নো-ফ্লাইং জোন মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী

- আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার
- / 110
মক্কা, ৯ ডিসেম্বর: মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী ইসলামের পবিত্রতম স্থান। এ স্থানগুলোর মর্যাদা, পবিত্রতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেগুলোর ওপর কঠোর ‘নো-ফ্লাই জোন’ বা উড়োজাহাজ নিষিদ্ধ এলাকা ঘোষণা করেছে।
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর ওপর দিয়ে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে।
মসজিদুল হারাম ইসলামের পবিত্রতম মসজিদ, যেখানে রয়েছে পবিত্র কাবা। এটি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। প্রতিবছর লাখো মুসলিম এখানে হজ পালন করতে আসেন। মসজিদে নববী মদিনায় অবস্থিত। এটি ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র মসজিদ। এখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রওজা শরিফ বা কবর অবস্থিত, যা মুসলমানদের জন্য গভীর আধ্যাত্মিকতার স্থান৷
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর ওপর দিয়ে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখা। উড়োজাহাজের শব্দ দূষণ বা কম্পন যেন ইবাদতরত মুসল্লিদের মনোযোগ নষ্ট না করে। আর এ পবিত্রতম স্থানের পবিত্রতা যেন বজায় থাকে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও বড় কারণ। সম্ভাব্য দুর্ঘটনা বা ঝুঁকি এড়ানোর জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পবিত্রতা রক্ষা করা। আকাশে যে কোনো ধরনের দূষণ বা বিঘ্ন যেন পবিত্র স্থানগুলোর পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে এটাও লক্ষ্য রাখা হয় শতভাগ।
উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক রাডার ও নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। পাইলট, বিমান সংস্থা ও এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে এসব বিধিনিষেধ মানা হয়। কোনো উড়োজাহাজ এই এলাকায় ঢুকলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর পবিত্রতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য আকাশপথে কঠোর নিয়ম-কানুন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিধিনিষেধ শুধু নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং এটি এসব স্থানের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্বের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক।