২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Nandigram: ট্রলিতে ভরে শিশুকে অপহরণ, গ্রেফতার ৫

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার
  • / 75

পুবের কলম প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম: ট্রলি ব্যাগে শিশু অপহরণের ঘটনা আবারও সংবাদ শিরোনামে। নন্দীগ্রামের (Nandigram) শিমুলকুন্ডু গ্রামে ৪ বছরের এক শিশুকে অপহরণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে টিউশান শিক্ষক সঞ্জয় পতি সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সঞ্জয় পতি পেশায় টিউশান শিক্ষক। দোলের দিন সকালে, শিশুর বাবা-মা কাজে বেরিয়ে গেলে সুযোগ বুঝে সে ৪ বছরের শিশুটিকে অপহরণ করে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে ৯ বছরের এক শিশুর হাত-পা বেঁধে রেখে যায়, তবে সে চিৎকার করলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। চাপে পড়ে অভিযুক্তরা শিশুটিকে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ঘোলপুকুরিয়ার কাছে ফেলে পালায়।

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় Heat wave সতর্কতা

আরও পড়ুন: ট্যাবের টাকা নিয়েও পরীক্ষায় বসল না প্রায় ২ হাজার পরীক্ষার্থী

পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে। জেরায় সঞ্জয় পতি জানায়, অপহরণের মূল উদ্দেশ্য ছিল ঋণের টাকা আদায় করা। নন্দীগ্রাম (Nandigram) থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক থানায় অফিসার রদবদল

কিন্তু হঠাৎ এমন কাজ কেন করলেন ওই যুবক? পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, শিশুর বাবা তাঁর থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকবার বলা সত্ত্বেও তা ফেরত দিচ্ছিলেন না। তাই ছেলেকে অপহরণ করে সেই টাকা আদায়ের ভাবনা নিয়েছিলেন তিনি। সঞ্জয়ের এও বক্তব্য, টাকা পেলেই শিশুকে ছেড়ে দিতেন। অন্য কোনও খারাপ উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। আর এই কাজ করতে তাঁকে এক বন্ধু পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ধৃত সঞ্জয়।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দুকে আক্রমণ তৃণমুলের

আরও পড়ুন: Holi: পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ

কয়েক দিন আগে কলকাতার কুমোরটুলির কাছে নীল রঙের ট্রলিতে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার দেহ। পিসিশাশুড়িকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন বৌমা এবং তাঁর মা। তার পর কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে খুন করে তাঁর দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে ফেলতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন দু’জন। এ বার ট্রলি-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা এলাকায়। নন্দীগ্রামের (Nandigram) এক ছাত্রকে পড়াতে গিয়ে তাঁকে অপহরণ করে ট্রলিতে ভরে পালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Nandigram: ট্রলিতে ভরে শিশুকে অপহরণ, গ্রেফতার ৫

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম: ট্রলি ব্যাগে শিশু অপহরণের ঘটনা আবারও সংবাদ শিরোনামে। নন্দীগ্রামের (Nandigram) শিমুলকুন্ডু গ্রামে ৪ বছরের এক শিশুকে অপহরণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে টিউশান শিক্ষক সঞ্জয় পতি সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সঞ্জয় পতি পেশায় টিউশান শিক্ষক। দোলের দিন সকালে, শিশুর বাবা-মা কাজে বেরিয়ে গেলে সুযোগ বুঝে সে ৪ বছরের শিশুটিকে অপহরণ করে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে ৯ বছরের এক শিশুর হাত-পা বেঁধে রেখে যায়, তবে সে চিৎকার করলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। চাপে পড়ে অভিযুক্তরা শিশুটিকে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ঘোলপুকুরিয়ার কাছে ফেলে পালায়।

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় Heat wave সতর্কতা

আরও পড়ুন: ট্যাবের টাকা নিয়েও পরীক্ষায় বসল না প্রায় ২ হাজার পরীক্ষার্থী

পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে। জেরায় সঞ্জয় পতি জানায়, অপহরণের মূল উদ্দেশ্য ছিল ঋণের টাকা আদায় করা। নন্দীগ্রাম (Nandigram) থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক থানায় অফিসার রদবদল

কিন্তু হঠাৎ এমন কাজ কেন করলেন ওই যুবক? পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, শিশুর বাবা তাঁর থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকবার বলা সত্ত্বেও তা ফেরত দিচ্ছিলেন না। তাই ছেলেকে অপহরণ করে সেই টাকা আদায়ের ভাবনা নিয়েছিলেন তিনি। সঞ্জয়ের এও বক্তব্য, টাকা পেলেই শিশুকে ছেড়ে দিতেন। অন্য কোনও খারাপ উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। আর এই কাজ করতে তাঁকে এক বন্ধু পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ধৃত সঞ্জয়।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দুকে আক্রমণ তৃণমুলের

আরও পড়ুন: Holi: পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ

কয়েক দিন আগে কলকাতার কুমোরটুলির কাছে নীল রঙের ট্রলিতে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার দেহ। পিসিশাশুড়িকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন বৌমা এবং তাঁর মা। তার পর কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে খুন করে তাঁর দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে ফেলতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন দু’জন। এ বার ট্রলি-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা এলাকায়। নন্দীগ্রামের (Nandigram) এক ছাত্রকে পড়াতে গিয়ে তাঁকে অপহরণ করে ট্রলিতে ভরে পালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে।