২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে শত্রুরা অত্যাচার করতে পারবে না : ইরান 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
  • / 136

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: সউদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে আঞ্চলিক নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। শুক্রবার সউদি প্রেস এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।

 

ফোনকলে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘মুসলিমরা যদি হাত মেলায়, তাহলে তারা ফিলিস্তিন এবং গাজার জনগণেরসহ কিছু ইসলামী দেশের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও অপরাধ প্রতিরোধ করতে পারবে। আমি আত্মবিশ্বাসী ইসলামী দেশগুলো যদি একসঙ্গে কাজ করে, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি আনতে পারবে।’ ফোনে বিন সালমান মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের জন্য ইরানি প্রেসিডেন্টের আহ্বানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পেজেশকিয়ান স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন- ‘আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না, তবে নিজেদের আত্মরক্ষায় আমরা দ্বিধাহীন এবং এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ’

 

অন্যদিকে, ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আল-মাসহাতের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বের মুসলিমদেশগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে শত্রুরা অত্যাচার চালাতে পারবে না।’

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালাচ্ছে। এতে হতাহতের ঘটনা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইয়েমেন ও ইরানের এই দুই নেতা কথা বললেন। উত্তরে মাসহাত জোর দিয়ে বলেন, ‘ইসলামী ঐক্যকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ইরানের অবস্থান সত্যিই গর্বের।‘তিনি আরও বলেন, যদি ইসলামী দেশগুলো ঐক্যের ওপর মনোযোগ দেয় ও ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো অত্যাচার ও আক্রমণ করতে সক্ষম হবে না।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে শত্রুরা অত্যাচার করতে পারবে না : ইরান 

আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: সউদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে আঞ্চলিক নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। শুক্রবার সউদি প্রেস এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।

 

ফোনকলে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘মুসলিমরা যদি হাত মেলায়, তাহলে তারা ফিলিস্তিন এবং গাজার জনগণেরসহ কিছু ইসলামী দেশের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও অপরাধ প্রতিরোধ করতে পারবে। আমি আত্মবিশ্বাসী ইসলামী দেশগুলো যদি একসঙ্গে কাজ করে, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি আনতে পারবে।’ ফোনে বিন সালমান মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের জন্য ইরানি প্রেসিডেন্টের আহ্বানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পেজেশকিয়ান স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন- ‘আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না, তবে নিজেদের আত্মরক্ষায় আমরা দ্বিধাহীন এবং এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ’

 

অন্যদিকে, ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আল-মাসহাতের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বের মুসলিমদেশগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে শত্রুরা অত্যাচার চালাতে পারবে না।’

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালাচ্ছে। এতে হতাহতের ঘটনা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইয়েমেন ও ইরানের এই দুই নেতা কথা বললেন। উত্তরে মাসহাত জোর দিয়ে বলেন, ‘ইসলামী ঐক্যকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ইরানের অবস্থান সত্যিই গর্বের।‘তিনি আরও বলেন, যদি ইসলামী দেশগুলো ঐক্যের ওপর মনোযোগ দেয় ও ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো অত্যাচার ও আক্রমণ করতে সক্ষম হবে না।