দুর্গাপুরে একই পরিবারে চারজনের রহস্যমৃত্যু, সিবিআই চেয়ে মামলা

- আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, সোমবার
- / 26
পারিজাত মোল্লাঃ সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে দুর্গাপুরে একই পরিবারে চারজনের রহস্যমৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ।
মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, দুর্গাপুরের চার জনের রহস্যমৃত্যুর পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়টিও জড়িয়ে থাকতে পারে’। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আইনজীবীকে গোটা বিষয় জানিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরই এই মামলা শুনবে আদালত। মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, দুর্গাপুরের একই পরিবারের চার জনের রহস্যমৃত্যুতেও রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে অমিত মণ্ডল তাঁর মোবাইল থেকে আত্মীয়দের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে দুটি সুইসাইড নোট পাঠান। সেখানে স্কুলে নিয়োগে তাদেরই কিছু আত্মীয়ের জড়িত থাকা, তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, দিনের পর দিন মানসিক হেনস্থার অভিযোগ করা হয়েছে’।
গোটা বিষয়টি জানিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন এই আইনজীবী। উল্লেখ্য, গত রবিবার ভোরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের মিলনপল্লির একটি ঘটনা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দেয়। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অমিত মণ্ডল নামে এক যুবক, তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তানের দেহ। মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রীর দেহ, বিছানায় দুই সন্তান আর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলেন অমিত।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে পরিবারের কয়েকজনকে মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে একটি বার্তাও দেন। তা নিয়েও দানা বাঁধছে রহস্য। অভিযোগ সম্পত্তির জেরেই করা হয়েছে খুন। মৃত্যুর আগের হোয়াটঅ্যাপ মেসেজ নিয়ে বেড়েছে চাপানউতর। ওই মেসেজই আবার ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন অমিত। আর সেই পোস্ট নিয়েই সিবিআই তদন্ত চেয়ে এই মামলা।
মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, ‘এর পিছনে একটা বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে’।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ওই আইনজীবীকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এখন দেখার এই মামলায় কি নির্দেশ জারি হয়?