০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইআইটি মাদ্রাজে ভর্তি হতে চায়, উচ্চ মাধ্যমিকের দশম স্থান পাওয়া নদিয়ার মেয়ে আনজুমা দিলরুবা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, বুধবার
  • / 13

শফিকুল ইসলাম:  নদিয়ার মেয়ে অঞ্জুমা দিলরুবা এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকার করেছে।তার বাড়ি হাঁসপুকুরিয়া পলাশীপাড়ায়।  সে আল আমিন মিশনের  খলতপুর শাখায় পড়াশোনা করত।হুগলির গোঘাট ভগবতী বালিকা বিদ্যালয় থেকে সে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।

উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮৭ নম্বর পেয়ে দশম স্থানাধিকার করলেও আরও একটু ভালো ফল সে আশা করেছিল। ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যার গবেষক হতে চায় দিলরুবা। স্কুলে বরাবরই মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরেই বাবা মায়ের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিল উচ্চমাধ্যমিকের এই কৃতি। মেয়ের ফলাফলে উচ্ছসিত বাবা-মা।

আর এই খবর বাড়িতে আসার পরে যারপরনাই খুশি  দিলরুবা নিজে। সেই সঙ্গে আনন্দিত তাঁর পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরাও। আনজুমা দিলরুবা বিজ্ঞান বিভাগের  ছাত্রী। সে বাংলায় ৯৩, ইংরেজিতে ৯৭,পদার্থবিজ্ঞানে ৯৬,অংকে ৯৭, রসায়নবিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮  নম্বার পেয়েছে।

এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দিলরুবার বক্তব্য, “আমি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। ভেবেছিলাম  মিশনের/স্কুলের মধ্যে একটা ভালো জায়গায় থাকতে পারি। পরীক্ষা দিয়ে সেটাই মনে হয়েছিল। কিন্তু তাই বলে রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান, এটা আমার কাছে  যেন অবিশ্বাস্য বলেই মনে হচ্ছে।

এই প্রতিবেদককে দিলরুবা জানায়, সে আইআইটিতে ভর্তি হতে চায়।তার লক্ষ্য আইআইটি মাদ্রাজে ভর্তি হওয়া। পরে এমআইটি থেকে পিএইচডি করতে চাইছে দিলরুবা।

দিলরুবা ভালো ছবি আঁকতে পারে, সেই সঙ্গে গানও জানে।তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও রমজান মাসের রোজা রাখাতে তার কোন ফাঁকি নেই।

আব্বা আতিকুল শেখ একটি মুদিখানা চালান,সামান্য জমি জমা আছে,মা শাহনাজ পারভিন গৃহের সব কাজ দেখাশোনা করেন। দিলরুবা জানায়, তার এই উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল  সে তার মাকে উৎসর্গ করতে চায়।তার মা তাকে বেশি উৎসাহিত করেছে।

নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে আনজুমা দিলরুবার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক অবস্থা প্রতিবন্ধক হলেও  তার বাবা মা ইচ্ছা পূরণে যথাসাধ্য সাহায্য করবেন বলে সে জানায়। তার মা শাহনাজ পারভীন জানান,আমরা মনেপ্রাণে চাই দিলরুবা আরও সফল হয়ে উঠুক, ভবিষ্যতে যেটা নিয়ে আমাদের মেয়ে পড়তে চায়, সেটা নিয়েই পড়বে। আর সব থেকে বড় কথা,  একজন ভালো মানুষ হোক আমাদের দিলরুবা”। ভালো ফলাফলের পর এবার স্কুলের সহপাঠী ও  শিক্ষক শিক্ষিকা ও আল আমিন মিশন এর প্রাণপুরুষ  নুরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছে দিলরুবা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আইআইটি মাদ্রাজে ভর্তি হতে চায়, উচ্চ মাধ্যমিকের দশম স্থান পাওয়া নদিয়ার মেয়ে আনজুমা দিলরুবা

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, বুধবার

শফিকুল ইসলাম:  নদিয়ার মেয়ে অঞ্জুমা দিলরুবা এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকার করেছে।তার বাড়ি হাঁসপুকুরিয়া পলাশীপাড়ায়।  সে আল আমিন মিশনের  খলতপুর শাখায় পড়াশোনা করত।হুগলির গোঘাট ভগবতী বালিকা বিদ্যালয় থেকে সে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।

উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮৭ নম্বর পেয়ে দশম স্থানাধিকার করলেও আরও একটু ভালো ফল সে আশা করেছিল। ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যার গবেষক হতে চায় দিলরুবা। স্কুলে বরাবরই মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরেই বাবা মায়ের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিল উচ্চমাধ্যমিকের এই কৃতি। মেয়ের ফলাফলে উচ্ছসিত বাবা-মা।

আর এই খবর বাড়িতে আসার পরে যারপরনাই খুশি  দিলরুবা নিজে। সেই সঙ্গে আনন্দিত তাঁর পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরাও। আনজুমা দিলরুবা বিজ্ঞান বিভাগের  ছাত্রী। সে বাংলায় ৯৩, ইংরেজিতে ৯৭,পদার্থবিজ্ঞানে ৯৬,অংকে ৯৭, রসায়নবিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮  নম্বার পেয়েছে।

এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দিলরুবার বক্তব্য, “আমি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। ভেবেছিলাম  মিশনের/স্কুলের মধ্যে একটা ভালো জায়গায় থাকতে পারি। পরীক্ষা দিয়ে সেটাই মনে হয়েছিল। কিন্তু তাই বলে রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান, এটা আমার কাছে  যেন অবিশ্বাস্য বলেই মনে হচ্ছে।

এই প্রতিবেদককে দিলরুবা জানায়, সে আইআইটিতে ভর্তি হতে চায়।তার লক্ষ্য আইআইটি মাদ্রাজে ভর্তি হওয়া। পরে এমআইটি থেকে পিএইচডি করতে চাইছে দিলরুবা।

দিলরুবা ভালো ছবি আঁকতে পারে, সেই সঙ্গে গানও জানে।তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও রমজান মাসের রোজা রাখাতে তার কোন ফাঁকি নেই।

আব্বা আতিকুল শেখ একটি মুদিখানা চালান,সামান্য জমি জমা আছে,মা শাহনাজ পারভিন গৃহের সব কাজ দেখাশোনা করেন। দিলরুবা জানায়, তার এই উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল  সে তার মাকে উৎসর্গ করতে চায়।তার মা তাকে বেশি উৎসাহিত করেছে।

নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে আনজুমা দিলরুবার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক অবস্থা প্রতিবন্ধক হলেও  তার বাবা মা ইচ্ছা পূরণে যথাসাধ্য সাহায্য করবেন বলে সে জানায়। তার মা শাহনাজ পারভীন জানান,আমরা মনেপ্রাণে চাই দিলরুবা আরও সফল হয়ে উঠুক, ভবিষ্যতে যেটা নিয়ে আমাদের মেয়ে পড়তে চায়, সেটা নিয়েই পড়বে। আর সব থেকে বড় কথা,  একজন ভালো মানুষ হোক আমাদের দিলরুবা”। ভালো ফলাফলের পর এবার স্কুলের সহপাঠী ও  শিক্ষক শিক্ষিকা ও আল আমিন মিশন এর প্রাণপুরুষ  নুরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছে দিলরুবা।