০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যাত্রীদের সুবিধায় নয়া ব্যবস্থা কলকাতা বিমানবন্দরে, চালু হল ‘ডিজি যাত্রা’—–জানুন বিস্তারিত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার
  • / 12

পুবের কলম প্রতিবেদক: বিমানে যাত্রা করার সময় বোর্ডিং করতে বেশ কিছুটা বেশি সময় লাগে। ঘণ্টা খানেক আগেই পৌঁছতে হয় বিমানবন্দরে। কাগজপত্রের একাধিক ঝঞ্ঝাট থাকে। তা থেকে মুক্তি দিতে এবার বেশ কিছু পরিবর্তন আনল কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এতদিন টিকিট বুকিং করার পর, বিমানবন্দরে গিয়ে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করতে হয়।

অথবা বাড়ি থেকেও অনলাইনের মাধ্যমে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করতে হয়। তারপর বিমানবন্দরে চলে চেকিং পর্ব৷ সেখান থেকে ফের বোর্ডিং পাস স্ক্যান করে উঠতে হয় নির্দিষ্ট বিমানে। কিন্তু এবার তাতে পরিবর্তন এল। বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কলকাতা বিমানবন্দরে চালু হল ফেসিয়াল রেকগনাইজেশন বেসড বোর্ডিং সিস্টেম। তারা পুরো বিষয়টিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা করছে।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বোর্ডিং করার ক্ষেত্রে যাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে প্যাসেঞ্জার ডিটেলস এবং ফেসিয়াল বায়োমেট্রিক্স আপলোড করতে হবে। যা বায়োমেট্রিক বোর্ডিং সিস্টেমের তথ্যভান্ডারে রেকর্ড থাকবে। এরপর যে বিমানবন্দরের মাধ্যমে যাত্রী ভ্রমণ করবেন সেই বিমানবন্দরে ফেসিয়াল রেকগনাইজেশন বেসড বোর্ডিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন।

গোটা প্রক্রিয়ায় নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজি যাত্রা’। এটি হল ‘ফেস ডিটেকশন’ অর্থাৎ ‘মুখ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি’র উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি বায়োমেট্রিক সক্ষম অ্যাপ। এই অ্যাপ পরিষেবা চালু হলে বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের পরিচয়জ্ঞাপক নথিপত্র প্রদর্শন করতে হবে না।

এই প্রযুক্তির সাহায্যে বিমানবন্দরে প্রবেশ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাচাই এলাকা এবং বিমানের বোর্ডিং প্রক্রিয়ার মতো সমস্ত চেকপয়েন্টে ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রবেশ করতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে বোর্ডিং প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুততা আসবে। কারণ প্রতিটি চেকপয়েন্টে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিন সেকেন্ডেরও কম সময় লাগবে।

যাত্রীদের মুখই তাঁদের পরিচয়জ্ঞাপক নথি হিসেবে কাজ করবে। এর মধ্যেই সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের পরিচয় প্রমাণ, ভ্যাকসিন শংসাপত্র এবং বোর্ডিং পাস সবই থাকবে। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি.পাট্টাভি জানিয়েছেন, যাত্রীদের যাতায়াতে কোনও ঝক্কি থাকবে না আর। কম সময়ে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যাত্রীদের সুবিধায় নয়া ব্যবস্থা কলকাতা বিমানবন্দরে, চালু হল ‘ডিজি যাত্রা’—–জানুন বিস্তারিত

আপডেট : ১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: বিমানে যাত্রা করার সময় বোর্ডিং করতে বেশ কিছুটা বেশি সময় লাগে। ঘণ্টা খানেক আগেই পৌঁছতে হয় বিমানবন্দরে। কাগজপত্রের একাধিক ঝঞ্ঝাট থাকে। তা থেকে মুক্তি দিতে এবার বেশ কিছু পরিবর্তন আনল কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এতদিন টিকিট বুকিং করার পর, বিমানবন্দরে গিয়ে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করতে হয়।

অথবা বাড়ি থেকেও অনলাইনের মাধ্যমে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করতে হয়। তারপর বিমানবন্দরে চলে চেকিং পর্ব৷ সেখান থেকে ফের বোর্ডিং পাস স্ক্যান করে উঠতে হয় নির্দিষ্ট বিমানে। কিন্তু এবার তাতে পরিবর্তন এল। বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কলকাতা বিমানবন্দরে চালু হল ফেসিয়াল রেকগনাইজেশন বেসড বোর্ডিং সিস্টেম। তারা পুরো বিষয়টিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা করছে।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বোর্ডিং করার ক্ষেত্রে যাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে প্যাসেঞ্জার ডিটেলস এবং ফেসিয়াল বায়োমেট্রিক্স আপলোড করতে হবে। যা বায়োমেট্রিক বোর্ডিং সিস্টেমের তথ্যভান্ডারে রেকর্ড থাকবে। এরপর যে বিমানবন্দরের মাধ্যমে যাত্রী ভ্রমণ করবেন সেই বিমানবন্দরে ফেসিয়াল রেকগনাইজেশন বেসড বোর্ডিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন।

গোটা প্রক্রিয়ায় নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজি যাত্রা’। এটি হল ‘ফেস ডিটেকশন’ অর্থাৎ ‘মুখ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি’র উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি বায়োমেট্রিক সক্ষম অ্যাপ। এই অ্যাপ পরিষেবা চালু হলে বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের পরিচয়জ্ঞাপক নথিপত্র প্রদর্শন করতে হবে না।

এই প্রযুক্তির সাহায্যে বিমানবন্দরে প্রবেশ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাচাই এলাকা এবং বিমানের বোর্ডিং প্রক্রিয়ার মতো সমস্ত চেকপয়েন্টে ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রবেশ করতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে বোর্ডিং প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুততা আসবে। কারণ প্রতিটি চেকপয়েন্টে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিন সেকেন্ডেরও কম সময় লাগবে।

যাত্রীদের মুখই তাঁদের পরিচয়জ্ঞাপক নথি হিসেবে কাজ করবে। এর মধ্যেই সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের পরিচয় প্রমাণ, ভ্যাকসিন শংসাপত্র এবং বোর্ডিং পাস সবই থাকবে। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি.পাট্টাভি জানিয়েছেন, যাত্রীদের যাতায়াতে কোনও ঝক্কি থাকবে না আর। কম সময়ে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।