রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হচ্ছে নবান্ন

- আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
- / 125
পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ সফর বা ভ্রমণের ক্ষেত্রে এবার কঠোর নির্দেশিকা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছেন। এতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মী পূর্ব অনুমতি ছাড়া বিদেশ সফরের বা ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে পারবেন না। এমনকি ভ্রমণ সংক্রান্ত টিকিট বা হোটেল বুকিংয়ের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সরকারি কাজ বা বেড়াতে যাওয়া;যে কোনও কারণেই বিদেশ সফর হোক না কেন, অনুমতি ছাড়া ভ্রমণের বা থাকার ব্যবস্থা করা যাবে না। সম্প্রতি নবান্ন লক্ষ্য করেছে, বিভিন্ন দপ্তরের কিছু কর্মচারী বিদেশ সফরের প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার আগেই বিমান বা ট্রেনের টিকিট বুকিং কিংবা হোটেল বুকিং করে ফেলছেন। মুখ্যসচিব এই ধরনের কাজকে প্রশাসনিক নিয়মের সম্পূর্ণ অবমাননা বলে আখ্যা দিয়েছেন। যারা অনুমতি ছাড়াই এমন কাজ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, বিদেশ সফর সংক্রান্ত অনুমতি প্রক্রিয়ায় নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই নতুন নির্দেশিকা। সরকারের একজন আধিকারিক এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, প্রত্যেকটি সফরের অনুমোদনের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া থাকে। সেই প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে আগে থেকে বুকিং করলে প্রশাসনের পক্ষে তা পরবর্তী সময়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময় দেখা গেছে, সরকারি কর্মচারীরা আগে থেকেই বিদেশ সফরের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে কেবল ছুটির আবেদন করেন। তবে এখন থেকে আর তা হবে না। এই কড়াকড়ির ফলে বিদেশ সফর সংক্রান্ত অনুমতি প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, সফরের ক্ষেত্রে বা সাধারণ পরিস্থিতিতে কোনও কর্মীর ছুটির মেয়াদ শুরুর অন্তত চার সপ্তাহ আগেই অনুমতির আবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে পাঠাতে হবে। শেষ মুহূর্তে প্রস্তাব পাঠিয়ে আর অনুমোদন মিলবে না। পাশাপাশি, ভ্রমণ বা থাকার ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে কোনও শিথিলতা দেখানো হবে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে পূর্ব অনুমতি নেওয়া এবার থেকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এই নিয়ম ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।