সংখ্যালঘু নয় এমন আসনে সংরক্ষণ চালুর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু সমাজ

- আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 104
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্র সরকার প্রথম বর্ষ জুনিয়র কলেজে (FYJC) ভর্তি প্রক্রিয়ায় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলোতে অসংখ্যালঘু আসনে এস সি, এসটি এবং ওবিসি সংরক্ষণ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে মহারাষ্ট্র অ্যাসোসিয়েশন অব মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস। এর আগে এই সমিতি মহারাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী দাদা ভুসেকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়।
চিঠিতে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার কোনো লিখিত আদেশ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে, যা আইনি দিক থেকে টিকবে না। শহরের একটি সংখ্যালঘু ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত জুনিয়র কলেজের প্রিন্সিপাল বলেন, “আমাদের চিঠির পর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর আসেনি। আমরা সরকারের কাছে আমাদের আপত্তি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলাম, কিন্তু সরকারের তরফে কোনো উত্তর না আসায় আমাদের আইনি পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।”
এই সংস্থার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলার অনেক সংখ্যালঘু ট্রাস্টও FYJC ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
চলতি বছরে FYJC ভর্তি প্রক্রিয়ায় বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়, যখন রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু ট্রাস্ট পরিচালিত কলেজের আসনে অসংখ্যালঘু এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই ধরনের কলেজগুলোর দাবি, তারা ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ আসন সংখ্যালঘুদের জন্য এবং ৫ শতাংশ ব্যবস্থাপনা কোটার অধীনে সংরক্ষিত রাখে। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, বাকি ৪৫ শতাংশ আসন শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ৩০ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংখ্যালঘুরা নিজেদের মতো করে প্রতিষ্ঠান গড়তে পারবে এবং ছাত্রছাত্রী ভর্তি নিতে পারবে। এক্ষেত্রে সরকারি সাহায্যের কোনো সমস্যা হবে না। এই সব প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট আসন সংরক্ষিত করা হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও এসসি, এসটিদের জন্য সংরক্ষণের দাবি ওঠে।