০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাজোটের নেতা নির্বাচিত হলেন নীতীশ কুমার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 9

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মহাজোটের নেতা নির্বাচিত হলেন নীতীশ কুমার। আরজেডির উপস্থিতিতে জোট সরকারের নেতা নির্বাচিত হন নীতীশ। জোট সরকারের বাইরে থেকে সমর্থন বামেদের। বিহারে ফের লালু পুত্র তেজস্বী যাদবের জুটি। সরকার গঠনের দাবি জানাবেন নীতীশ-তেজস্বী জুটি।

২০১৫-য় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন নীতীশ কুমার। মেলান রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও কংগ্রেসের। জেডিইউ-আরজেডি ও কংগ্রেসের ‘মহাগাঁটবন্ধন’  ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনের জয়লাভ করে। মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ কুমার এবং  তাঁর ডেপুটি হন তেজস্বী যাদব। যদিও সেই জোট টেকেনি। ২০১৭-য় ফের জোট বাঁধে  বিজেপি-জেডিইউ। ৫ বছর পর ফের ভাঙল জোট।

 

অনেকদিন ধরেই দূরত্ব বাড়ছিল নীতীশ কুমারের। রমযানেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল তেজস্বী যাদবের ইফতার পার্টিতে। তবে নীতীশ নাকি অতি সাবধান হয়ে যান মহারাষ্ট্রে বিজেপির ভূমিকা দেখে। যেভাবে বিজেপি উদ্ধব ঠাকরের দল ভেঙে তাঁকে অপদস্থ করে তাঁর দলের রাশ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে, তা ভাবিয়েছে নীতীশকে। বহু দিন ধরেই বিজেপি একটু একটু করে দাপট বাড়াতে চাইছে। বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে ফাটল চওড়া হচ্ছে।

 

অগ্নিপথ ইস্যুতে আরজেডির সঙ্গে প্রতিবাদ করেছিল জেডিইউ-ও। মোদির আমন্ত্রণ তিনি বারবার উপেক্ষা করে আসলে বিজেপিকে বার্তা দিয়েছেন। দলের কর্মী সমর্থকদের কাছেও তিনি দিতে চেয়েছিলেন বার্তা। তা খানিকটা সফলও হয়।  রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির ছিলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী  নীতীশ কুমার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নামে ডাকা নৈশভোজেও নীতীশ উপস্থিত ছিলেন না। সোমবার তিনি আচমকাই জানিয়ে দেন,  তাঁর দলের কোনও সদস্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ক্যাবিনেটে থাকবে না।

২০১৭ সালে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আরজেডি-সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন নীতীশ কুমার। এবার নীতীশ পুনরায় জোটধর্ম ভুলে আরজেডি-র সঙ্গে হাত মেলালে তাঁকে আক্রমণ শানানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বিজেপি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেডি (ইউ) নেতা জানান, বিধানসভায় বিজেপির তুলনায় কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করে পুরনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিল বিজেপি। কিন্তু একইসঙ্গে বিজেপি জেডি ইউকে হীনবল এবং নীতীশকে অপমান করার চেষ্টা করে গিয়েছে বলেও এই নেতার অভিযোগ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মহাজোটের নেতা নির্বাচিত হলেন নীতীশ কুমার

আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মহাজোটের নেতা নির্বাচিত হলেন নীতীশ কুমার। আরজেডির উপস্থিতিতে জোট সরকারের নেতা নির্বাচিত হন নীতীশ। জোট সরকারের বাইরে থেকে সমর্থন বামেদের। বিহারে ফের লালু পুত্র তেজস্বী যাদবের জুটি। সরকার গঠনের দাবি জানাবেন নীতীশ-তেজস্বী জুটি।

২০১৫-য় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন নীতীশ কুমার। মেলান রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও কংগ্রেসের। জেডিইউ-আরজেডি ও কংগ্রেসের ‘মহাগাঁটবন্ধন’  ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনের জয়লাভ করে। মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ কুমার এবং  তাঁর ডেপুটি হন তেজস্বী যাদব। যদিও সেই জোট টেকেনি। ২০১৭-য় ফের জোট বাঁধে  বিজেপি-জেডিইউ। ৫ বছর পর ফের ভাঙল জোট।

 

অনেকদিন ধরেই দূরত্ব বাড়ছিল নীতীশ কুমারের। রমযানেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল তেজস্বী যাদবের ইফতার পার্টিতে। তবে নীতীশ নাকি অতি সাবধান হয়ে যান মহারাষ্ট্রে বিজেপির ভূমিকা দেখে। যেভাবে বিজেপি উদ্ধব ঠাকরের দল ভেঙে তাঁকে অপদস্থ করে তাঁর দলের রাশ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে, তা ভাবিয়েছে নীতীশকে। বহু দিন ধরেই বিজেপি একটু একটু করে দাপট বাড়াতে চাইছে। বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে ফাটল চওড়া হচ্ছে।

 

অগ্নিপথ ইস্যুতে আরজেডির সঙ্গে প্রতিবাদ করেছিল জেডিইউ-ও। মোদির আমন্ত্রণ তিনি বারবার উপেক্ষা করে আসলে বিজেপিকে বার্তা দিয়েছেন। দলের কর্মী সমর্থকদের কাছেও তিনি দিতে চেয়েছিলেন বার্তা। তা খানিকটা সফলও হয়।  রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির ছিলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী  নীতীশ কুমার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নামে ডাকা নৈশভোজেও নীতীশ উপস্থিত ছিলেন না। সোমবার তিনি আচমকাই জানিয়ে দেন,  তাঁর দলের কোনও সদস্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ক্যাবিনেটে থাকবে না।

২০১৭ সালে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আরজেডি-সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন নীতীশ কুমার। এবার নীতীশ পুনরায় জোটধর্ম ভুলে আরজেডি-র সঙ্গে হাত মেলালে তাঁকে আক্রমণ শানানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বিজেপি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেডি (ইউ) নেতা জানান, বিধানসভায় বিজেপির তুলনায় কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করে পুরনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিল বিজেপি। কিন্তু একইসঙ্গে বিজেপি জেডি ইউকে হীনবল এবং নীতীশকে অপমান করার চেষ্টা করে গিয়েছে বলেও এই নেতার অভিযোগ।