০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একমাত্র শিক্ষিকা বদলি হয়ে যাওয়ায় বন্ধের মুখে মুর্শিদাবাদের খাসপুর গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, শুক্রবার
  • / 18

হাবিবুর রহমান খানঃ খড়গ্রামের ঝিল্লী অঞ্চলের খাসপুর গার্লস জুনিয়ার হাই স্কুলে একমাত্র শিক্ষিকার বদলি হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে। এখন আপাতত গ্রুপ ডি কর্মীর ভরসায় রয়েছে জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়।

স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অন্যত্র বদলি নিয়েছেন । গ্রুপ – ডি কর্মীই এখন ভরসা। শিক্ষিকা না থাকায় ছাত্রীরা ক্লাসে এসে নিজেদের মতো পড়াশোনা করছে। খেলাধুলো করছে, আর তাদের যাবতীয় বিষয়ের খেয়াল রাখছেন স্কুলের ওই কর্মীরা । গত শুক্রবারই ওই স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অন্য স্কুলে বদলি হয়ে যান । কোনও শিক্ষিকা না থাকায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা । আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের ছাত্রীরা সেখানে পড়াশুনা করে।

একমাত্র শিক্ষিকা বদলি হয়ে যাওয়ায় বন্ধের মুখে মুর্শিদাবাদের খাসপুর গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল

স্কুল তৈরির পর এলাকার বাসিন্দারা অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন । পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ওই স্কুলে প্রথম থেকে ২০০ – র বেশি ছাত্রী ভর্তি হয়েছিল । শিক্ষিকা ছিলেন চারজন । বেশ রমরমিয়ে চলছিল স্কুলটি । কিন্তু রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী অ্যাপ চালু হওয়ার পরই সমস্যা তৈরি হয় । কয়েকমাস আগে স্কুলের তিন শিক্ষিকা অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান । ফলে স্কুল চালাচ্ছিলেন একমাত্র প্রধান শিক্ষিকা শেফালি দাস ও গ্রুপ – ডি কর্মী গোরী মণ্ডল।

 

স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা শেফালি দাস গত শুক্রবার অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন । ফলে এবার স্কুল শিক্ষিকাহীন হয়ে গেছে । স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী রুমা খাতুন ও সুন্দরী খাতুন বলেন ,”স্কুলের প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকের ছাত্রী ছিলাম আমরা। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে তখন খুব ভালো স্কুল চলত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একটু আলাদা। অভিভাবক ফেন্সি হালদার ও প্রিয়া ফুলমালি বলেন এই এলাকার ১৭ টি গ্রামের মধ্যে একমাত্র এটি একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়।

এবার শিক্ষিকা না থাকায় শতাধিক ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই খবর। ওই স্কুলের সভাপতি শওকত আলি মণ্ডল বলেন , মেয়েদের শিক্ষার প্রসারের স্বপ্ন নিয়ে বড় আশা করে আমি স্কুলের জন্য জমি দান করেছিলাম । কিন্তু ধীরে ধীরে সেই স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যাচ্ছে । পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে । যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া যায়, তাহলে এলাকার মেয়েরা পিছিয়ে পড়বে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

একমাত্র শিক্ষিকা বদলি হয়ে যাওয়ায় বন্ধের মুখে মুর্শিদাবাদের খাসপুর গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, শুক্রবার

হাবিবুর রহমান খানঃ খড়গ্রামের ঝিল্লী অঞ্চলের খাসপুর গার্লস জুনিয়ার হাই স্কুলে একমাত্র শিক্ষিকার বদলি হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে। এখন আপাতত গ্রুপ ডি কর্মীর ভরসায় রয়েছে জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়।

স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অন্যত্র বদলি নিয়েছেন । গ্রুপ – ডি কর্মীই এখন ভরসা। শিক্ষিকা না থাকায় ছাত্রীরা ক্লাসে এসে নিজেদের মতো পড়াশোনা করছে। খেলাধুলো করছে, আর তাদের যাবতীয় বিষয়ের খেয়াল রাখছেন স্কুলের ওই কর্মীরা । গত শুক্রবারই ওই স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অন্য স্কুলে বদলি হয়ে যান । কোনও শিক্ষিকা না থাকায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা । আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের ছাত্রীরা সেখানে পড়াশুনা করে।

একমাত্র শিক্ষিকা বদলি হয়ে যাওয়ায় বন্ধের মুখে মুর্শিদাবাদের খাসপুর গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল

স্কুল তৈরির পর এলাকার বাসিন্দারা অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন । পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ওই স্কুলে প্রথম থেকে ২০০ – র বেশি ছাত্রী ভর্তি হয়েছিল । শিক্ষিকা ছিলেন চারজন । বেশ রমরমিয়ে চলছিল স্কুলটি । কিন্তু রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী অ্যাপ চালু হওয়ার পরই সমস্যা তৈরি হয় । কয়েকমাস আগে স্কুলের তিন শিক্ষিকা অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান । ফলে স্কুল চালাচ্ছিলেন একমাত্র প্রধান শিক্ষিকা শেফালি দাস ও গ্রুপ – ডি কর্মী গোরী মণ্ডল।

 

স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা শেফালি দাস গত শুক্রবার অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন । ফলে এবার স্কুল শিক্ষিকাহীন হয়ে গেছে । স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী রুমা খাতুন ও সুন্দরী খাতুন বলেন ,”স্কুলের প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকের ছাত্রী ছিলাম আমরা। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে তখন খুব ভালো স্কুল চলত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একটু আলাদা। অভিভাবক ফেন্সি হালদার ও প্রিয়া ফুলমালি বলেন এই এলাকার ১৭ টি গ্রামের মধ্যে একমাত্র এটি একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়।

এবার শিক্ষিকা না থাকায় শতাধিক ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই খবর। ওই স্কুলের সভাপতি শওকত আলি মণ্ডল বলেন , মেয়েদের শিক্ষার প্রসারের স্বপ্ন নিয়ে বড় আশা করে আমি স্কুলের জন্য জমি দান করেছিলাম । কিন্তু ধীরে ধীরে সেই স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যাচ্ছে । পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে । যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া যায়, তাহলে এলাকার মেয়েরা পিছিয়ে পড়বে।