কেন্দ্রের নির্দেশিকায় যুদ্ধ-জল্পনা
ভারত-পাক যুদ্ধ কি আসন্ন? দেশজুড়ে মকড্রিল নির্দেশ কেন্দ্রের

- আপডেট : ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 129
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: তাহলে কি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ আসন্ন? প্রত্যাঘাত শীঘ্রই? সোমবার কেন্দ্রের এক নির্দেশিকায় এই জল্পনা তৈরি হয়েছে। দেশের সব রাজ্যকে এদিন অ্যাডভাইজারি দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, ৭ মে তারা যেন রাজ্যের সাধারণ নাগরিক ও বিশেষকরে ছাত্রদের নিয়ে মকড্রিল (যুদ্ধ মহড়া) করে নেয়।
উল্লেখ্য, যুদ্ধের আগেই সাধারণত এই ধরনের মকড্রিল হয়ে থাকে। সেখানে নাগরিকদের যুদ্ধ চলাকালীন সতর্ক থাকার পাঠ দেওয়া হয়। যেমন, এলাকার সমস্ত আলো রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে শত্রুপক্ষ ওই আলো লক্ষ্য করে বিমানহানা করতে না পারে।
ঘরের আলো যাতে বাইরে থেকে দেখা না যায়, বাসিন্দাদের সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়। সাইরেনের শব্দে ঘরে বা নিরাপদ জায়গায় ঢুকে যেতে বলা হয়। ব্ল্যাক আউটের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে-যে বিষয়ে মহড়া দিতে বলেছে, তার মধ্যে রয়েছে-বিমান হামলার সতর্কতা হিসেবে সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা, নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে সাধারণ মানুষ, বিশেষত পড়ুয়াদের ভূমিকা কী হবে, হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী করণীয় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কী ভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হবে।
সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন নির্দেশের পরই ফিরোজপুর, পঞ্জাবে ব্ল্যাক আউটের মক ড্রিল শুরু হয়েছে। সাধারণত যুদ্ধের সময় বিপক্ষের নজর এড়াতে বা বিপক্ষের বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করতে বিস্তীর্ণ এলাকার আলো নিবিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তবে কি পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত এখন সময়ের অপেক্ষা?
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিহানায় ২৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয় সূত্র মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। তাদের বেশিরভাগই পর্যটক। হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল ৫-৬জন।