১৬ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুসলিম ভেবে হিন্দু সাংবাদিককে বেধড়ক মার, অমিত শাহের সমাবেশে নীরব পুলিশ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ মে ২০২৪, সোমবার
  • / 116

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  চোখা চোখা প্রশ্ন করায় মুসলিম ভেবে হিন্দু সাংবাদিককে বেধড়ক মার। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিতে অমিত শাহের সমাবেশে ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্ত সাংবাদিকের নাম  রাঘব ত্রিবেদী। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় মহিলাদের নানান প্রশ্ন করছিলেন।অভিযোগ, সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। গোটা ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে  সংবাদিকের সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান।

 

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।এদিন কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ইউপির রায়বরেলিতে অমিত শাহের জনসভা ছিল। এখানে মহিলারা এক সাংবাদককে জানান যে, টাকা দিয়ে তাদের সমাবেশে আনা হয়েছে। ওই সাংবাদিক সেটি রেকর্ড করেন। এরপরই বিজেপির গুণ্ডারা সাংবাদিককে ভিডিয়োটি মুছে দিতে বলে। তিনি তা করতে অস্বীকার করলে তাকে মঞ্চের পিছনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। এমনকি ওই সাংবাদিকদের কাছ থেকে সব টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পোস্টে আরও বলা হয়, বিজেপির গুণ্ডারা সম্প্রতি আমেঠিতে কংগ্রেস  অফিসের বাইরে পার্ক করা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আসলে ওরা ভয় পেয়ে গেছে। ওদের সময় ঘনিয়ে এসেছে এটা বিজেপি নেতারা বুঝে গেছে।

এবিষয়ে সপা প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, হিংসা পরাজয়ের লক্ষণ। একজন সাংবাদিক যখন রায়বরেলিতে বিজেপির সমাবেশে লোকদের টাকা দেওয়ার সত্যতা প্রকাশ করার চেষ্টা করছিলেন তখন তাঁর উপর হামলা চালায় বিজেপির  গুণ্ডারা। যোগী শাসনামলে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে। সাংবাদিকরা ‘অন ডিউটি’ মার খাচ্ছে। তাও আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর জনসভায়। দেশের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর সমাবেশে যখন এই অবস্থা, তখন দেশের বাকী অংশের অবস্থা কতটা খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ধর্মীয় মেরুকরণ এখন ‘বাসি’ হয়ে গেছে। তাই নির্ভীক সাংবাদিকদের মারধর করে মুখ বন্ধ করে দিতে চাইছে।

 

এই নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেছেন, সাংবাদিক  রাঘব ত্রিবেদীকে রয়বরেলিতে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায়  বিজেপির লোকেরা নির্মমভাবে মারধর করেছে। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন আর পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিল।

 

অন্যদিকে, বিহারের নেতা পাপ্পু যাদব বলেছেন, নির্ভীক সাংবাদিক রাঘব ত্রিবেদী রায়বরেলিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সমাবেশে বিজেপির লোক বেধড়ক মারধর করেছে। তাঁর অবস্থা শোচনীয়। ভর্তি হাসপাতালে। আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।

 

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুসলিম ভেবে হিন্দু সাংবাদিককে বেধড়ক মার, অমিত শাহের সমাবেশে নীরব পুলিশ

আপডেট : ১৩ মে ২০২৪, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  চোখা চোখা প্রশ্ন করায় মুসলিম ভেবে হিন্দু সাংবাদিককে বেধড়ক মার। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিতে অমিত শাহের সমাবেশে ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্ত সাংবাদিকের নাম  রাঘব ত্রিবেদী। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় মহিলাদের নানান প্রশ্ন করছিলেন।অভিযোগ, সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। গোটা ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে  সংবাদিকের সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান।

 

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।এদিন কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ইউপির রায়বরেলিতে অমিত শাহের জনসভা ছিল। এখানে মহিলারা এক সাংবাদককে জানান যে, টাকা দিয়ে তাদের সমাবেশে আনা হয়েছে। ওই সাংবাদিক সেটি রেকর্ড করেন। এরপরই বিজেপির গুণ্ডারা সাংবাদিককে ভিডিয়োটি মুছে দিতে বলে। তিনি তা করতে অস্বীকার করলে তাকে মঞ্চের পিছনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। এমনকি ওই সাংবাদিকদের কাছ থেকে সব টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পোস্টে আরও বলা হয়, বিজেপির গুণ্ডারা সম্প্রতি আমেঠিতে কংগ্রেস  অফিসের বাইরে পার্ক করা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আসলে ওরা ভয় পেয়ে গেছে। ওদের সময় ঘনিয়ে এসেছে এটা বিজেপি নেতারা বুঝে গেছে।

এবিষয়ে সপা প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, হিংসা পরাজয়ের লক্ষণ। একজন সাংবাদিক যখন রায়বরেলিতে বিজেপির সমাবেশে লোকদের টাকা দেওয়ার সত্যতা প্রকাশ করার চেষ্টা করছিলেন তখন তাঁর উপর হামলা চালায় বিজেপির  গুণ্ডারা। যোগী শাসনামলে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে। সাংবাদিকরা ‘অন ডিউটি’ মার খাচ্ছে। তাও আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর জনসভায়। দেশের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর সমাবেশে যখন এই অবস্থা, তখন দেশের বাকী অংশের অবস্থা কতটা খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ধর্মীয় মেরুকরণ এখন ‘বাসি’ হয়ে গেছে। তাই নির্ভীক সাংবাদিকদের মারধর করে মুখ বন্ধ করে দিতে চাইছে।

 

এই নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেছেন, সাংবাদিক  রাঘব ত্রিবেদীকে রয়বরেলিতে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায়  বিজেপির লোকেরা নির্মমভাবে মারধর করেছে। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন আর পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিল।

 

অন্যদিকে, বিহারের নেতা পাপ্পু যাদব বলেছেন, নির্ভীক সাংবাদিক রাঘব ত্রিবেদী রায়বরেলিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সমাবেশে বিজেপির লোক বেধড়ক মারধর করেছে। তাঁর অবস্থা শোচনীয়। ভর্তি হাসপাতালে। আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।