১৮ জুলাই ফের বাংলায় আসছেন নরেন্দ্র মোদী, শহিদ দিবসের আগে দমদম ও দুর্গাপুরে হতে পারে জোড়া জনসভা

- আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
- / 123
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২১ জুলাইয়ের তৃণমূলের শহিদ দিবসের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়াতে ফের বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, ১৮ জুলাই দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। একই দিনে দুর্গাপুরেও আরও একটি সভা করতে পারেন মোদী, যা এই বছরে বাংলায় তাঁর প্রথম জোড়া জনসভা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের শহিদ দিবসের ঠিক আগে বাংলায় মোদীর উপস্থিতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর মাধ্যমে বিজেপি পরিষ্কার বার্তা দিতে চাইছে—২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।
দমদম সভা সফল করতে রাজ্য বিজেপি ইতিমধ্যেই একটি সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করেছে, যাতে মাঠপর্যায়ের কোনও প্রস্তুতিতে ত্রুটি না থাকে। মোদীর উপস্থিতি বাংলার বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়াবে, এমনটাই আশাবাদী রাজ্য নেতৃত্ব।
একদিকে বিজেপির অর্ধেক বুথ কমিটি রাজ্যে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে বলে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য দলের হাল ধরেছেন নতুন কৌশল নিয়ে।
শমীকের মতে, “বিজেপি সংখ্যালঘুবিরোধী নয়”, অর্থাৎ এবার সংখ্যালঘু ও হিন্দু—উভয় ভোটব্যাঙ্কে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। তাঁর মতে, বহুত্ববাদী রাজনীতি এবং শক্তিশালী বুথ সংগঠনের মাধ্যমেই আগামী নির্বাচনে জেতা সম্ভব।
মে মাসের পর বাংলায় মোদীর এটি দ্বিতীয় সফর, কিন্তু এবারে জোড়া সভার পরিকল্পনা নতুন বার্তা দিচ্ছে। গত বছর এমন সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তবে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত জোড়া সভা করেননি। ফলে ২১ জুলাইয়ের আগে মোদীর আগমনকে রাজনৈতিক দিক থেকে পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০২৬ বিধানসভা ভোটের আর মাত্র এক বছর বাকি। শাসক তৃণমূল ইতিমধ্যেই পূজা-পরবর্তী প্রতিশ্রুতির ইস্তেহার সাজাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অবস্থায় বিজেপিও প্রতিশ্রুতি দিয়ে নয়, বরং সাংগঠনিক শক্তির মাধ্যমে ভোটব্যাঙ্কে পৌঁছতে চায়। তাই, মোদীর বাংলায় আগমন শুধু প্রচার নয়, বিজেপির ভোটযুদ্ধের সূচনা বলেই ব্যাখ্যা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।