০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরবঙ্গের মিষ্টি আলুর পাউডার যাবে জাপান, জার্মানিতে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 32

জলপাইগুড়ি, পুবের কলম প্রতিবেদক: ষোল শতকের দিকে পেরু ও বলিভিয়া থেকে এর যাত্রা শুরু হলেও নতুনভাবে উদ্ভাবন হয় ১৯৮০ সালের মাঝামাঝিতে আমেরিকায়৷ জাপানি ও আমেরিকান জাত এর এ পার্পেল পটেটো বা বেগুনি মিষ্টি আলু অনেক চাহিদাসম্পন্ন এর স্বাস্থ্যপকারিতা এবং এর সুন্দর রঙ এর জন্য ।

এখন বেশ কয়েকটি দেশ যেমন দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এ এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। আর এবার বাংলাদেশের একটি কৃষিজ কোম্পানির সহযোগিতায় বেগুনি ও কমলা রংয়ের ব্যতিক্রমী মিষ্টি আলুর চাষ শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি দফতর।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প দৃঢ়: সিওলেতে পৌঁছে লিখলেন অভিষেক

ওই আলু থেকে তৈরি পাউডার সরাসরি রফতানি হবে জাপান, জার্মানির মতো স্বাস্থ্যসচেতন দেশে, যা এখানকার কৃষিতে নতুন দিশা দেখাতে চলেছে বলেই কৃষিকর্তাদের ধারণা।ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটি ব্লকে কৃষকদের হাত ধরে পরীক্ষামূলক ভাবে দুপ্রকার মিষ্টি আলুর চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার উত্তরবঙ্গ থেকে দিঘা সরাসরি ভলভো বাস

আপাতত পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ধূপগুড়ির পশ্চিম মাগুরমারিকে। চাষ শুরু হয়েছে সদর ব্লকেও। মাগুরমারিতে রঙিন মিষ্টি আলু থেকে পাউডার ও চিপস তৈরির একটি ফ্যাক্টরিও তৈরি হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই বিদেশের উড়ানে চাপবে ওই মিরাকল ফল।।কৃষি দফতরের জলপাইগুড়ির সদর মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা (বিষয়বস্তু) ডঃ মেহফুজ আহমেদ বলছেন, আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে ধূপগুড়ি সহ জেলার প্রতিটি ব্লকেই বেগুনি ও কমলা মিষ্টি আলুর চাষ শুরু হবে। প্রথম ধাপে ৫০-৬০ বিঘা জমিতে চাষ হবে।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ BJP: দূরবিন দিয়েও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না

ধাপে ধাপে পরিমাণ বাড়ানো হবে। রফতানির মাধ্যমে চাষিদের আয়ে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুর প্রজাতির নাম মুরা শাকি এবং কমলা রংয়ে মিষ্টি আলুর প্রজাতির নাম অকা নামা। মূলত জাপানের ফসল।সেখান থেকেই বাংলাদেশের একটি সংস্থার সহযোগিতায় বীজ নিয়ে আসা হয়েছে। তারপর তা উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়। ভাইরাসমুক্ত নিশ্চিত হওয়ার পরই বীজ থেকে কাটিং-এর মাধ্যমে চারা তৈরি করে বোনা হয়।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টি কারসিনোজেনিক ও অ্যান্টি ডায়াবিটিক হিসেবে এই মিষ্টি আলুর পাউডার বিদেশে দারুণ জনপ্রিয়। এছাড়াও এই দুই প্রকার মিষ্টি আলুতে ফাইবার সহ নানা রোগব্যাধি উপশমের গুণাগুণ রয়েছে।মিষ্টি আলু সাধারণত আমরা সিদ্ধ করে খাই কিংবা পুড়িয়ে ও খাই। কিন্তু এই পার্পেল আলুর আইটেম হতে পারে বিভিন্ন রকম এর। নরমাল মিষ্টি আলুর চেয়ে সিদ্ধ হতে বেশি সময় লাগলেও খুব সুস্বাদু এ আলু খেতে এবং খাওয়া যায় বিভিন্ন উপায়ে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উত্তরবঙ্গের মিষ্টি আলুর পাউডার যাবে জাপান, জার্মানিতে

আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

জলপাইগুড়ি, পুবের কলম প্রতিবেদক: ষোল শতকের দিকে পেরু ও বলিভিয়া থেকে এর যাত্রা শুরু হলেও নতুনভাবে উদ্ভাবন হয় ১৯৮০ সালের মাঝামাঝিতে আমেরিকায়৷ জাপানি ও আমেরিকান জাত এর এ পার্পেল পটেটো বা বেগুনি মিষ্টি আলু অনেক চাহিদাসম্পন্ন এর স্বাস্থ্যপকারিতা এবং এর সুন্দর রঙ এর জন্য ।

এখন বেশ কয়েকটি দেশ যেমন দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এ এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। আর এবার বাংলাদেশের একটি কৃষিজ কোম্পানির সহযোগিতায় বেগুনি ও কমলা রংয়ের ব্যতিক্রমী মিষ্টি আলুর চাষ শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি দফতর।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প দৃঢ়: সিওলেতে পৌঁছে লিখলেন অভিষেক

ওই আলু থেকে তৈরি পাউডার সরাসরি রফতানি হবে জাপান, জার্মানির মতো স্বাস্থ্যসচেতন দেশে, যা এখানকার কৃষিতে নতুন দিশা দেখাতে চলেছে বলেই কৃষিকর্তাদের ধারণা।ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটি ব্লকে কৃষকদের হাত ধরে পরীক্ষামূলক ভাবে দুপ্রকার মিষ্টি আলুর চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার উত্তরবঙ্গ থেকে দিঘা সরাসরি ভলভো বাস

আপাতত পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ধূপগুড়ির পশ্চিম মাগুরমারিকে। চাষ শুরু হয়েছে সদর ব্লকেও। মাগুরমারিতে রঙিন মিষ্টি আলু থেকে পাউডার ও চিপস তৈরির একটি ফ্যাক্টরিও তৈরি হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই বিদেশের উড়ানে চাপবে ওই মিরাকল ফল।।কৃষি দফতরের জলপাইগুড়ির সদর মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা (বিষয়বস্তু) ডঃ মেহফুজ আহমেদ বলছেন, আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে ধূপগুড়ি সহ জেলার প্রতিটি ব্লকেই বেগুনি ও কমলা মিষ্টি আলুর চাষ শুরু হবে। প্রথম ধাপে ৫০-৬০ বিঘা জমিতে চাষ হবে।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ BJP: দূরবিন দিয়েও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না

ধাপে ধাপে পরিমাণ বাড়ানো হবে। রফতানির মাধ্যমে চাষিদের আয়ে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুর প্রজাতির নাম মুরা শাকি এবং কমলা রংয়ে মিষ্টি আলুর প্রজাতির নাম অকা নামা। মূলত জাপানের ফসল।সেখান থেকেই বাংলাদেশের একটি সংস্থার সহযোগিতায় বীজ নিয়ে আসা হয়েছে। তারপর তা উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়। ভাইরাসমুক্ত নিশ্চিত হওয়ার পরই বীজ থেকে কাটিং-এর মাধ্যমে চারা তৈরি করে বোনা হয়।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টি কারসিনোজেনিক ও অ্যান্টি ডায়াবিটিক হিসেবে এই মিষ্টি আলুর পাউডার বিদেশে দারুণ জনপ্রিয়। এছাড়াও এই দুই প্রকার মিষ্টি আলুতে ফাইবার সহ নানা রোগব্যাধি উপশমের গুণাগুণ রয়েছে।মিষ্টি আলু সাধারণত আমরা সিদ্ধ করে খাই কিংবা পুড়িয়ে ও খাই। কিন্তু এই পার্পেল আলুর আইটেম হতে পারে বিভিন্ন রকম এর। নরমাল মিষ্টি আলুর চেয়ে সিদ্ধ হতে বেশি সময় লাগলেও খুব সুস্বাদু এ আলু খেতে এবং খাওয়া যায় বিভিন্ন উপায়ে।