মিয়ানমারে প্রথম দফার ভোট ২৮ ডিসেম্বর , নজর রাখছে নয়াদিল্লি, চিন

- আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
- / 20
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সব জল্পনার অবসান। অবশেষে ৫ বছর পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মিয়ানমারে। ইতিমধ্যেই দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে জান্তা সরকার। জানা গেছে, প্রথম ধাপের কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ১৭ দিন পর জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে জান্তা সরকার। বলা বাহুল্য, ২০২০ সালে সেখানে শেষ বারের ভোটে জয়ী হয়েছিল গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
বছর ঘুরতেই সামরিক অভ্যুত্থান ঘটায় সে দেশের সেনাবাহিনী। ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন আয়োজিত হবে ভারতের পড়শি দেশে। তবে সু চি-র দল সেই নির্বাচনে যোগ দিতে পারবে না। জান্তা সরকারের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তবে নিশ্চিত ভাবেই আগামী বছরের মধ্যে মায়ানমারে একটি রাজনৈতিক পালাবদল আসতে চলেছে। ভারত সরকার পড়শি দেশের এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে নজর রাখছে। সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে চিনও।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে। পরবর্তী ধাপের তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে। তীব্র গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটির অনেক অংশ এখনও সেনাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ‘প্রহসন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। যদিও জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংঘাত নিরসনের উপায় হতে পারে এই নির্বাচন।
পাশাপাশি ভোটের আগে অস্ত্র সমর্পণকারী বিদ্রোহীদের নগদ পুরস্কারের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করা হয়। এরপর থেকেই দেশটি সংঘাতে নিমজ্জিত। দেশটির কয়েকটি এলাকা এখনো গণতন্ত্রপন্থী গেরিলা ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে। যারা এসব এলাকায় ভোট ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।
চলমান গৃহযুদ্ধে মিয়ানমারে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩৫ লক্ষেরও বেশি। দেশটির বড় রাজনৈতিক দল এনএলডির নেত্রী অং সান সু চি এখনও কারাগারে আছেন। সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত বহু সংসদ সদস্য নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন।