১৪ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রান্তিক মানুষদের কাজ কেড়ে নিচ্ছেন মোদি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার
  • / 341

প্রান্তিক মানুষদের কাজ কেড়ে নিচ্ছেন মোদি (modi)

 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ১০০ দিনের কাজ তথা মনরেগা নিয়ে সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যত ঝড় তুললেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সোনিয়া গান্ধি (sonia gandhi)। উল্লেখ্য, এই ১০০দিনের কাজ খোদ সোনিয়ারই মস্তিষ্কপ্রসূত। ইউপিএ সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সময় প্রান্তিক মানুষদের হাতে কাজ দিতে এই স্কিম চালু করা হয়েছিল। কেন্দ্রে মোদি  (modi) সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী এই স্কিমকে ‘গর্ত খোঁড়ার প্রকল্প’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। মঙ্গলবার এই প্রকল্প নিয়েই কেন্দ্রকে চড়া সুরে বিঁধলেন সোনিয়া।

আরও পড়ুন: মোদি আসলেই ট্রাম্পকে ভয় পান: মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি নিয়ে সুর চড়ালেন রাহুল

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সোনিয়া (sonia gandhi) অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকার মনরেগা প্রকল্পকে ধীরে ধীরে শেষ করে দিতে চাইছে। এদিন জিরো আওয়ারে বিষয়টি উত্থাপন করেন সোনিয়া। তিনি সাফ জানান, এই স্কিমকে শেষ করে দিয়ে দেশের প্রান্তিক মানুষদের উপার্জন কেড়ে নিতে চাইছে কেন্দ্র। এরপরই কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে এই ১০০দিনের কাজে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি। মনরেগা স্কিমে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি এবং গ্যারান্টিযুক্ত কর্মদিবস বাড়ানোরও দাবি তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা ফি বৃদ্ধি, মোদি নীরব কেন: রাহুল

 

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব ইস্যুতে Sonia Gandhi-র বিরুদ্ধে মামলা খারিজ আদালতের!

♦ গাজার ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা ইসরাইলের

রায়বরেলির সাংসদ তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি (sonia gandhi) কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়েও। তিনি বলেছেন, জিডিপির শতাংশের হিসেবে এবারের বরাদ্দ এক দশকের মধ্যে সবথেকে কম। তবে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তারও একটা অংশ গত বছরগুলির বকেয়া মেটাতে চলে যাবে। সেই হিসেবে চলতি বছরে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টাকা খরচ করা যাবে। এরপরই একশো দিনের কাজে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সোনিয়া বলেন, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দৈনিক ৪০০ টাকা করা উচিত।

 

শ্রমিকদের সময়মতো মজুরি দেওয়া নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, গ্যারান্টিযুক্ত কর্মদিবস ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ করা উচিত। এই প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে সোনিয়া বলেন, আধার-নির্ভর পেমেন্ট ব্যবস্থা, জাতীয় মোবাইল মনিটরিং সিস্টেম, মজুরি প্রদানে দীর্ঘ বিলম্ব এবং অপর্যাপ্ত পারিশ্রমিকএই প্রকল্পের কার্যকারিতা ব্যাহত করছে। এরপরই সোনিয়া বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অধীনে ইউপিএ সরকার আইন করেছিল।

 

২০০৫ সালে তৈরি হয়েছিল মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন। এই ‘ল্যান্ডমার্ক’ আইন লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ দরিদ্র মানুষদের জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক নিরাপত্তার ঢাল’ হয়ে উঠেছিল। তবে এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়, বর্তমান বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে এই প্রকল্পকে অবহেলা করে চলেছে। কেন্দ্রের বাজেটে এই স্কিম ৮৬,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর যে পরিমাণ তহবিল বরাদ্দ হয়েছে তার প্রায় ২০ শতাংশ আগের মুলতুবি বকেয়া পরিশোধের জন্যই চলে যায়।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকার মনরেগা প্রকল্প চালু করেছিল। এর আওতায় গ্রামীণ অঞ্চলের বেকার প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বছরে ১০০ দিনের গ্যারান্টিযুক্ত মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও, এই প্রকল্পে মোট কর্মসংস্থানের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রান্তিক মানুষদের কাজ কেড়ে নিচ্ছেন মোদি

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার

প্রান্তিক মানুষদের কাজ কেড়ে নিচ্ছেন মোদি (modi)

 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ১০০ দিনের কাজ তথা মনরেগা নিয়ে সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যত ঝড় তুললেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সোনিয়া গান্ধি (sonia gandhi)। উল্লেখ্য, এই ১০০দিনের কাজ খোদ সোনিয়ারই মস্তিষ্কপ্রসূত। ইউপিএ সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সময় প্রান্তিক মানুষদের হাতে কাজ দিতে এই স্কিম চালু করা হয়েছিল। কেন্দ্রে মোদি  (modi) সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী এই স্কিমকে ‘গর্ত খোঁড়ার প্রকল্প’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। মঙ্গলবার এই প্রকল্প নিয়েই কেন্দ্রকে চড়া সুরে বিঁধলেন সোনিয়া।

আরও পড়ুন: মোদি আসলেই ট্রাম্পকে ভয় পান: মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি নিয়ে সুর চড়ালেন রাহুল

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সোনিয়া (sonia gandhi) অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকার মনরেগা প্রকল্পকে ধীরে ধীরে শেষ করে দিতে চাইছে। এদিন জিরো আওয়ারে বিষয়টি উত্থাপন করেন সোনিয়া। তিনি সাফ জানান, এই স্কিমকে শেষ করে দিয়ে দেশের প্রান্তিক মানুষদের উপার্জন কেড়ে নিতে চাইছে কেন্দ্র। এরপরই কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে এই ১০০দিনের কাজে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি। মনরেগা স্কিমে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি এবং গ্যারান্টিযুক্ত কর্মদিবস বাড়ানোরও দাবি তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা ফি বৃদ্ধি, মোদি নীরব কেন: রাহুল

 

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব ইস্যুতে Sonia Gandhi-র বিরুদ্ধে মামলা খারিজ আদালতের!

♦ গাজার ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা ইসরাইলের

রায়বরেলির সাংসদ তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি (sonia gandhi) কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়েও। তিনি বলেছেন, জিডিপির শতাংশের হিসেবে এবারের বরাদ্দ এক দশকের মধ্যে সবথেকে কম। তবে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তারও একটা অংশ গত বছরগুলির বকেয়া মেটাতে চলে যাবে। সেই হিসেবে চলতি বছরে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টাকা খরচ করা যাবে। এরপরই একশো দিনের কাজে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সোনিয়া বলেন, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দৈনিক ৪০০ টাকা করা উচিত।

 

শ্রমিকদের সময়মতো মজুরি দেওয়া নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, গ্যারান্টিযুক্ত কর্মদিবস ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ করা উচিত। এই প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে সোনিয়া বলেন, আধার-নির্ভর পেমেন্ট ব্যবস্থা, জাতীয় মোবাইল মনিটরিং সিস্টেম, মজুরি প্রদানে দীর্ঘ বিলম্ব এবং অপর্যাপ্ত পারিশ্রমিকএই প্রকল্পের কার্যকারিতা ব্যাহত করছে। এরপরই সোনিয়া বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অধীনে ইউপিএ সরকার আইন করেছিল।

 

২০০৫ সালে তৈরি হয়েছিল মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন। এই ‘ল্যান্ডমার্ক’ আইন লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ দরিদ্র মানুষদের জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক নিরাপত্তার ঢাল’ হয়ে উঠেছিল। তবে এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়, বর্তমান বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে এই প্রকল্পকে অবহেলা করে চলেছে। কেন্দ্রের বাজেটে এই স্কিম ৮৬,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর যে পরিমাণ তহবিল বরাদ্দ হয়েছে তার প্রায় ২০ শতাংশ আগের মুলতুবি বকেয়া পরিশোধের জন্যই চলে যায়।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকার মনরেগা প্রকল্প চালু করেছিল। এর আওতায় গ্রামীণ অঞ্চলের বেকার প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বছরে ১০০ দিনের গ্যারান্টিযুক্ত মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও, এই প্রকল্পে মোট কর্মসংস্থানের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।