১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত উত্তরবঙ্গের মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা পরীক্ষা ও ক্লাস করতে পারবে : কলকাতা হাইকোর্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 84

মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে । কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া সাতজন ছাত্র। এদিন সাতজন ছাত্রকে ক্লাস করার এবং পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে ক্লাসে যোগ আর পরীক্ষায় বসা ছাড়া আর কোনও কাজের জন্য কলেজে যাবেন না সাতজন ছাত্র।

তাও আদেশনামায় উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। মঙ্গলবার শুনানির সময়ে সাসপেন্ডেড ছাত্ররা আদালতে সওয়াল করে জানান, ‘ কোনও নিয়ম না মেনে ৬ মাসের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করেছে কলেজ’। অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির মতামত না নিয়েই সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি। তাঁরা হাইকোর্ট কে জানান, ‘আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি।’ সাসপেন্ডের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করারও আবেদন করেন তাঁরা।

এর প্রতুত্তরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , ‘কলেজের উচ্চপদস্থ কর্তাদের ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। সে সময়ে কর্তৃপক্ষের তরফে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তারপর ঘেরাও ওঠে। আমরা চাপের মুখে তক্ষুনি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই। তা না হলে আমরা যদি হাসপাতাল বন্ধ করে দিতাম তাহলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। আর কোনও বিকল্প না থাকায় আমরা বিক্ষোভকারীদের দাবি অনুযায়ী পদক্ষেপ করি।’

কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে কলেজ কর্তৃপক্ষ এটাও জানায়, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা অভিযোগের গুরুত্ব খতিয়ে দেখি। তারপর অনুসন্ধান কমিটি করতে হয়’। সেসময় রাজ্যের তরফে বলা হয়, ‘কলেজে কর্তৃপক্ষকে বেলাগাম গতিতে কাজ করতে হয়েছে’। ৫ সপ্তাহ পরে ফের শুনানি রয়েছে ।এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘ওই সাতজন ছাত্র কলেজে ক্লাস করতে পারবেন এবং পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এছাড়া অকারণে কলেজ ক্যাম্পাসে তাঁরা থাকতে পারবেন না’। সাসপেন্ড হওয়া সাতজন ছাত্রর হয়ে এদিন আদালতে মামলাটি লড়েন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

 

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত উত্তরবঙ্গের মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা পরীক্ষা ও ক্লাস করতে পারবে : কলকাতা হাইকোর্ট

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার

মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে । কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া সাতজন ছাত্র। এদিন সাতজন ছাত্রকে ক্লাস করার এবং পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে ক্লাসে যোগ আর পরীক্ষায় বসা ছাড়া আর কোনও কাজের জন্য কলেজে যাবেন না সাতজন ছাত্র।

তাও আদেশনামায় উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। মঙ্গলবার শুনানির সময়ে সাসপেন্ডেড ছাত্ররা আদালতে সওয়াল করে জানান, ‘ কোনও নিয়ম না মেনে ৬ মাসের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করেছে কলেজ’। অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির মতামত না নিয়েই সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি। তাঁরা হাইকোর্ট কে জানান, ‘আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি।’ সাসপেন্ডের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করারও আবেদন করেন তাঁরা।

এর প্রতুত্তরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , ‘কলেজের উচ্চপদস্থ কর্তাদের ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। সে সময়ে কর্তৃপক্ষের তরফে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তারপর ঘেরাও ওঠে। আমরা চাপের মুখে তক্ষুনি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই। তা না হলে আমরা যদি হাসপাতাল বন্ধ করে দিতাম তাহলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। আর কোনও বিকল্প না থাকায় আমরা বিক্ষোভকারীদের দাবি অনুযায়ী পদক্ষেপ করি।’

কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে কলেজ কর্তৃপক্ষ এটাও জানায়, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা অভিযোগের গুরুত্ব খতিয়ে দেখি। তারপর অনুসন্ধান কমিটি করতে হয়’। সেসময় রাজ্যের তরফে বলা হয়, ‘কলেজে কর্তৃপক্ষকে বেলাগাম গতিতে কাজ করতে হয়েছে’। ৫ সপ্তাহ পরে ফের শুনানি রয়েছে ।এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘ওই সাতজন ছাত্র কলেজে ক্লাস করতে পারবেন এবং পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এছাড়া অকারণে কলেজ ক্যাম্পাসে তাঁরা থাকতে পারবেন না’। সাসপেন্ড হওয়া সাতজন ছাত্রর হয়ে এদিন আদালতে মামলাটি লড়েন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়