বিশ্বকাপ থেকে অবসরের ইঙ্গিত মেসির

- আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
- / 12
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষ হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ আগে। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ২টো ২০। লিও মেসির অপেক্ষায় সাংবাদিক কুল। তিনি এলেন, দেখলেন, জয় করলেন সকলের মন। আর যে কথা শুনিয়ে গেলেন, তা শুনলে সকলের চোখে জল এসে যাবে। কারও কারও চোখ ছলছলে হতেও দেখা গিয়েছে। কি এমন শোনালেন লিও মেসি যা শুনে অনেকেরই মন খারাপ হয়ে গেল। স্পষ্ট বার্তা দিলেন মেসি। ‘আমার বিশ্বকাপ কেরিয়ারে আর মাত্র একটা ম্যাচ আমি খেলব। আমি খুব গর্বিত যে নিজের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচটা ফাইনালে খেলতে পারব। নিশ্চিতভাবেই রবিবারের ম্যাচটি আমার বিশ্বকাপ কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে। কারণ এরপরের বিশ্বকাপ অনেকদিন পরে ২০২৬ সালে। আমার মনে হয় না আমি সেই সময় পর্যন্ত থাকতে পারব। তাই আমি মনে করছি সেরা সময়ের মধ্যেই নিজের বিশ্বকাপ কেরিয়ার শেষ করতে পারছি।’
ম্যাচের সেরা লিও মেসি। বললেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি দারুণ ছিল। দলের সঙ্গে কাতারে গোটা বিশ্বকাপটা উপভোগ করলাম।’ চোখে মুখে বেশ একটা তৃপ্তির ছাপ। আসলে ক্রোয়েশিয়া বড় দল। তাদের বিরুদ্ধে যে ফুটবল তিনি ও তাঁর দল খেলেছে, তা অসাধারণ বললেও কম বলা হয়।
তৃপ্ত মেসি তাই বললেন, ‘সবটায় আমি খুব আনন্দ করছি। ভালো লাগছে। আমরা সকলেই অনেক কিছু উৎসর্গ করেছি। শেষ ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব কঠিন ম্যাচ ছিল।
আমরা খুব সিরিয়াসভাবে ম্যাচটা খেলেছি।’ গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচগুলি সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে মেসি বলে চললেন, ‘গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোও বেশ কঠিন ছিল।’
লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ যে কতটা কঠিন ছিল তা জানাতে গিয়ে মেসি জানালেন, ‘জানতাম ওদের দলে অনেক ভালো প্লেয়ার রয়েছেন। বিশেষ করে ওদের মাঝমাঠ খুব শক্তিশালী ছিল। কিন্তু আমরা নিজেদের সুযোগ তৈরি করে নিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো ছিল। গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে আমরা যা খেলেছি তা আমি খুব এনজয় করেছি।’
কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে নিজের দলের সাপোর্ট স্টাফদেরও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে গেলেন লিও। ম্যাচ বাই ম্যাচ আমরা ভেবেছি। সাপোর্ট স্টাফরা প্রতি ম্যাচে আমাদের যেভাবে সাহায্য করেছেন তা আমি কোনওদিন ভুলব না।’ সউদির কাছে হারটা এখনও ঠিক মন থেকে মেনে নিতে পারেননি মেসি। বললেন, ‘৩৬ টা ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর কোনও দলের কাছে হার মেনে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু প্রতিযোগিতা যত এগিয়েছে, আমাদের আরও কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রতিটা ম্যাচই আমার কাছে ফাইনাল ছিল।’ বিশ্বকাপের আঙিনায় লুসাইল স্টেডিয়ামের ফাইনালই তাঁর শেষ ম্যাচ হতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত দিলেও আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এই ফাইনাল কি তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ? সেই ইঙ্গিত অবশ্য দিলেন না।