০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দিল্লি-কলকাতায় কি আওয়ামি অফিস?

ভারতের মাটিতে কোনও বাংলাদেশ-বিরোধী কাজ হবে না, আশ্বাস বিদেশ মন্ত্রকের

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২২ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 142

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দিল্লি ও কলকাতায় গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পলাতক আওয়ামি লিগের নেতানেত্রীদের ডেরা। শুধু তাই নয়, আওয়ামি লিগ নাকি কলকাতার নিউটাউনে রীতিমতো অফিস স্কুলে দল চালাচ্ছে।

বিবিসি বাংলার এই রিপোর্ট প্রকাশ হতেই কেন্দ্রের মোদি সরকারকে সতর্ক করল ইউনূস সরকার। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ আওয়ামি লীগ ভারতের মাটি ব্যবহার করে কোনও বাংলাদেশ-বিরোধী কাজ করছে কি, প্রশ্ন অন্তর্বর্তী সরকারের। ঢাকা এই ব্যাপারে নয়াদিল্লির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

আরও পড়ুন: Indian National in Russian Army: রুশ সেনায় যোগ দেবেন না, ভারতীয়দের সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, এটা একেবারে ভুল ধারণা। আমরা ভারতের মাটিতে কোনও বাংলাদেশ-বিরোধী কাজ হতে দেব না। আমাদের কাছে অফিস খোলার কোনও খবরও নেই। এর আগে বুধবার ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লি এবং কলকাতায় নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিস স্থাপনের খবরের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: PMO: ৭৮ বছর পর পরিবর্তন হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী দফতর

বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ভারতীয় মাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের পটভূমিতে এই ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দলটি আইনত নিষিদ্ধ এবং তাদের কার্যক্রম দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

আরও পড়ুন: ইসরাইল থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিবৃতি জারি করল বিদেশ মন্ত্রক

ঢাকা নয়াদিল্লির কাছে অনুরোধ করে যে, এই গোষ্ঠীগুলো যাতে ভারতের মাটিতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে না পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, তারা বাংলাদেশের অনুরোধটি খতিয়ে দেখছে। মুখপাত্র জয়সোয়াল বলেছেন যে, ভারত তার বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

ভারত নিশ্চিত করবে যাতে তাদের ভূখণ্ড কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার না হয়। এই বিষয়ে উভয় দেশই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দিল্লি-কলকাতায় কি আওয়ামি অফিস?

ভারতের মাটিতে কোনও বাংলাদেশ-বিরোধী কাজ হবে না, আশ্বাস বিদেশ মন্ত্রকের

আপডেট : ২২ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দিল্লি ও কলকাতায় গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পলাতক আওয়ামি লিগের নেতানেত্রীদের ডেরা। শুধু তাই নয়, আওয়ামি লিগ নাকি কলকাতার নিউটাউনে রীতিমতো অফিস স্কুলে দল চালাচ্ছে।

বিবিসি বাংলার এই রিপোর্ট প্রকাশ হতেই কেন্দ্রের মোদি সরকারকে সতর্ক করল ইউনূস সরকার। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ আওয়ামি লীগ ভারতের মাটি ব্যবহার করে কোনও বাংলাদেশ-বিরোধী কাজ করছে কি, প্রশ্ন অন্তর্বর্তী সরকারের। ঢাকা এই ব্যাপারে নয়াদিল্লির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

আরও পড়ুন: Indian National in Russian Army: রুশ সেনায় যোগ দেবেন না, ভারতীয়দের সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, এটা একেবারে ভুল ধারণা। আমরা ভারতের মাটিতে কোনও বাংলাদেশ-বিরোধী কাজ হতে দেব না। আমাদের কাছে অফিস খোলার কোনও খবরও নেই। এর আগে বুধবার ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লি এবং কলকাতায় নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিস স্থাপনের খবরের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: PMO: ৭৮ বছর পর পরিবর্তন হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী দফতর

বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ভারতীয় মাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের পটভূমিতে এই ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দলটি আইনত নিষিদ্ধ এবং তাদের কার্যক্রম দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

আরও পড়ুন: ইসরাইল থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিবৃতি জারি করল বিদেশ মন্ত্রক

ঢাকা নয়াদিল্লির কাছে অনুরোধ করে যে, এই গোষ্ঠীগুলো যাতে ভারতের মাটিতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে না পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, তারা বাংলাদেশের অনুরোধটি খতিয়ে দেখছে। মুখপাত্র জয়সোয়াল বলেছেন যে, ভারত তার বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

ভারত নিশ্চিত করবে যাতে তাদের ভূখণ্ড কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার না হয়। এই বিষয়ে উভয় দেশই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।