০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘পরিযায়ী’ পতঙ্গ: মেঘালয়ের ঝিঝির ঝাঁক সুদূর হরিয়ানায়!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 7

বিশেষ প্রতিবেদক: শীত পড়লেই এদেশের বিভিন্ন জলাশয়  ঘিরে দেখা যায় পরিযায়ী পাখির আনাগোনা। সুদূর সাইবেরিয়া থেকেও হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ভারতে উড়ে আসে খেচরের দল। পাখিদের এই প্রবণতা এখন ছড়িয়ে পড়ছে পতঙ্গদের মধ্যেও? উঠে আসছে এমন প্রশ্ন।

সম্প্রতি হরিয়ানার শোনিপতে মিলেছে মেঘালয়ের ঝিঝি পোকার ঝাঁক। এরপরই বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় নেমেছেন পতঙ্গবিদরা। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে শোনিপথের দূরত্ব সড়ক পথে প্রায় ২ হাজার ৮৪ কিলোমিটার। এতটা পথ পাড়ি দিয়ে ঝিঝি পোকার ঝাঁক কীভাবে সেখানে গেল, তার উত্তর খুঁজছেন গবেষকরা।

দিনকয়েক আগে শোনিপথে অশোক বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তিনটি নতুন প্রজাতির ঝিঝি পোকার অস্তিত্ব মেলে। এই ঝিঝি পোকাগুলি মেঘালয় প্রজাতির বলে জানা যায়। অশোক বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার গবেষক অরিনী ঘোষ জানিয়েছেন, এই প্রজাতির ঝিঝি পোকা আল্টরাসোনিক শব্দ করে। ফলে তাদের ডাক শুনতে পায় না মানুষ। মানুষের কান ২০ কিলো হার্জ পর্যন্ত শব্দ শুনতে পায়। কিন্তু মেঘালয়  প্রজাতির ঝিঝির ডাক ৬০ কিলোহার্জের।

ফলে এর ডাক মানুষ  শুনতে পায় না। এগুলোর গায়ের রং ও সাধারণ প্রজাতির ঝিঝির থেকে আলাদা। কিন্তু প্রশ্ন হলো মেঘালয় প্রজাতির ঝিঝি পোকা কি করে এত দূরে চলে এলো? কী করে এরা পাখির মতো দীর্ঘপথ পাড়ি দিল? যদিও উৎসস্থল থেকে নতুন জায়গায় এদের বংশবৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘পরিযায়ী’ পতঙ্গ: মেঘালয়ের ঝিঝির ঝাঁক সুদূর হরিয়ানায়!

আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

বিশেষ প্রতিবেদক: শীত পড়লেই এদেশের বিভিন্ন জলাশয়  ঘিরে দেখা যায় পরিযায়ী পাখির আনাগোনা। সুদূর সাইবেরিয়া থেকেও হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ভারতে উড়ে আসে খেচরের দল। পাখিদের এই প্রবণতা এখন ছড়িয়ে পড়ছে পতঙ্গদের মধ্যেও? উঠে আসছে এমন প্রশ্ন।

সম্প্রতি হরিয়ানার শোনিপতে মিলেছে মেঘালয়ের ঝিঝি পোকার ঝাঁক। এরপরই বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় নেমেছেন পতঙ্গবিদরা। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে শোনিপথের দূরত্ব সড়ক পথে প্রায় ২ হাজার ৮৪ কিলোমিটার। এতটা পথ পাড়ি দিয়ে ঝিঝি পোকার ঝাঁক কীভাবে সেখানে গেল, তার উত্তর খুঁজছেন গবেষকরা।

দিনকয়েক আগে শোনিপথে অশোক বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তিনটি নতুন প্রজাতির ঝিঝি পোকার অস্তিত্ব মেলে। এই ঝিঝি পোকাগুলি মেঘালয় প্রজাতির বলে জানা যায়। অশোক বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার গবেষক অরিনী ঘোষ জানিয়েছেন, এই প্রজাতির ঝিঝি পোকা আল্টরাসোনিক শব্দ করে। ফলে তাদের ডাক শুনতে পায় না মানুষ। মানুষের কান ২০ কিলো হার্জ পর্যন্ত শব্দ শুনতে পায়। কিন্তু মেঘালয়  প্রজাতির ঝিঝির ডাক ৬০ কিলোহার্জের।

ফলে এর ডাক মানুষ  শুনতে পায় না। এগুলোর গায়ের রং ও সাধারণ প্রজাতির ঝিঝির থেকে আলাদা। কিন্তু প্রশ্ন হলো মেঘালয় প্রজাতির ঝিঝি পোকা কি করে এত দূরে চলে এলো? কী করে এরা পাখির মতো দীর্ঘপথ পাড়ি দিল? যদিও উৎসস্থল থেকে নতুন জায়গায় এদের বংশবৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম।