করা হয়।

কিন্তু, কে শোনে কার কথা! মুসলিম-বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ চলতেই থাকে। সেই আবহে শুক্রবার বড় বার্তা দিয়েছিলেন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত নৌসেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশী নারওয়াল। তিনি বলেছিলেন, এই ঘটনা (সন্ত্রাসী হামলা) নিয়ে কাশ্মীরি ও মুসলিমদের নিশানা করা অনুচিত। সদ্য স্বামী হারানোর বেদনা বুকে নিয়েও হিমাংশীর এই মর্মস্পর্শী বার্তা এই হিংসার আবহেও সবার মন ছুঁয়ে যায়।

আর এবার এই ইস্যুতে হিমাংশীর প্রশংসা করলেন জম্মু-কাশ্মীরের পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। মুফতি বলেন, দেশের উচিত তাঁর (হিমাংশী) থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া। মেহবুবার কথায়, ‘‘আমাদের উচিত হিমাংশী নারওয়ালের থেকে প্রেরণা নেওয়া যিনি তাঁর স্বামীর আত্ম-বলিদানের পরও দেশের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে ছিলেন কাশ্মীরি ও মুসলিমদের টার্গেট না করার জন্য।’’

পাশাপাশি মেহবুবা এ দিন এনসি সুপ্রিমো ফারুক আবদুল্লাহরও তীব্র সমালোচনা করেন। উল্লেখ্য, ফারুক আবদুল্লাহ দাবি করেছিলেন, স্থানীয় কাশ্মীরিদের সাহায্য ও সমর্থন ছাড়া এই ধরনের নৃশংস জঙ্গি হামলা সম্ভব ছিল না। ফারুকের এই দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন মেহবুবা।

উল্লেখ্য, জঙ্গি হামলার ঘটনার উপত্যকার পুলিশের নির্বিচারে গ্রেফতারি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেহবুবা লিখেছিলেন, নিরপরাধ কাশ্মীরিরা যেন হেনস্থার শিকার না হয়। কেন্দ্রকে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপের অনুরোধ জানান তিনি। একইসঙ্গে জঙ্গি এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ফারাক বোঝার ক্ষেত্রে যত্নশীল হওয়া দরকার বলেও জানান মেহবুবা। নিরপরাধ মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে দিকে নজর রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে ছিলেন পিডিপি নেত্রী।