ভিত্তিহীন, ভারত-বিরোধী: ‘কণ্ঠরোধের’ ব্রিটিশ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান বিদেশমন্ত্রকের

- আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
- / 16
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভারত বিরোধী, ভিত্তিহীন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি রিপোর্ট প্রসঙ্গে এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। দেশের সাম্প্রতিক দমন-পীড়নের ঘটনার পরিপেক্ষিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যাতে দেখানো হয়েছে, ভারতে ধারাবাহিকভাবে মানবাধিকার রক্ষা, সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সরকারের বিরোধিতা করলেই মিলছে অমানসিক নির্যাতন। বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিবর্তে নানা ভয় দেখিয়ে তাদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে সরকার। নেই কোনও ধর্মীয় স্বাধীনতা। আর শুক্রবার ব্রিটিশ এই রিপোর্টের কঠর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
ঘটনাপ্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, এই সব ভারত বিরোধী প্রচারণামূলক রিপোর্ট আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এই দাবিগুলি অযাচিত। দমন-পীড়নের দাবিগুলো যাচাই না করেই একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন তারা। এছাড়া কোনও ভেরিফাইড সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। ওই রিপোর্ট মূলত নিষিদ্ধ কোনও সংস্থা বা ভারত-বিরোধী কোনও চ্যানেল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তৈরি করা হয়েছে। উক্ত রিপোর্টে ভারত সহ আরও ১২টি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে একইভাবে দমন-পীড়ন জারি রয়েছে। চিন, মিশর, ইরিত্রিয়া, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া, বাহরাইন, রুয়ান্ডা, সউদি আরব, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই দেশগুলো তালিকায় রয়েছে। উল্লেখ্য, ব্রিটেনে ‘আন্তঃজাতীয় দমন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি ৩০ জুলাই প্রকাশ করা হয়েছিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক যৌথ কমিটি কর্তৃক সংকলিত এই প্রতিবেদনটি মূলত চিন, রাশিয়া ইরানের সমসাময়িক কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল। তবে সেখানে পাকিস্তান, সউদি আরব এবং তুরস্কের মতো দেশগুলির পাশাপাশি ভারতের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে একইভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, তারা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকেই তথ্য সংগ্রহ করেছে।