০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে মৌমাছি প্রতিপালন করে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 73

 

 

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা সন্দেশখালির আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদকে

 

আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সুন্দরবন নিয়ে আলাদা মাস্টার প্ল্যান তৈরির আশ্বাস মমতার

উজ্জ্ল বন্দ্যোপাধ্যায়,নিমপীঠ :সুন্দরবনে ব্যাপক হারে মৌমাছি প্রতিপালন করে বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা খুলে দিয়েছে জয়নগর ২ নং ব্লকের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি আছে যারা ফুলের মকরন্দ সংগ্রহ করে তাঁর থেকে মধু তৈরী করে ও মৌচাকে জমিয়ে রাখে। তবে বিশেষ পদ্ধতিতে মৌ-বাক্সের মধ্যে কিছু শ্রেনির মৌমাছি বর্তমানে  প্রতিপালন করা হচ্ছে। আমাদের রাজ্যে ঘরোয়া ভাবে মৌমাছি পালনের জন্য এপিস সেরেনা প্রজাতি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে একটি বাক্স থেকে বছরে ৪ থেকে ৮ কেজি মধু পাওয়া যেতে পারে।  বানিজ্যিক ভাবে মৌমাছি পালনের জন্য এপিস মেলিফেরা প্রজাতির মৌমাছি পালন করা হয়, যা ইটালিয়ান মৌমাছি নামে পরিচিত। তবে মৌমাছি পালনের জায়গায় আশেপাশে ফুলের প্রাচুর্য্যতা থাকা দরকার। বিশেষ করে ইটালিয়ান মৌমাছি পালনের জন্য মৌ-পালকদের মৌবাক্স নিয়ে ফুলের মরশুমে  সরষে, লিচু, তিল  প্রভৃতি ফসলে বা ইউক্যালিপটাস, ম্যানগ্রোভ-এর জংগলে ঘুরে বেড়াতে হয়। এক্ষেত্রে একটি বাক্স থেকে বছরে প্রায় ৫০ কেজি মধু পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে বর্ষাকাল বাদে সব মরশুমেই মধু পাওয়া যায়। নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্ৰের মৌমাছি বিশেষজ্ঞ ডঃ প্রবীর কুমার গরাই বলেন,মৌমাছি পালনের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখান থেকে। সাধারণত জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে। বানিজ্যিক ভাবে মৌমাছি পালন করে বছরে প্রায় ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা রোজগার করা যায়। এর সাথে মৌমাছিরা নিখরচায় পরাগ মিলনে সাহায্য করে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।এই মৌমাছি প্রতিপালন করে বিকল্প কর্মসংস্থান করে স্বনির্ভর হতে পারে সুন্দরবনের মানুষ

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের রাস্তায় প্রথম নামলো সেনা রোবট, দেখে হতবাক সন্দেশখালিবাসী

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুন্দরবনে মৌমাছি প্রতিপালন করে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

 

 

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা সন্দেশখালির আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদকে

 

আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সুন্দরবন নিয়ে আলাদা মাস্টার প্ল্যান তৈরির আশ্বাস মমতার

উজ্জ্ল বন্দ্যোপাধ্যায়,নিমপীঠ :সুন্দরবনে ব্যাপক হারে মৌমাছি প্রতিপালন করে বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা খুলে দিয়েছে জয়নগর ২ নং ব্লকের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি আছে যারা ফুলের মকরন্দ সংগ্রহ করে তাঁর থেকে মধু তৈরী করে ও মৌচাকে জমিয়ে রাখে। তবে বিশেষ পদ্ধতিতে মৌ-বাক্সের মধ্যে কিছু শ্রেনির মৌমাছি বর্তমানে  প্রতিপালন করা হচ্ছে। আমাদের রাজ্যে ঘরোয়া ভাবে মৌমাছি পালনের জন্য এপিস সেরেনা প্রজাতি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে একটি বাক্স থেকে বছরে ৪ থেকে ৮ কেজি মধু পাওয়া যেতে পারে।  বানিজ্যিক ভাবে মৌমাছি পালনের জন্য এপিস মেলিফেরা প্রজাতির মৌমাছি পালন করা হয়, যা ইটালিয়ান মৌমাছি নামে পরিচিত। তবে মৌমাছি পালনের জায়গায় আশেপাশে ফুলের প্রাচুর্য্যতা থাকা দরকার। বিশেষ করে ইটালিয়ান মৌমাছি পালনের জন্য মৌ-পালকদের মৌবাক্স নিয়ে ফুলের মরশুমে  সরষে, লিচু, তিল  প্রভৃতি ফসলে বা ইউক্যালিপটাস, ম্যানগ্রোভ-এর জংগলে ঘুরে বেড়াতে হয়। এক্ষেত্রে একটি বাক্স থেকে বছরে প্রায় ৫০ কেজি মধু পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে বর্ষাকাল বাদে সব মরশুমেই মধু পাওয়া যায়। নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্ৰের মৌমাছি বিশেষজ্ঞ ডঃ প্রবীর কুমার গরাই বলেন,মৌমাছি পালনের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখান থেকে। সাধারণত জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে। বানিজ্যিক ভাবে মৌমাছি পালন করে বছরে প্রায় ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা রোজগার করা যায়। এর সাথে মৌমাছিরা নিখরচায় পরাগ মিলনে সাহায্য করে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।এই মৌমাছি প্রতিপালন করে বিকল্প কর্মসংস্থান করে স্বনির্ভর হতে পারে সুন্দরবনের মানুষ

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের রাস্তায় প্রথম নামলো সেনা রোবট, দেখে হতবাক সন্দেশখালিবাসী