০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খারগোনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মুসলমানদের বাড়ি, দোকান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 23

পুবের কলম প্রতিবেদক: এপ্রিল­ রামনবমীতে মধ্যপ্রদেশের খারগোনে সাম্প্রদায়িক হিংসার পর এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। হাজারখানেক মুসলমান বাড়িঘর ছেড়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন এলাকা ছেড়ে। কেউ আবার আশ্রয় নিয়েছেন মসজিদে। হিংস্র হামলার নানা চিত্র এবার সামনে আসছে। সহিংসতার সময় ধারণ করা একটি সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি এলাকায় দাঙ্গাকারীদের পাথর ছুঁড়তে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কয়েকজনকে হাতে তলোয়ার নিয়ে আস্ফালন করতেও দেখা গিয়েছে।

 

এলাকাটি ঘাটি মার্গ মোল্লা ওয়াদি জামে মসজিদের ঠিক পিছনে অবস্থিত। সব দাঙ্গাবাজের মুখ স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা ছিল। ফুটেজে আরও দেখা গেছে, দুর্বৃত্তরা ওই এলাকায় পার্ক করা গাড়ি ভাঙচুর করছে। প্রসঙ্গত, রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোড়ার অভিযোগে মুসলমানদেরকে একতরফাভাবে আক্রমণ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয়েছিল। অগ্নিসংযোগ হয়েছে। মুসলমানদের বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

 

ঘটনার পর ওই এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। নাগরিকদের জরুরি অবস্থা ছাড়া বাইরে বের না হতে বলা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, বুধবারও খারগোনে কারফিউ বলবৎ ছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউ শিথিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া ঘটনায় অভিযুক্তদের অবৈধ ভবন বুলডোজ করার অভিযান বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ ক্ষেত্রে মুসলমানদের বাড়িঘরগুলিই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। নগরীতে এ পর্যন্ত তথাকথিত ‘আইন লঙ্ঘন’ করে নির্মিত ৫৩টি বাড়ি ও দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

খারগোনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মুসলমানদের বাড়ি, দোকান

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: এপ্রিল­ রামনবমীতে মধ্যপ্রদেশের খারগোনে সাম্প্রদায়িক হিংসার পর এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। হাজারখানেক মুসলমান বাড়িঘর ছেড়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন এলাকা ছেড়ে। কেউ আবার আশ্রয় নিয়েছেন মসজিদে। হিংস্র হামলার নানা চিত্র এবার সামনে আসছে। সহিংসতার সময় ধারণ করা একটি সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি এলাকায় দাঙ্গাকারীদের পাথর ছুঁড়তে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কয়েকজনকে হাতে তলোয়ার নিয়ে আস্ফালন করতেও দেখা গিয়েছে।

 

এলাকাটি ঘাটি মার্গ মোল্লা ওয়াদি জামে মসজিদের ঠিক পিছনে অবস্থিত। সব দাঙ্গাবাজের মুখ স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা ছিল। ফুটেজে আরও দেখা গেছে, দুর্বৃত্তরা ওই এলাকায় পার্ক করা গাড়ি ভাঙচুর করছে। প্রসঙ্গত, রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোড়ার অভিযোগে মুসলমানদেরকে একতরফাভাবে আক্রমণ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয়েছিল। অগ্নিসংযোগ হয়েছে। মুসলমানদের বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

 

ঘটনার পর ওই এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। নাগরিকদের জরুরি অবস্থা ছাড়া বাইরে বের না হতে বলা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, বুধবারও খারগোনে কারফিউ বলবৎ ছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউ শিথিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া ঘটনায় অভিযুক্তদের অবৈধ ভবন বুলডোজ করার অভিযান বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ ক্ষেত্রে মুসলমানদের বাড়িঘরগুলিই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। নগরীতে এ পর্যন্ত তথাকথিত ‘আইন লঙ্ঘন’ করে নির্মিত ৫৩টি বাড়ি ও দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে।