০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালে জনতার তুমুল বিক্ষোভ, প্রাণের বিনিময়ে প্রত্যাহার হলো সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 133

নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলো কেপি শর্মা ওলির সরকার। সোমবার কাঠমান্ডুতে জেন–জিদের নেতৃত্বে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান এক সাংবাদিকসহ ১৯ জন, আহত হন আড়াইশোরও বেশি মানুষ। এর পরেই তীব্র চাপের মুখে সরকার সিদ্ধান্ত বদল করে।
প্রথমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অনড় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। বিক্ষোভকারীদের ‘ঝঞ্ঝাট সৃষ্টিকারী জেন–জি’ আখ্যা দিয়ে তিনি জানান, তাদের সামনে মাথা নোয়াবেন না। এ অবস্থায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওলি নিষেধাজ্ঞাকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেন এবং মন্ত্রীদের প্রকাশ্যে সমর্থনের নির্দেশ দেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন জোটের শরিক নেপালি কংগ্রেস এতে তীব্র আপত্তি জানায়। বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ব্যর্থ হলে কংগ্রেস মন্ত্রীরা ওয়াকআউট করেন।
পরে সংকট সামাল দিতে জোটের জরুরি বৈঠক ডেকে ওলি ঘোষণা করেন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। এর আগে সংঘর্ষের দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগপত্র জমা দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা ছিল, ওলির একগুঁয়েমি সরকার পতনের কারণ হতে পারে, যেমনটি ঘটেছিল ২০২৪ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে। শেষ পর্যন্ত সম্ভবত সেই আশঙ্কা টের পেয়েই পিছু হটলেন ওলি।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নেপালে জনতার তুমুল বিক্ষোভ, প্রাণের বিনিময়ে প্রত্যাহার হলো সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা

আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলো কেপি শর্মা ওলির সরকার। সোমবার কাঠমান্ডুতে জেন–জিদের নেতৃত্বে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান এক সাংবাদিকসহ ১৯ জন, আহত হন আড়াইশোরও বেশি মানুষ। এর পরেই তীব্র চাপের মুখে সরকার সিদ্ধান্ত বদল করে।
প্রথমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অনড় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। বিক্ষোভকারীদের ‘ঝঞ্ঝাট সৃষ্টিকারী জেন–জি’ আখ্যা দিয়ে তিনি জানান, তাদের সামনে মাথা নোয়াবেন না। এ অবস্থায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওলি নিষেধাজ্ঞাকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেন এবং মন্ত্রীদের প্রকাশ্যে সমর্থনের নির্দেশ দেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন জোটের শরিক নেপালি কংগ্রেস এতে তীব্র আপত্তি জানায়। বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ব্যর্থ হলে কংগ্রেস মন্ত্রীরা ওয়াকআউট করেন।
পরে সংকট সামাল দিতে জোটের জরুরি বৈঠক ডেকে ওলি ঘোষণা করেন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। এর আগে সংঘর্ষের দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগপত্র জমা দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা ছিল, ওলির একগুঁয়েমি সরকার পতনের কারণ হতে পারে, যেমনটি ঘটেছিল ২০২৪ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে। শেষ পর্যন্ত সম্ভবত সেই আশঙ্কা টের পেয়েই পিছু হটলেন ওলি।